শৈলকূপায় অস্ত্র গুলি ও বিস্ফোরকসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

উপজেলা প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ২২

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় অস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ অর্ক ইসলাম(২৫) নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের ভুলুন্দিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অর্ক ইসলাম ওই গ্রামের রফিকুল ইসলাম আরজুর ছেলে।

বিজ্ঞাপন

শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে ভুলুন্দিয়া গ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় ওই গ্রামের অর্ক ইসলাম উৎসের বাড়িঘর তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় একটি ওয়ান শুটারগান, ৫ রাউন্ড গুলি ও ৫টি ককটেল। এ ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে শৈলকূপা থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, অর্ক ইসলাম উৎস উঠতি সন্ত্রাসী। এর আগে ওই এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল একাধিক সন্ত্রাসী, উদ্ধার হয়েছিল বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র-সরঞ্জাম। আশির দশকের গণবাহিনী নেতা জিয়ারত আলী মোল্লার পোষ্য সাঙ্গপাঙ্গ, আত্মীয়-পরিজনের মধ্যে এখনো রয়েছে সন্ত্রাসী কার্যক্রম। কীর্তিনগর, ভুলুন্দিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অস্ত্র

মামলায় জামিন পেয়ে বের হয়েছে জিয়ারত আলী মোল্লার ছেলে এবং তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া অর্ক ইসলাম জিয়ারত মোল্লার শ্যালক রফিকুল ইসলাম আরজুর ছেলে। এসব অস্ত্র এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ছাড়াও প্রতিপক্ষদের ভয় দেখাতে ব্যবহার করা হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

বিগত সরকারের আমলে বৃহৎ এই সন্ত্রাসী পরিবারটি বহু অপকর্মে জড়িত ছিল। তাদের নামে শৈলকূপা থানায় প্রচুর মামলা রয়েছে। এ সন্ত্রাসীদের ছত্রছায়ায় এলাকার অনেক তরুণ-শিক্ষার্থী মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। মাদক, ছিনতাই চোরাকারবারসহ বিভিন্ন রকম অপকর্মে জড়িয়ে রয়েছে গোটা জিয়ারত মোল্লার বাহিনী। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে তার গড়ে তোলা বাহিনী বর্তমানে দুটি গ্রুপ হয়েছে।

সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে ওঠে সারুটিয়া ইউনিয়ন। একে একে প্রাণ যায় ৭ জনের। তখন চাঁদাবাজি, ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও মামলা বাণিজ্য করা হয়। আর চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহারের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দিতে থাকে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ। গত বছরের ৫ আগস্টের পর এসে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ মিশেছে এখন বিএনপির দুই গ্রুপের সাথে। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো ভুলুন্দিয়া গ্রাম থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটলো।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত