পাবনা থেকে রাজধানী ঢাকায় সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে ২০২৬ সালের মার্চে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেল যোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন। মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ তথ্য জানান।
শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, রেল বিভাগে বর্তমানে কিছু কোচ সংকট রয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা কাটিয়ে উঠতে পারবে রেলওয়ে। সবকিছু ঠিক থাকলে মার্চ থেকেই পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে।
তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল পরিবহণের উদ্দেশ্যে নির্মিত কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত রেলস্টেশনটিও পুনর্মূল্যায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান।
দেশজুড়ে নৌ, রেল ও সড়কপথে সমন্বিত আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই সরকারের মূল লক্ষ্য—উল্লেখ করে শেখ মঈনুদ্দিন বলেন, প্রতিটি জেলার সংযোগকারী মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পুরনো জেলা হিসেবে পাবনার প্রধান আব্দুল হামিদ সড়ক প্রশস্তকরণকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া আরিচা–খাসচর ফেরি সংযোগ প্রকল্প, পাকশী-বাধেরহাট সড়ক প্রসারণ, কাশীনাথপুর–উল্লাপাড়া সড়ক প্রশস্তকরণ—এই তিনটি প্রকল্প বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে বলে তিনি জানান।
ঈশ্বরদী রেলগেটে দীর্ঘদিনের যানজট নিরসনে ওভারপাস নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেন বিশেষ সহকারী।
গতকাল সোমবার ঈশ্বরদীতে এসে পৌঁছান শেখ মঈনুদ্দিন। মঙ্গলবার তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং তার ছাত্রজীবনের স্মৃতিবিজড়িত পাকশী নর্থ বেঙ্গল পেপারমিল স্কুল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির মহাসচিব আবু আহসান খান রেয়ন এবং পশ্চিমাঞ্চল রেলের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

