রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র
ওহিদুল ইসলাম সোহেল, ঈশ্বরদী (পাবনা)
দেশের সবচেয়ে বড় ও স্পর্শকাতর অবকাঠামো পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের। নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি, ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর চরদের চাকরি দেওয়া নিয়ে সমালোচনার পর জানা গেল নতুন অপতৎপরতার তথ্য।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য গঠিত কোম্পানি এনপিসিবিএলের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের চেষ্টা চলছে। গুরুত্বপূর্ণ এই পদের জন্য বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা ড. জাহেদুল হাছানকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কয়েকটি সূত্র বলছে, ড. জাহেদুলকে সরকারি চাকরি আইন ও পরমাণু শক্তি কমিশনের বিধিমালা ভঙ্গ করে গত ২৮ মে এনপিসিবিএলের অন্তর্বর্তীকালীন এমডি করা হয়। অথচ এর মাত্র তিনদিন আগে তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যান। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের নিয়োগ বৈধ নয়।
হয়রানির শিকার হওয়ার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, আওয়ামী মন্ত্রীর সুপারিশে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই ড. জাহেদুল ফ্যাসিবাদী সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তা হিসেবে চুক্তি, পদবিন্যাস ও নিয়োগে প্রভাব খাটিয়েছেন। এমনকি ২০২৪ সালের ১৫ মে ভারতীয় হাইকমিশনের সুপারিশ ও শেখ রেহানার ঘনিষ্ঠ মহলের আশীর্বাদে তাকে প্রকল্প পরিচালক করা হয়।
নিয়োগ বোর্ড-সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, সেই বিতর্কিত কর্মকর্তাকে এবার পূর্ণাঙ্গ এমডি নিয়োগের পেছনে যারা কলকাঠি নাড়ছেন, তাদের অন্যতম মঈনুল ইসলাম তিতাস। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এনপিসিবিএল বোর্ড সদস্য হওয়ায় নিয়োগে তার বেশ প্রভাব আছে। তিনি ‘জাহেদুল ছাড়া বিকল্প নেই’ তত্ত্ব রটিয়ে এমডি পদে বসিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, শিগগিরই প্রকল্পের তিনটি নতুন চুক্তি (অপারেশন, মেইনটেন্যান্স ও স্পেয়ার পার্টস) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব কাজের জন্য নতুন কোনো চুক্তির দরকার নেই বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। আগেই রাশিয়ার সঙ্গে করা মূল চুক্তির ভেতর এসব অন্তর্ভুক্ত আছে। নতুন চুক্তি মানে বাড়তি ব্যয়ের সুযোগ তৈরি করা। আর তার আড়ালেই শত শত বিদেশিকে অস্বাভাবিক উচ্চ বেতনে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে, যা প্রকল্প ব্যয়কে আরো ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলবে।
একই সঙ্গে প্রকল্পের জন্য তৈরি করা এনপিসিবিএল কার্যকর না করায় স্থানীয় জনবল তৈরির কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বরং বিদেশিদের হাতে পুরো বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার ভার তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এমনকি তিন শতাধিক প্রশিক্ষিত প্রকৌশলীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনার কথাও শোনা যাচ্ছে।
রূপপুর প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি নতুন কিছু নয়। ২০২৪ সালের আগস্টে এক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পায়। পরে দেশের গণমাধ্যমেও তা আলোচিত হয়। দুদকসহ একাধিক সংস্থা বিষয়টি তদন্তও শুরু করেছে। ভোক্তা অধিকার সুরক্ষার সংগঠন ক্যাবও লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ড. জাহেদের বিরুদ্ধে।
প্রকল্পের বাজেট আট বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। কিন্তু অডিট রিপোর্ট বলছে, এ বাড়তি বাজেটের সপক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্রই নেই। অভিযোগ রয়েছে, রাশিয়া থেকে যন্ত্রপাতি আমদানির অস্বাভাবিক দাম নির্ধারণেও জড়িত ড. জাহেদুল।
অভিযোগকারীরা বলছেন, একইসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক, এমডি, স্টেশন ডিরেক্টর ও মানবসম্পদ প্রধানের দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়ে প্রকল্পকে একাই নিয়ন্ত্রণ করছেন। খবরদারি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তিনি একদিনে ১৮৬টি কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেও রেকর্ড গড়েছেন। সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচে প্রশিক্ষিত ১৮ প্রকৌশলী ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে বিনা কারণে অব্যাহতি দিয়েছেন, ১১ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, এসব অভিজ্ঞ কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকলে ১৩ বিলিয়ন ডলারের ব্যয়ের হিসাব ফাঁস হয়ে যেত। তাই তাদের সরিয়ে দিয়ে প্রকল্পকে নিজের কব্জায় রেখেছেন ড. জাহেদুল।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তার কার্যকলাপ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়ম নিয়ে কেউ সরব হলেই তাকে শোকজ, বরখাস্ত কিংবা প্রকল্পে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এত সব কেলেঙ্কারির মধ্যে ডুবে থাকায় এখনো জাতীয় গ্রিডে এক ইউনিট বিদ্যুৎও দিতে পারেনি রূপপূর প্রকল্প। যন্ত্রপাতি স্থাপন ও পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় কার্যক্রম আরো বিলম্বিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজ আড়াই বছর পিছিয়েছে। অথচ প্রতিদিন বাংলাদেশ রাশিয়াকে ঋণের সুদ হিসেবে দিতে হচ্ছে ১০ কোটিরও বেশি টাকা!
প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক ছত্রছায়া আর স্বেচ্ছাচারিতায় রূপপুর প্রকল্প অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ফিরিয়ে আনা না গেলে এবং অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদদের পুনর্বহাল না করলে এ প্রকল্প জাতীয় স্বার্থের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এনপিসিবিএলের বোর্ড সদস্য মঈনুল ইসলাম তিতাসের কাছে ড. জাহেদুলকে এমডি নিয়োগে তৎপর এবং নেপথ্যে কাজ করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এনপিসিবিএলের এমডি নিয়োগের বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত এখতিয়ার বা সংশ্লিষ্টতা নেই। বরং এ বিষয়ে সচিবালয়ে গিয়ে জ্যেষ্ঠ সচিবের সঙ্গে কথা বলুন।
পূর্ণাঙ্গ এমডি হিসেবে থাকতে প্রভাব খাটানোর অভিযোগের বিষয়ে জানতে ড. জাহেদুলের মোবাইল ফোনে একাধিক দিন কল দিলেও তিনি লাইন কেটে দেন। এমনকি আমার দেশ-এর পরিচয় দিয়ে তার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও তিনি তার কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলতে বলেন। তবে সেখানে সাধারণের প্রবেশের সুযোগ নেই। সাংবাদিক পরিচয়ে প্রবেশাধিকার থাকলেও তা পাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার।
দেশের সবচেয়ে বড় ও স্পর্শকাতর অবকাঠামো পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না নির্মাণাধীন এই প্রকল্পের। নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি, ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর চরদের চাকরি দেওয়া নিয়ে সমালোচনার পর জানা গেল নতুন অপতৎপরতার তথ্য।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য গঠিত কোম্পানি এনপিসিবিএলের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের চেষ্টা চলছে। গুরুত্বপূর্ণ এই পদের জন্য বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা ড. জাহেদুল হাছানকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কয়েকটি সূত্র বলছে, ড. জাহেদুলকে সরকারি চাকরি আইন ও পরমাণু শক্তি কমিশনের বিধিমালা ভঙ্গ করে গত ২৮ মে এনপিসিবিএলের অন্তর্বর্তীকালীন এমডি করা হয়। অথচ এর মাত্র তিনদিন আগে তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যান। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের নিয়োগ বৈধ নয়।
হয়রানির শিকার হওয়ার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, আওয়ামী মন্ত্রীর সুপারিশে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই ড. জাহেদুল ফ্যাসিবাদী সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তা হিসেবে চুক্তি, পদবিন্যাস ও নিয়োগে প্রভাব খাটিয়েছেন। এমনকি ২০২৪ সালের ১৫ মে ভারতীয় হাইকমিশনের সুপারিশ ও শেখ রেহানার ঘনিষ্ঠ মহলের আশীর্বাদে তাকে প্রকল্প পরিচালক করা হয়।
নিয়োগ বোর্ড-সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, সেই বিতর্কিত কর্মকর্তাকে এবার পূর্ণাঙ্গ এমডি নিয়োগের পেছনে যারা কলকাঠি নাড়ছেন, তাদের অন্যতম মঈনুল ইসলাম তিতাস। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এনপিসিবিএল বোর্ড সদস্য হওয়ায় নিয়োগে তার বেশ প্রভাব আছে। তিনি ‘জাহেদুল ছাড়া বিকল্প নেই’ তত্ত্ব রটিয়ে এমডি পদে বসিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, শিগগিরই প্রকল্পের তিনটি নতুন চুক্তি (অপারেশন, মেইনটেন্যান্স ও স্পেয়ার পার্টস) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব কাজের জন্য নতুন কোনো চুক্তির দরকার নেই বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। আগেই রাশিয়ার সঙ্গে করা মূল চুক্তির ভেতর এসব অন্তর্ভুক্ত আছে। নতুন চুক্তি মানে বাড়তি ব্যয়ের সুযোগ তৈরি করা। আর তার আড়ালেই শত শত বিদেশিকে অস্বাভাবিক উচ্চ বেতনে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে, যা প্রকল্প ব্যয়কে আরো ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলবে।
একই সঙ্গে প্রকল্পের জন্য তৈরি করা এনপিসিবিএল কার্যকর না করায় স্থানীয় জনবল তৈরির কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বরং বিদেশিদের হাতে পুরো বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার ভার তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এমনকি তিন শতাধিক প্রশিক্ষিত প্রকৌশলীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনার কথাও শোনা যাচ্ছে।
রূপপুর প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি নতুন কিছু নয়। ২০২৪ সালের আগস্টে এক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পায়। পরে দেশের গণমাধ্যমেও তা আলোচিত হয়। দুদকসহ একাধিক সংস্থা বিষয়টি তদন্তও শুরু করেছে। ভোক্তা অধিকার সুরক্ষার সংগঠন ক্যাবও লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ড. জাহেদের বিরুদ্ধে।
প্রকল্পের বাজেট আট বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। কিন্তু অডিট রিপোর্ট বলছে, এ বাড়তি বাজেটের সপক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্রই নেই। অভিযোগ রয়েছে, রাশিয়া থেকে যন্ত্রপাতি আমদানির অস্বাভাবিক দাম নির্ধারণেও জড়িত ড. জাহেদুল।
অভিযোগকারীরা বলছেন, একইসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক, এমডি, স্টেশন ডিরেক্টর ও মানবসম্পদ প্রধানের দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়ে প্রকল্পকে একাই নিয়ন্ত্রণ করছেন। খবরদারি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তিনি একদিনে ১৮৬টি কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেও রেকর্ড গড়েছেন। সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচে প্রশিক্ষিত ১৮ প্রকৌশলী ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে বিনা কারণে অব্যাহতি দিয়েছেন, ১১ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, এসব অভিজ্ঞ কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকলে ১৩ বিলিয়ন ডলারের ব্যয়ের হিসাব ফাঁস হয়ে যেত। তাই তাদের সরিয়ে দিয়ে প্রকল্পকে নিজের কব্জায় রেখেছেন ড. জাহেদুল।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তার কার্যকলাপ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়ম নিয়ে কেউ সরব হলেই তাকে শোকজ, বরখাস্ত কিংবা প্রকল্পে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এত সব কেলেঙ্কারির মধ্যে ডুবে থাকায় এখনো জাতীয় গ্রিডে এক ইউনিট বিদ্যুৎও দিতে পারেনি রূপপূর প্রকল্প। যন্ত্রপাতি স্থাপন ও পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় কার্যক্রম আরো বিলম্বিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজ আড়াই বছর পিছিয়েছে। অথচ প্রতিদিন বাংলাদেশ রাশিয়াকে ঋণের সুদ হিসেবে দিতে হচ্ছে ১০ কোটিরও বেশি টাকা!
প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক ছত্রছায়া আর স্বেচ্ছাচারিতায় রূপপুর প্রকল্প অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ফিরিয়ে আনা না গেলে এবং অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদদের পুনর্বহাল না করলে এ প্রকল্প জাতীয় স্বার্থের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এনপিসিবিএলের বোর্ড সদস্য মঈনুল ইসলাম তিতাসের কাছে ড. জাহেদুলকে এমডি নিয়োগে তৎপর এবং নেপথ্যে কাজ করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এনপিসিবিএলের এমডি নিয়োগের বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত এখতিয়ার বা সংশ্লিষ্টতা নেই। বরং এ বিষয়ে সচিবালয়ে গিয়ে জ্যেষ্ঠ সচিবের সঙ্গে কথা বলুন।
পূর্ণাঙ্গ এমডি হিসেবে থাকতে প্রভাব খাটানোর অভিযোগের বিষয়ে জানতে ড. জাহেদুলের মোবাইল ফোনে একাধিক দিন কল দিলেও তিনি লাইন কেটে দেন। এমনকি আমার দেশ-এর পরিচয় দিয়ে তার হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও তিনি তার কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলতে বলেন। তবে সেখানে সাধারণের প্রবেশের সুযোগ নেই। সাংবাদিক পরিচয়ে প্রবেশাধিকার থাকলেও তা পাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার।
বুধবার ভোর রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ২৩০ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ওই এলাকার বারকোনা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।
১২ মিনিট আগেমঙ্গলবার রাতে ১২টার দিকে তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে। এসময় চালসহ একটি অটোরিকশা জব্দ করলেও বাকি দুটি রিকশা দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়।
১৮ মিনিট আগেবিএনপি নেতা সামছুল ইসলাম জেলার সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক। ছাড়া পাওয়া দুই আসামি হলেন, সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা (৪০) ও একই কমিটির সদস্য মামুন আহমেদ (৩৮)।
৩০ মিনিট আগেমৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকায় হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত গাড়িচাপায় এক কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি) সদস্য নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে