পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার রুবেল

উপজেলা প্রতিনিধি, মহেশপুর (ঝিনাইদহ)
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০: ১২

নিখোঁজের ৭ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় রফিকুল ইসলাম রুবেলের লাশ। এ ঘটনায় ৪ খুনিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রাম থেকে ১৮ জানুয়ারি রুবেলের লাশ উদ্ধারের পর প্রথমে ওই গ্রামের মিন্টুর ছেলে সাগরকে আটক করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সদর উপজেলার বাদপুকুরিয়া গ্রামের সোলাইমানের ছেলে শাহিন, শহিদুলের ছেলে টুটুল ও ইছহাকের ছেলে টগরকে গ্রেফতার করে। নেশার টাকার জন্য রুবেলকে অপহরণ করে তারা। পরে রুবেলকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে মুখ বেঁধে রাখা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় পরে সেখানেই তাকে হত্যা করে আসামিরা।

হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য গ্রামের একটি সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে তারা। গ্রেফতারকৃতরা বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সাগর হত্যার ক্লু উদ্ধার করল পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মধ্যরাতে নরসিংদী জেলার চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি টগরকে গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

নিহত রুবেলের ফুপু ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আম্বিয়া আক্তার লাকি জানান, শুনছি নেশার টাকার জন্য তার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। মামলার বাদী রুবেলের ভাই আশিকুর রহমান মিঠুন জানান, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা নেশাখোর ও এলাকায় চুরিদারির সঙ্গে জড়িত।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমরান জাকারিয়া জানান,আসামিরা মাদকাসক্ত। রুবেলের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ নেয়ার জন্য তারা পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক রুবেলকে ১১ জানুয়ারি অপহরণ করে হাত, পা ও মুখ বেঁধে শাহিনের পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে রাখে। মুক্তিপণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় পরে তারা রুবেলকে হত্যা করে লাশ শাহিনের বাড়ির পিছনে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।

আসামিদের তথ্য মোতাবেক সাইবার টিম সব আলামত জব্দ করেছে বলেও জানান তিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত