৭ দিনেও স্ত্রীকে খুঁজে পাননি বাবু

উপজেলা প্রতিনিধি, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৯: ৪৮
লিফলেট বিতরণ করছেন বাবু

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বেড়াতে এসে মানসিক প্রতিবন্ধী স্ত্রী জয়া আলমকে হারিয়ে ৭ দিনেও খুঁজে পাননি তার স্বামী মঞ্জুর আলম বাবু।

বিজ্ঞাপন

গত শনিবার স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশি গ্রাম ইউনিয়নের কাটাগাড়ী গ্রামে বোনের বাড়িতে মোটরবাইকে বেড়াতে আসেন। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে দুপুরের খাবার খেতে বসেন। এক ফাঁকে স্ত্রী জয়া আলম উঠানে কাজ আছে বলে বের যান। তারপর খাওয়া শেষে বাহিরে এসে মঞ্জুর আলম দেখেন তার স্ত্রী নেই। তখন থেকেই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। কিন্তু গত ৭ দিনেও বাবু তার স্ত্রীকে খুঁজে পাননি। তাকে খুঁজে না পেয়ে বাবুরও এখন পাগলপ্রায় অবস্থা। মঞ্জুর আলম বাবুর বাড়ি পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকায়। তিনি পেশায় ট্রাকচালক।

বাবু জানান, তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী জয়াকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। জয়ার প্রতি তার এতই ভালোবাসা যে ট্রাক চালিয়ে গভীর রাতে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ছাড়া খাবার মুখে তোলেন না। আবার

স্ত্রীর মাথায় তেল দেয়া, তার পোশাক পরিষ্কার করা, নখ কাটাসহ সব কাজ করে দিতেন। কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে জয়াকে সঙ্গে নিতেন। ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে তিনি এখন পাগলের মতো।

তিনি এখন তাড়াশ এলাকার আনাচে-কানাচে খুঁজে ফিরছেন জয়াকে। কিন্তু ৭ দিনেও তার সন্ধান করতে পারেনি বাবু।

বৃহস্পতিবার সকালে তাড়াশ পৌর সদরের বারোয়ারী বটতলা এলাকায় স্ত্রীর সন্ধানে ছবি ও মোবাইল নাম্বার সংবলিত লিফলেট বিতরণ করেন বাবু।

এ সময় মঞ্জুর আলম বাবু জানান, ৭ দিন স্ত্রী জয়া আলমকে খুঁজতে তিনি নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। স্ত্রীকে খুঁজতে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার মোটরবাইক চালিয়েছেন। লিফলেট বিতরণ করেছেন প্রায় দশ হাজারের মতো। মুখে মুখে অবহিত করেছেন এলাকার শত শত মানুষকে। কান্নাজড়িত কন্ঠে প্রতিবন্ধী স্ত্রীর খোঁজ পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আর ভুক্তভোগী থানাকে অবহিত বা সাধারণ ডায়েরিও করেনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত