শিক্ষক দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি
মো: ফয়সাল আহমেদ
উপজেলা পরিষদ থেকে অনেকটাই দূরে, নদীভাঙন প্রবণ এক দুর্গম এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হলো। হাতে গোনা গুটি কয়েক ছাত্র নিয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে শুরু হলো সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা। খুব শীঘ্রই বিদ্যালয়টি এক অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হলো। মেধাবী ছাত্রদের শহরমুখী প্রবণতার কারণে বিদ্যালয়টির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই যেন কঠিন হয়ে উঠেছিল।
সেই দুরবস্থা থেকে মুক্তি দিতে আলোকবর্তিকা হয়ে আসলেন একজন শিক্ষক। যার স্পর্শে পাল্টে গেল একটা বিদ্যালয়ের চিত্র, বদলে গেল একটি জনপদ, গড়ে উঠলো শিক্ষিত সমাজ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশ বিভুঁইয়েও প্রতিনিয়ত যে শিক্ষকের আদর্শ ছড়িয়ে চলেছেন তার ছাত্ররা।
তিনি ছিলেন—আব্দুল কাদের (বিএসসি), সাবেক প্রধান শিক্ষক, দাদপুর গড়গড়ী উচ্চ বিদ্যালয়।
রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে পড়েছি, এমনকি কর্মজীবনেও প্রতিনিয়ত অনেক শিক্ষকের সান্নিধ্যে এসেছি, কিন্তু একজন আব্দুল কাদের কিংবা তাঁর সমমানের কোনো শিক্ষকের দেখা পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। ন্যায়, নীতিপরায়ণ এবং অন্যায়ের সাথে আপোষহীন এক কাণ্ডারী, যার কর্মগুণে তিনি অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন আমাদের মাঝে।
বর্তমান সমাজে শিক্ষকদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের তোষামোদের যে প্রবণতা, তা হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। অপরদিকে আব্দুল কাদের বিএসসি ছিলেন রাজনীতিবিদদের দীক্ষাগুরু। ২০০৫-o৬ সালের কথা, একসময়ের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও তৎকালীন এমপি অ্যাডভোকেট কবির হোসেন বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসলেন।
প্রধান শিক্ষক তার নিজ চেয়ারে বসে থাকলেন। এমপি মহোদয় এসে পাশের একটি চেয়ারে বসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে চলে গেলেন। বর্তমান সময়ের কথা কল্পনা করুন। কিছুদিন আগেও দেখতাম এমপি-মন্ত্রীরা এলে শুধু শিক্ষকরাই না, কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রৌদ্রের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। কি অধঃপতন এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার, শিক্ষকদের মেরুদণ্ডের!
গণিতভীতি ছিল অজপাড়াগাঁয়ের ছাত্রদের প্রধান সমস্যা। গণিতের দুর্বলতার কারণে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা অকালেই ঝরে পড়ত। এই একজন শিক্ষক সেই গণিতকে ডাল-ভাত বানিয়ে ছেড়েছিলেন তার ছাত্রদের কাছে। উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানিয়েছিলেন নিজের একক নৈপুণ্যে। এসএসসি পরীক্ষায় তার ছাত্ররা নিয়মিতভাবে বোর্ড স্ট্যান্ড করত। চাইলেই তিনি প্রাইভেট পড়িয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা ইনকাম করতে পারতেন, কিন্তু তিনি কোনোদিন টাকার কাছে বিক্রি হননি।
তার সাদা পাঞ্জাবি, সাদা টুপি আর শুভ্র সফেদ দাঁড়িই ছিল আমাদের কাছে ন্যায়তার প্রতীক। রাষ্ট্র কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কোনোদিন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের স্বীকৃতি পাননি। নিভৃতচারী হয়ে চলে গেছেন পরপারে। কিন্তু আমার চোখে তিনিই বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
লেখক: সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নওগাঁ
উপজেলা পরিষদ থেকে অনেকটাই দূরে, নদীভাঙন প্রবণ এক দুর্গম এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হলো। হাতে গোনা গুটি কয়েক ছাত্র নিয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে শুরু হলো সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা। খুব শীঘ্রই বিদ্যালয়টি এক অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হলো। মেধাবী ছাত্রদের শহরমুখী প্রবণতার কারণে বিদ্যালয়টির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই যেন কঠিন হয়ে উঠেছিল।
সেই দুরবস্থা থেকে মুক্তি দিতে আলোকবর্তিকা হয়ে আসলেন একজন শিক্ষক। যার স্পর্শে পাল্টে গেল একটা বিদ্যালয়ের চিত্র, বদলে গেল একটি জনপদ, গড়ে উঠলো শিক্ষিত সমাজ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশ বিভুঁইয়েও প্রতিনিয়ত যে শিক্ষকের আদর্শ ছড়িয়ে চলেছেন তার ছাত্ররা।
তিনি ছিলেন—আব্দুল কাদের (বিএসসি), সাবেক প্রধান শিক্ষক, দাদপুর গড়গড়ী উচ্চ বিদ্যালয়।
রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে পড়েছি, এমনকি কর্মজীবনেও প্রতিনিয়ত অনেক শিক্ষকের সান্নিধ্যে এসেছি, কিন্তু একজন আব্দুল কাদের কিংবা তাঁর সমমানের কোনো শিক্ষকের দেখা পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। ন্যায়, নীতিপরায়ণ এবং অন্যায়ের সাথে আপোষহীন এক কাণ্ডারী, যার কর্মগুণে তিনি অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন আমাদের মাঝে।
বর্তমান সমাজে শিক্ষকদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের তোষামোদের যে প্রবণতা, তা হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটায়। অপরদিকে আব্দুল কাদের বিএসসি ছিলেন রাজনীতিবিদদের দীক্ষাগুরু। ২০০৫-o৬ সালের কথা, একসময়ের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও তৎকালীন এমপি অ্যাডভোকেট কবির হোসেন বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসলেন।
প্রধান শিক্ষক তার নিজ চেয়ারে বসে থাকলেন। এমপি মহোদয় এসে পাশের একটি চেয়ারে বসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে চলে গেলেন। বর্তমান সময়ের কথা কল্পনা করুন। কিছুদিন আগেও দেখতাম এমপি-মন্ত্রীরা এলে শুধু শিক্ষকরাই না, কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা রৌদ্রের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। কি অধঃপতন এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার, শিক্ষকদের মেরুদণ্ডের!
গণিতভীতি ছিল অজপাড়াগাঁয়ের ছাত্রদের প্রধান সমস্যা। গণিতের দুর্বলতার কারণে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা অকালেই ঝরে পড়ত। এই একজন শিক্ষক সেই গণিতকে ডাল-ভাত বানিয়ে ছেড়েছিলেন তার ছাত্রদের কাছে। উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানিয়েছিলেন নিজের একক নৈপুণ্যে। এসএসসি পরীক্ষায় তার ছাত্ররা নিয়মিতভাবে বোর্ড স্ট্যান্ড করত। চাইলেই তিনি প্রাইভেট পড়িয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা ইনকাম করতে পারতেন, কিন্তু তিনি কোনোদিন টাকার কাছে বিক্রি হননি।
তার সাদা পাঞ্জাবি, সাদা টুপি আর শুভ্র সফেদ দাঁড়িই ছিল আমাদের কাছে ন্যায়তার প্রতীক। রাষ্ট্র কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কোনোদিন শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের স্বীকৃতি পাননি। নিভৃতচারী হয়ে চলে গেছেন পরপারে। কিন্তু আমার চোখে তিনিই বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
লেখক: সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নওগাঁ
নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২৪ মিনিট আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৪৩ মিনিট আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
২ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
৩ ঘণ্টা আগে