মিথ্যা সাক্ষীতে ঝুলানো হয়েছে নিরপরাধ মানুষদের: আজহারি

জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৪২
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৫২

জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, মিথ্যা বলা মহাপাপ। অনেকেই আদালতে মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছেন। ফলে ফাঁসির দণ্ড পেয়েছে নিরপরাধ অনেক মানুষ। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) জীবনে কখনো মিথ্যা বলেননি। তাই তাদের সমর্থন করা যাবে না। সত্য মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করে। আর মিথ্যা জাহান্নামের দিকে ঠেলে দেয়।

শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে পবিত্র কুরআনের সুরা আহযাবের ৩৫ নম্বর আয়াতের তাফসিরের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আজহারি বলেন, এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ১০টি বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন। এর মাধ্যমে নারীদের সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। আল্লাহ মুসলিম নারী ও পুরুষ উভয়কেই ভালোবাসেন। কেউ যদি নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করেন, তবে তাকে অবশ্যই আল্লাহর আদেশ মানতে হবে। যারা আল্লাহর আদেশের সামনে আত্মসমর্পণ করেন, তারাই প্রকৃত মুসলিম।

তিনি বলেন, ধৈর্যশীল নারী ও পুরুষদের আল্লাহ ভালোবাসেন। বিপদে ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের মৌলবাদী বা রাজাকার বলে গালি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন রাজাকার শব্দটি একপ্রকার ‘অ্যাওয়ার্ড’-এ পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি বদলাতে আল্লাহর বেশি সময় লাগে না।

এই ইসলামিক স্কলার বলেন, এ দেশের আসল পরিচয় হলো ইসলাম। যারা ইসলামের কিংবা কুরআনের কথা বলেন, তারা ধর্ম ব্যবসায়ী নন। আলেমদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যাবে না, তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা যাবে না। কেউ আলেমদের বিরুদ্ধে দাঁড়ালে দুনিয়াও শেষ, আখিরাতও শেষ। সবমিলিয়ে ইসলামবিরোধী কোনো মতবাদ মেনে নেয়া যাবে না।

মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন হাফেজ মাওলানা নূরুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. কামরুল হাসান মিলন ও যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সোহেল।

বিশাল এ মাহফিলে বয়ান করেন শাইখ শাহ ওয়ালী উল্লাহ, বেতার ও টেলিভিশনের তাফসিরকারক শাইখ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার।

মাহফিল ঘিরে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে লাখো মানুষের ঢল নামে। দুই লাখ বর্গফুটের প্যান্ডেল ছাড়াও ১৬ একর এলাকাজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আশপাশের পার্ক ও সড়কজুড়ে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। জিলা স্কুল মাঠ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠ ও উমেদ আলী মাঠেও অংশ নেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। জিলা স্কুল হোস্টেল মাঠে কয়েক হাজার নারী উপস্থিত ছিলেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত