ভারতে নিহত এমপি আনারের মেয়ে ডরিনের স্বামী আটক

জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ০১
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ১০

বহুল আলোচিত আনোয়ারুল ইসলাম আনার এমপির মেয়ে ডরিনের স্বামী, সম্রাটের কেসিনো বাহিনীর সদস্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেন ইমিগ্রেশনে জালিয়াতি করে আইনের জালে ধরা পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একাধিক বিদেশ সফরসঙ্গী এই বিতর্কিত নেতার ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতের গেদে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পাসপোর্টের সিল জালিয়াতি প্রতীয়মান হয়। পরে তারা দর্শনা ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করে চেকপোস্টে ফেরত পাঠালে সন্ধ্যায় ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দর্শনা থানা পুলিশ বিষয়টি সংবাদকর্মীদের না জানিয়ে গোপন করে। পরে প্রতারণার মামলা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করেন। আটককৃত জুবায়ের হোসেন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার রাজের গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে। তার পাসপোর্ট নম্বর ই-০০৪৪৮২০।

দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই তুহিন হোসেন জানান, জুবায়ের গত বছরের ২৪ নভেম্বর বৈধভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু সেখানে অবস্থানকালে সে বাংলাদেশি ইমিগ্রেশনের জাল সিল তৈরি করে। গত বৃহস্পতিবার দর্শনা ইমিগ্রেশন এড়িয়ে জালকৃত ভুয়া সিলের এন্ট্রি দেখিয়ে সম্ভবত দর্শনা রেললাইন ধরে গেদে ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে। ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ তার পাসপোর্টের সিল অন্যদের চেয়ে আলাদা হওয়ায় সন্দেহপূর্বক দর্শনা ইমিগ্রেশনের সাথে যোগাযোগ করে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে হাতেনাতে আটক করে দর্শনায় ফেরত পাঠায়। দর্শনা চেকপোস্টে আসার পর দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশ সিল জালিয়াতির প্রমাণ পায়। পরে এসআই তুহিন হোসেন বাদী হয়ে প্রতারণার মামলা দায়ের করে দর্শনা থানায় সোপর্দ করে।

বর্তমানে মাদকের স্বর্গরাজ্য খ্যাত দর্শনা থেকে মাত্র ৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে এই সাফল্য দেখানোর জন্য সংবাদকর্মীদের ডেকে দর্শনা থানা পুলিশ দেখালেও অজ্ঞাত কারণে আলোচিত প্রধানমন্ত্রীর বারবার সফরসঙ্গী হওয়া এমপি আনারের জামাই আটকের সংবাদটি চেপে যাওয়ায় সংবাদকর্মীরা বিস্মিত হয়েছেন। তারা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি খতিয়া দেখার অনুরোধ করেছে।

তবে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীর জানান, শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি সংবাদকর্মীদের না জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যস্ততায় ভুলে গিয়েছিলাম। তবে গত রাত পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেসরিলিজ দেয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে থাকা জুবায়ের হোসেনের নাম এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে আসে। কেসিনো কাণ্ডের সময় তিনি ছিলেন আলোচিত সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও কেসিনো বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে শেখ হেলালের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পারিবারিক সম্পর্ক তাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। কারণ তিনি মাফিয়া খ্যাত আনার এমপির মেয়ে ডরিনের স্বামী। সবশেষে রাজনৈতিক ও পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগে আড়ালে থাকলেও এবার আইনের জালে আটকা পড়লেন জুবায়ের হোসেন।

মাওলানা মুহিবুল্লাহ মাদানি নিখোঁজ, সন্দেহের তীর ইসকনের দিকে

সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন তালুকদারের মৃত্যুতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের শোক

রাবাদার রেকর্ডে স্বস্তিতে প্রোটিয়ারা

যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে খামেনির উপহাস

হোয়াইট হাউসে বলরুম নিয়ে রহস্য, নির্মাণে টাকা দিচ্ছে কারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত