মাচা পদ্ধতিতে তরমুজের বাম্পার ফলন ঝিনাইদহে

টিপু সুলতান, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)
প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ০৩

চলতি বছর হলিধানি এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে মালচিং পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন জাতের তরমুজ চাষ শুরু হয়েছে। মাচা পদ্ধতিতে ঝুলন্ত তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে । এই পদ্ধতিতে তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।

মোটা অঙ্কের টাকা লাভের আশা করছেন ক্ষেত মালিক। বর্তমানে আধুনিক চাষ ব্যবস্থায় মালচিং পদ্ধতিতে চাষ, অসময়ে উৎপাদন ও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেকটা বেশি। মাটিবাহিত, বালাই প্রতিরোধ ও সেচ-সাশ্রয়ী এ পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করায় খরচ যেমন কম, তেমনি ফসলের গুণগত মানও বৃদ্ধি পেয়েছে। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে গাছ থেকে তোলা যাচ্ছে তরমুজ। ঝিনাইদহ হলিধানি এলাকার কৃষক আব্দুর রহিম ৫২ শতক জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ সম্পর্কে আগে আমার কোনো ধারণা ছিল না। চাষাবাদে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। পাশাপাশি এখানে কোনো রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করেছি ভার্মি কম্পোস্ট সার। ৫২ শতাংশ জমিতে ১১টি মাচা বা শেডে তরমুজ চাষ করা হয়েছে।

আধুনিক মালচিং পদ্ধতিতে এ আবাদ করেছি। খেতে সবমিলিয়ে ২ হাজারের বেশি ফল ধরেছে। প্রতিটি ফলের ওজন তিন থেকে পাঁচ কেজি ও পরিপক্ব হলে এই তরমুজ অনেক সুস্বাদু। দুই মাসের পরিচর্যায় ফল ধরেছে। এক সপ্তাহ পরে সংগ্রহ করা যাবে। ৫২ শতাংশ জমিতে সবমিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। তন্মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি করে দিয়েছি।

সবমিলিয়ে তরমুজ চাষ করে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর (ডিএএম) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জোরদারকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প ডিপিপির সংস্থান অনুযায়ী চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনের লক্ষ্যে এ পরিদর্শন টিম তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করেন মন্ত্রণালয়ের ফসল উইং, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম প্রধান ফেরদৌসী আখতার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের ফসল অনুবিভাগ, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ প্রধান রত্না শারমীন ঝরা, সিনিয়র সহকারী প্রধান প্রিয়াংকা দেবী পাল। এলাকার অনেক কৃষক তরমুজের ক্ষেত দেখতে আসছেন ও এটা অনেকটা অন্য ফসলের তুলনায় অধিক লাখজনক হওয়ায় অনেক কৃষক তরমুজের চাষ করবেন বলে চিন্তা করছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সার্বিক সহযোগিতা করে উচ্চ মূল্যের এ ফসল আবাদে এগিয়ে এসেছে। নতুন এ তরমুজ চাষের মাধ্যমে কৃষক যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন, অন্যদিকে আমাদের দেশের অর্থনীতিতেও চাঙ্গাভাব পরিলক্ষিত হবে। আশা করছি ঝিনাইদহ জেলায় এ ফসল চাষে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে। ঝিনাইদহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নূর এ নবী বলেন, ব্যতিক্রমী গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে জেলায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

শিবিরের হাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দখলের আওয়ামী পরিকল্পনা

১৭ বছর পর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করছে যুক্তরাষ্ট্র-বলিভিয়া

নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ–যুবলীগ কর্মীদের দিয়ে প্রেস ক্লাব গঠনের অভিযোগ

প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গভীর উদ্বেগ

শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানার আহ্বান গোলাম পরওয়ারের

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত