বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিদ্যুৎ সমিতির মিটার সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। নষ্ট মিটার পরিবর্তনের অভাবে অনেকের বিদ্যুৎ বিল গড় হিসেবে নির্ধারণ করা হচ্ছে, ফলে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন, মিটার রিডাররা নষ্ট মিটারের মনগড়া রিডিং রিপোর্ট করছেন। এর ফলে প্রতি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল দিতে হচ্ছে। কেউ কেউ বিলের অসঙ্গতি নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করলেও সমাধান মিলছে না।
ধুনট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, অনেক গ্রাহক প্রতিদিনই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ কর্মকর্তাদের পরামর্শে লিখিত আবেদনও করেছেন, কিন্তু মিটার সংকটের কারণে সমাধান বিলম্বিত হচ্ছে।
খাদুলী গ্রামের গ্রাহক মসলিম উদ্দিন বলেন, ‘অন্যবারের তুলনায় বেশি বিল আসায় অফিসে যাই। পরে তারা আবেদন করতে বলে, কিন্তু অফিসে মিটার না থাকায় গড় বিল করেই চালিয়ে যাচ্ছে।’
পাঁচথুপি গ্রামের বেলাল জানান, ‘প্রায় দেড় বছর ধরে মিটারে সমস্যা। অফিসে গেলে বলে মিটার নাই, আসলে বদলাবে। এখন তাদের ইচ্ছামতো বিল করে দিচ্ছে।’
গোপালনগর গ্রামের এক গ্রাহক বলেন, ‘দুটি মিটারে একই সমস্যা। আগের চেয়ে এখন দ্বিগুণ বিল দিতে হচ্ছে।’
ধুনট জোনাল অফিসের উপ-জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) কামাল পাশা বলেন, ‘আমাদের জোনে আবাসিক ও সেচ মিলিয়ে প্রায় ৯৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী মিটার সরবরাহ না থাকায় নতুন সংযোগ দেওয়া ও নষ্ট মিটার পরিবর্তন দুটোই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার মিটার নষ্ট অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশাকরি খুব শিগগিরই এই সংকট কেটে যাবে।’

