খায়রুল আরেফিন রানা, নড়াইল
মিষ্টি ঘ্রাণে প্রকৃতি মাতিয়ে নড়াইলে ফুটেছে ছাতিম ফুল। এ ফুলে ছেয়ে গেছে ছাতিম বৃক্ষ। শরতের দূতখ্যাত শুভ্র সে ফুলের অপার সৌন্দর্য শারদীয় প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। অনন্তকাল ধরে শরৎ-হেমন্তকে ঘিরে ছাতিম ফুলের সৌরভ প্রকৃতি প্রেমীদের অনাবিল আনন্দ বিলিয়ে চলেছে।
ছাতিম গাছ একটি গুল্ম জাতীয় চিরহরিৎ বা চিরসবুজ উদ্ভিদ। দীর্ঘকায় এই উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলারিস। ছাতিম গাছকে ইংরেজিতে ডেভিল টি ও ব্লাকবোর্ড ট্রি বলে। ছাতিম কাঠ ব্লাকবোর্ড ও কাঠপেন্সিল তৈরিতে ব্যবহার হয় বলে এর এমন নামকরণ। বহু শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট ছাতিম বৃক্ষ ১৫ থেকে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এর কাণ্ডের উপরিভাগ পত্রপল্লবে ছাতার মতো ঝাঁপটানো বলেই হয়তো এ গাছের ছাতিম নামকরণ হয়েছে। ছাতিম পাতা দেখতে উপবৃত্তকার লম্বাটে। গাছের প্রতিটি শাখা শীর্ষে চার থেকে সাতটি পাতা
চক্রাকারে যুক্ত থাকে। এজন্য সংস্কৃত ভাষায় সপ্তপর্ণা বা সপ্তপর্ণ নামে ছাতিম গাছের পরিচিতি রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নড়াইলের আঞ্চলিক ভাষায় ছাতিয়ান, ছাইত্যেন গাছও বলা হয়ে থাকে। শরতের মাঝামাঝি থেকে হালকা সবুজ আভার প্রলেপ মাখা সাদা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছাতিম ফুল থোকায় থোকায় ফুটতে শুরু করে। হেমন্তের শেষভাগে শীতের আগমন পর্যন্ত ছাতিম গাছ ফুল দেয়। অর্থাৎ আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত ছাতিম ফুল ফোটে। এ সময় ছাতিম শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে গুচ্ছ গুচ্ছ ছাতিম ফুলে ভরে ওঠে, ফুটন্ত ফুলে মধু আহরণে আনাগোনা করে মৌমাছি। ছোট ছোট ছাতিম ফুলের সমষ্টির পুষ্পস্তবক ঘিরে থাকে ছয়-সাতটি ছাতিম পাতা। সন্ধ্যা ঘনাতেই ছাতিম ফুল সুবাস ছড়াতে শুরু করে, রাত যত গভীর হয় বাড়তে থাকে ঘ্রাণের তীব্রতা। মাতাল করা সে ঘ্রাণ রাতের প্রকৃতির ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় ভেসে বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আবার ক্রমে তা মিলিয়ে যায়।
ছাতিম ফুলের চিরায়ত রূপ মাধুর্য আর আবেদনময়ী সুঘ্রাণের জন্য ছাতিম তরু বাংলা সাহিত্যের গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গানে সমহিমায় জায়গা করে নিয়েছে।
‘রাত্রি গভীর হয়। ছাতিম ফুলের উগ্র সুবাসে হেমন্তের আঁচলাগা শিশিরাদ্র নৈশবায়ু ভরিয়া যায়। মধ্যরাতে বেনুবন শীর্ষে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের ম্লান জ্যোৎস্না উঠিয়ে শিশিরসিক্ত গাছপালার ডালে পাতায় চিকচিক করছে’। ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘পথের পাঁচালী’উপন্যাসে এভাবে ছাতিম ফুলের সুবাস সৌন্দর্যের গুনগান করেন।
নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মা ছাতিম ফুলকে হেমন্তের অঙ্গনে শীতকে অভ্যর্থনা জানানো এক মাত্র তরু হিসেবে চিহ্নিত করতে গিয়ে বলেছেন, প্রস্ফুটনের এমন অবারিত উচ্ছ্বাস, ফুলের অক্লান্ত নির্ঝর এবং দূরাবাহী প্রবল উগ্র গন্ধের ঐশ্বর্য আর কোনো তরুরই নেই।
এদিকে নানা ঔষধি গুণের আদি ঐতিহ্য রয়েছে ছাতিম গাছের। ছাতিম গাছের ছাল চূর্ণ ও এর কষ বিভিন্ন দ্রব্য সহযোগে সেবনে জ্বর, গ্যাসের সমস্যা, হাঁপানি, বাতের সমস্যা, দাঁতের মাঢ়ি সংক্রমণ, কাশিসহ নানা রোগ নিরাময় হয়ে থাকে।
নড়াইল আব্দুল হাই সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মল্লিক বলেন, ঠিক যেমন বর্ষা আগমন বারতা নিয়ে প্রকৃতি আলো করে কদম ফুল পাঁপড়ি মেলে, ঠিক তেমনি শরতের দূত হয়ে প্রকৃতিতে আবির্ভূত হয় ছাতিম ফুল। ছাতিম গাছ বিপন্ন প্রায় প্রজাতির একটি বৃক্ষ উল্লেখ করে মনিরুজ্জামান বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিরোধে পরিবেশবিদরা যে সব গাছ লাগানোর উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সেই তালিকায় বটবৃক্ষ, আম, কাঁঠালের পাশাপাশি ছাতিম গাছের নামও রয়েছে। তিনি শরৎ ও হৈমন্তী নৈসর্গের অনবদ্য অনুষঙ্গ বিপন্ন প্রজাতির ছাতিম গাছ রক্ষায় সবাইকে যত্নশীল হবার আহ্বান
মিষ্টি ঘ্রাণে প্রকৃতি মাতিয়ে নড়াইলে ফুটেছে ছাতিম ফুল। এ ফুলে ছেয়ে গেছে ছাতিম বৃক্ষ। শরতের দূতখ্যাত শুভ্র সে ফুলের অপার সৌন্দর্য শারদীয় প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। অনন্তকাল ধরে শরৎ-হেমন্তকে ঘিরে ছাতিম ফুলের সৌরভ প্রকৃতি প্রেমীদের অনাবিল আনন্দ বিলিয়ে চলেছে।
ছাতিম গাছ একটি গুল্ম জাতীয় চিরহরিৎ বা চিরসবুজ উদ্ভিদ। দীর্ঘকায় এই উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলারিস। ছাতিম গাছকে ইংরেজিতে ডেভিল টি ও ব্লাকবোর্ড ট্রি বলে। ছাতিম কাঠ ব্লাকবোর্ড ও কাঠপেন্সিল তৈরিতে ব্যবহার হয় বলে এর এমন নামকরণ। বহু শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট ছাতিম বৃক্ষ ১৫ থেকে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এর কাণ্ডের উপরিভাগ পত্রপল্লবে ছাতার মতো ঝাঁপটানো বলেই হয়তো এ গাছের ছাতিম নামকরণ হয়েছে। ছাতিম পাতা দেখতে উপবৃত্তকার লম্বাটে। গাছের প্রতিটি শাখা শীর্ষে চার থেকে সাতটি পাতা
চক্রাকারে যুক্ত থাকে। এজন্য সংস্কৃত ভাষায় সপ্তপর্ণা বা সপ্তপর্ণ নামে ছাতিম গাছের পরিচিতি রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নড়াইলের আঞ্চলিক ভাষায় ছাতিয়ান, ছাইত্যেন গাছও বলা হয়ে থাকে। শরতের মাঝামাঝি থেকে হালকা সবুজ আভার প্রলেপ মাখা সাদা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছাতিম ফুল থোকায় থোকায় ফুটতে শুরু করে। হেমন্তের শেষভাগে শীতের আগমন পর্যন্ত ছাতিম গাছ ফুল দেয়। অর্থাৎ আগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত ছাতিম ফুল ফোটে। এ সময় ছাতিম শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে গুচ্ছ গুচ্ছ ছাতিম ফুলে ভরে ওঠে, ফুটন্ত ফুলে মধু আহরণে আনাগোনা করে মৌমাছি। ছোট ছোট ছাতিম ফুলের সমষ্টির পুষ্পস্তবক ঘিরে থাকে ছয়-সাতটি ছাতিম পাতা। সন্ধ্যা ঘনাতেই ছাতিম ফুল সুবাস ছড়াতে শুরু করে, রাত যত গভীর হয় বাড়তে থাকে ঘ্রাণের তীব্রতা। মাতাল করা সে ঘ্রাণ রাতের প্রকৃতির ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় ভেসে বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে আবার ক্রমে তা মিলিয়ে যায়।
ছাতিম ফুলের চিরায়ত রূপ মাধুর্য আর আবেদনময়ী সুঘ্রাণের জন্য ছাতিম তরু বাংলা সাহিত্যের গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গানে সমহিমায় জায়গা করে নিয়েছে।
‘রাত্রি গভীর হয়। ছাতিম ফুলের উগ্র সুবাসে হেমন্তের আঁচলাগা শিশিরাদ্র নৈশবায়ু ভরিয়া যায়। মধ্যরাতে বেনুবন শীর্ষে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের ম্লান জ্যোৎস্না উঠিয়ে শিশিরসিক্ত গাছপালার ডালে পাতায় চিকচিক করছে’। ঔপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘পথের পাঁচালী’উপন্যাসে এভাবে ছাতিম ফুলের সুবাস সৌন্দর্যের গুনগান করেন।
নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মা ছাতিম ফুলকে হেমন্তের অঙ্গনে শীতকে অভ্যর্থনা জানানো এক মাত্র তরু হিসেবে চিহ্নিত করতে গিয়ে বলেছেন, প্রস্ফুটনের এমন অবারিত উচ্ছ্বাস, ফুলের অক্লান্ত নির্ঝর এবং দূরাবাহী প্রবল উগ্র গন্ধের ঐশ্বর্য আর কোনো তরুরই নেই।
এদিকে নানা ঔষধি গুণের আদি ঐতিহ্য রয়েছে ছাতিম গাছের। ছাতিম গাছের ছাল চূর্ণ ও এর কষ বিভিন্ন দ্রব্য সহযোগে সেবনে জ্বর, গ্যাসের সমস্যা, হাঁপানি, বাতের সমস্যা, দাঁতের মাঢ়ি সংক্রমণ, কাশিসহ নানা রোগ নিরাময় হয়ে থাকে।
নড়াইল আব্দুল হাই সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মল্লিক বলেন, ঠিক যেমন বর্ষা আগমন বারতা নিয়ে প্রকৃতি আলো করে কদম ফুল পাঁপড়ি মেলে, ঠিক তেমনি শরতের দূত হয়ে প্রকৃতিতে আবির্ভূত হয় ছাতিম ফুল। ছাতিম গাছ বিপন্ন প্রায় প্রজাতির একটি বৃক্ষ উল্লেখ করে মনিরুজ্জামান বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিরোধে পরিবেশবিদরা যে সব গাছ লাগানোর উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সেই তালিকায় বটবৃক্ষ, আম, কাঁঠালের পাশাপাশি ছাতিম গাছের নামও রয়েছে। তিনি শরৎ ও হৈমন্তী নৈসর্গের অনবদ্য অনুষঙ্গ বিপন্ন প্রজাতির ছাতিম গাছ রক্ষায় সবাইকে যত্নশীল হবার আহ্বান
নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১৩ মিনিট আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৩২ মিনিট আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
২ ঘণ্টা আগে