
রোকনুজ্জামান রিপন, বেনাপোল

যশোরের শার্শা উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া বেতনা নদী একসময় ছিল এলাকার জীবনধারা। কৃষি, মাছ ধরা, নৌপরিবহন—সবকিছুই নির্ভর করত এই নদীর ওপর। শীত হোক বা বর্ষা, নদী ছিল স্থানীয় মানুষের জীবিকার মূল উৎস। কিন্তু আজ সেই নদী যেন মৃত্যুপথযাত্রী। দখল, দূষণ ও অবহেলায় বেতনা নদী হারাচ্ছে তার অস্তিত্ব, শুকিয়ে যাচ্ছে প্রাণের জলধারা।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী নদীগুলোর মধ্যে বেতনা অন্যতম। ঝিনাইদহের মহেশপুর সদর উপজেলার ভৈরব নদ থেকে এর উৎপত্তি। এরপর এটি গোপালপুর হয়ে ভারতের সীমানায় প্রবেশ করে এবং মোস্তফাপুর অঞ্চল অতিক্রম করে শার্শা উপজেলার শিকারপুর এলাকায় আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে নদীটি নারকেলবাড়িয়া, ফুলসাইরা, ডিহি, তেবাড়িয়া, গৌড়পাড়া, বনমান্দার ও কন্দর্পপুর হয়ে ঝিকরগাছার শিমুলিয়া ইউনিয়নে গিয়ে মিলিত হয়েছে। একসময় ভারতের সঙ্গে নৌবাণিজ্যের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত ছিল এই নদী।
স্থানীয় কৃষক, জেলে ও নৌচালকদের জীবিকা নির্ভর করত বেতনার ওপর। কিন্তু আজ নদীর বুকে স্রোত নেই, হারিয়ে গেছে সেই প্রাচুর্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহু বছর ধরে দখল চললেও বাস্তব কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। পরিবেশবিদদের মতে, নদী শুধু জলধারা নয়, এটি একটি জীবনরেখা। নদী মরে গেলে কৃষি, পরিবেশ, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবন সবকিছুই বিপন্ন হয়। তারা বলছেন, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও জনগণ একসঙ্গে উদ্যোগ নিলে বেতনা নদীকে পুনর্জীবিত করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন খনন, দখলমুক্তকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি। একসময় শার্শার প্রাণ ছিল বেতনা নদী। আজ সেই নদীই মৃত্যুর প্রহর গুনছে। দখল, দূষণ ও অবহেলায় শুকিয়ে যাচ্ছে নদীর বুক, আর সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে প্রজন্মের স্মৃতি ও জীবিকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর দুই তীরে চলছে অবৈধ দখল ও নির্মাণকাজ। নাভারণ উত্তর বুরুজবাগান, কাজীরবেড়, কাটসাকড়া ও নারায়ণপুর এলাকায় নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে দোকানপাট, ঘরবাড়ি, বাজার ও ইটভাটা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা নদীর ভেতর বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। এর ফলে বর্ষাকালে নদীর পানি আশপাশের বসতবাড়ি ও কৃষিজমিতে ঢুকে পড়ে। ফসল, মাছের ঘের ও সবজি ক্ষেতসহ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে প্রতি বছর। স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা জানিয়েছেন, শার্শা অংশে অন্তত ৩০টিরও বেশি জায়গায় নদী দখল হয়েছে। এসব স্থাপনার বেশির ভাগেরই কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। বছরের পর বছর দখলদাররা ব্যবসা চালালেও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
নদীতে এখন আর স্রোত নেই। পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকায় নদীজুড়ে কচুরিপানার স্তর জমে আছে। অনেক জায়গায় সেগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে নদী খনন না করায় তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে, অনেক স্থান সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে এখন প্রভাবশালীরা চাষাবাদ করছেন। একসময় বেতনা নদীতে দেশীয় মাছ, যেমন পুঁটি, শিং, মাগুর, তেলাপিয়া ও চিংড়ি সহজেই ধরা পড়ত। এখন সেগুলোর দেখা মেলে না বললেই চলে। নদীর তীরের পাখিরাও হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক জেলে পরিবার জীবিকার অভাবে দিনমজুরে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আগে শীত এলে বেতনা নদীতে অতিথি পাখি দেখা যেত। এখন দূষণ আর নোংরা পানির কারণে পাখিরাও আসে না।’ কলেজছাত্র নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাই, বেতনা নদী আবার আগের মতো হোক। পরিষ্কার পানি থাকুক, নৌকা চলুক—এটাই আমাদের স্বপ্ন।’
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান বলেন, ‘নদীর আশপাশে অবৈধ স্থাপনা ও বাঁধের তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলা নদীরক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।’

যশোরের শার্শা উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া বেতনা নদী একসময় ছিল এলাকার জীবনধারা। কৃষি, মাছ ধরা, নৌপরিবহন—সবকিছুই নির্ভর করত এই নদীর ওপর। শীত হোক বা বর্ষা, নদী ছিল স্থানীয় মানুষের জীবিকার মূল উৎস। কিন্তু আজ সেই নদী যেন মৃত্যুপথযাত্রী। দখল, দূষণ ও অবহেলায় বেতনা নদী হারাচ্ছে তার অস্তিত্ব, শুকিয়ে যাচ্ছে প্রাণের জলধারা।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী নদীগুলোর মধ্যে বেতনা অন্যতম। ঝিনাইদহের মহেশপুর সদর উপজেলার ভৈরব নদ থেকে এর উৎপত্তি। এরপর এটি গোপালপুর হয়ে ভারতের সীমানায় প্রবেশ করে এবং মোস্তফাপুর অঞ্চল অতিক্রম করে শার্শা উপজেলার শিকারপুর এলাকায় আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে নদীটি নারকেলবাড়িয়া, ফুলসাইরা, ডিহি, তেবাড়িয়া, গৌড়পাড়া, বনমান্দার ও কন্দর্পপুর হয়ে ঝিকরগাছার শিমুলিয়া ইউনিয়নে গিয়ে মিলিত হয়েছে। একসময় ভারতের সঙ্গে নৌবাণিজ্যের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত ছিল এই নদী।
স্থানীয় কৃষক, জেলে ও নৌচালকদের জীবিকা নির্ভর করত বেতনার ওপর। কিন্তু আজ নদীর বুকে স্রোত নেই, হারিয়ে গেছে সেই প্রাচুর্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহু বছর ধরে দখল চললেও বাস্তব কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। পরিবেশবিদদের মতে, নদী শুধু জলধারা নয়, এটি একটি জীবনরেখা। নদী মরে গেলে কৃষি, পরিবেশ, সংস্কৃতি ও মানুষের জীবন সবকিছুই বিপন্ন হয়। তারা বলছেন, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও জনগণ একসঙ্গে উদ্যোগ নিলে বেতনা নদীকে পুনর্জীবিত করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন খনন, দখলমুক্তকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি। একসময় শার্শার প্রাণ ছিল বেতনা নদী। আজ সেই নদীই মৃত্যুর প্রহর গুনছে। দখল, দূষণ ও অবহেলায় শুকিয়ে যাচ্ছে নদীর বুক, আর সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে প্রজন্মের স্মৃতি ও জীবিকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর দুই তীরে চলছে অবৈধ দখল ও নির্মাণকাজ। নাভারণ উত্তর বুরুজবাগান, কাজীরবেড়, কাটসাকড়া ও নারায়ণপুর এলাকায় নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে দোকানপাট, ঘরবাড়ি, বাজার ও ইটভাটা। স্থানীয় প্রভাবশালীরা নদীর ভেতর বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। এর ফলে বর্ষাকালে নদীর পানি আশপাশের বসতবাড়ি ও কৃষিজমিতে ঢুকে পড়ে। ফসল, মাছের ঘের ও সবজি ক্ষেতসহ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে প্রতি বছর। স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা জানিয়েছেন, শার্শা অংশে অন্তত ৩০টিরও বেশি জায়গায় নদী দখল হয়েছে। এসব স্থাপনার বেশির ভাগেরই কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। বছরের পর বছর দখলদাররা ব্যবসা চালালেও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
নদীতে এখন আর স্রোত নেই। পানিপ্রবাহ বন্ধ থাকায় নদীজুড়ে কচুরিপানার স্তর জমে আছে। অনেক জায়গায় সেগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে নদী খনন না করায় তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে, অনেক স্থান সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে এখন প্রভাবশালীরা চাষাবাদ করছেন। একসময় বেতনা নদীতে দেশীয় মাছ, যেমন পুঁটি, শিং, মাগুর, তেলাপিয়া ও চিংড়ি সহজেই ধরা পড়ত। এখন সেগুলোর দেখা মেলে না বললেই চলে। নদীর তীরের পাখিরাও হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক জেলে পরিবার জীবিকার অভাবে দিনমজুরে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আগে শীত এলে বেতনা নদীতে অতিথি পাখি দেখা যেত। এখন দূষণ আর নোংরা পানির কারণে পাখিরাও আসে না।’ কলেজছাত্র নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাই, বেতনা নদী আবার আগের মতো হোক। পরিষ্কার পানি থাকুক, নৌকা চলুক—এটাই আমাদের স্বপ্ন।’
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান বলেন, ‘নদীর আশপাশে অবৈধ স্থাপনা ও বাঁধের তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলা নদীরক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘোষিত বিএনপির প্রার্থী তালিকায় মাদারীপুর-১, শিবচর আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার নাম ঘোষণার পরপরই এলাকায় বিক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে জামান মোল্লার প্রার্থিতা স্থগিত করেছে বিএনপি।
৫ মিনিট আগে
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় ফাঁসিয়াখালী হাঁসের দিঘি সেনাক্যাম্পের দক্ষিণে যাত্রীবাহী মারছা বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। হতাহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (বাকসু) খসড়া গঠনতন্ত্র প্রকাশ করেছে প্রশাসন। তবে এ গঠনতন্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা লক্ষ করা গেছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা হলে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার প্রাচীন টিএন্ডটি ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে ভূতুড়ে ভবনে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার। জায়গাটি এখন পচা, ময়লা-আবর্জনাসহ নর্দমার স্থান হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও নজরদারির অভাবে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুরো অফিস এলাকা লতাপাতায় ঘিরেই আছে
৩ ঘণ্টা আগে