খুলনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানির অভিযোগ

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ২০: ৩৩

খুলনায় যুবদল নেতা মাহবুব হত্যার ঘটনায় নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

শনিবার বিকেলে খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেছেন হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার কাজী রায়হানের স্ত্রী কামরুন নাহার কেয়া, আসিফ মোল্লার স্ত্রী সাদিয়া আফরিন এবং হয়রানির শিকার ইমন হাওলাদারের মা মনিরা খাতুন।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে রায়হানের স্ত্রী কামরুন নাহার কেয়া বলেন, নিহত মাহবুবকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। এ নৃশংস হত্যার ঘৃণা প্রকাশ করছি। মাহবুব এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৯/১০টি মামলা থাকার কথা জেনেছি।

তাকে হত্যার পরদিন তার বাবা মো. আব্দুল করিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলায় নিরীহ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে হয়রানি করছে।

তিনি বলেন, হত্যায় অংশ নেওয়া তিন ব্যক্তির সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে যে মোটর সাইকেল চালাচ্ছে রায়হান, মাঝে বসা আসিফ ও পেছনের সিটে ইমন। আবার কোনো মিডিয়া লিখেছে, চালক আসিফ, রায়হান মাঝে, ইমন পেছনে। মিডিয়ার এই বিভ্রান্তিকর তথ্যে তদন্তকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি দাবি করেন, কাজী রায়হান ডিপ্লোমা নার্সিংয়ের ছাত্র। সে ঢাকার সাভারে থেকে লেখাপড়া করে। আসিফ মোল্লা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং এলাকায় তার সততার সুনাম আছে। তাদের গ্রেপ্তার হয়রানি ছাড়া আর কিছুই না।

অপর ব্যবসায়ী ইমন হাওলাদারের বাড়িতে প্রতিদিন পুলিশ যাচ্ছে। তারা নিরীহ মানুষকে অহেতুক হয়রানি বন্ধ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নেওয়ার দাবি জানান।

গত ১১ জুলাই দুপুর দেড়টায় নিজ বাড়ির সামনে মোটর সাইকেলে আসা তিন অস্ত্রধারী যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে গুলি করে ও দু পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। পুলিশ এ ঘটনায় মুদিদোকানি সজল শেখ ও ইঞ্জিন ভ্যানচালক আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। ১৭ জুলাই পুলিশ ও ডিবি আসিফ মোল্লা এবং রায়হান নামে আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত