চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক স্কুলছাত্রী পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। আর সেই পাশবিক নির্যাতণের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে ধর্ষণকারিরা। এনিয়ে তোলপাড় চলছে শিবগঞ্জ উপজেলায়। ঘটনার পর শিবগঞ্জ পৌর এলাকার ওই স্কুল ছাত্রীর মা গত ১০ নভেম্বর শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপর শিবগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নয়ন আলী (২১) ও ইমন (২৫) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে পলাতক রয়েছে মো. েজাহাঙ্গীর আলি (২৭)।
আটক নয়ন শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের হাঙ্গামী গ্রামের মো.মোকিম আলীর ছেলে এবং ইমন একই উপজেলার চরসিংনগর গ্রামের নুৎফল মিস্ত্রির ছেলে। পলাতক রয়েছে হাঙ্গামী গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলি।
নির্যাতণের স্বীকার স্কুল ছাত্রীর স্বজনরা জানান, আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজের এইচএসসি পড়ুয়া ইমনের সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারণে পদ্মার চরে ঘুরতে যায় তারা। এরপরেই পাশবিক নির্যাতণের স্বীকার হন ছাত্রীটি। এর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে ধর্ষণকারিরা। এতে সাড়া না দিলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।এরপর থেকেই ভেঙে পড়েছে ওই স্কুল ছাত্রী। তারা ঘটনার তদন্ত করে সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
স্কুল ছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতণের বিষয়ে জানতে চাইলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। যেহুতু দীর্ঘদিন পরে এসেছে,আসামীদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠাতে হবে।
শিবগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হলেন শাকিল রেজা বলেন, কলেজ পড়ুয়া নয়নের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীর। প্রেমের সম্পর্কের জেরে গত ৬ এপ্রিল শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মার চরে ঘুরতে যায় তারা। এসময় পালাক্রমে তিনবন্ধু পাশবিক নির্যাতন চালায়। ঘটনাটি জানতে পেরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এপরেই অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে। তারা আদালতে দায় স্বীকার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অপর আসামী জাহাঙ্গীর কে ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চলছে।

