বগুড়ায় কয়েক মাস আগে পরিবারে অমতে প্রেম করে বিয়ে করেন রিয়াজুল ইসলাম নাফিজ। এরপর কৈপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। রোববার তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হলে রিয়াজুল একপর্যায়ে তার স্ত্রী আফিয়া আক্তার স্বপ্নাকে (২০) হত্যা করে। পরে পুলিশ রিয়াজুলকে গ্রেপ্তার করে।
স্বজনদের অভিযোগ, তিন মাস আগে পরিবারের অমতে প্রেম করে নাফিজ ও স্বপ্না বিয়ে করে। পরে নাফিজের পরিবার বিয়ের মেনে নিতে আফিয়ার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা ও ১টি মোটরসাইকেল যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে বিরোধ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার নিজ গ্রামে গিয়ে রোববার দুপুরে কৈপাড়া ভাড়া বাসায় ফেরেন আফিয়া। এরপর সন্ধ্যায় তিনি মুঠোফোনে কয়েকবার বাবা-মাকে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানাতে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বামী–স্ত্রী তুমুল ঝগড়া করছিলেন। হঠাৎ নীরবতা নেমে আসায় সন্দেহবশত বাসায় ঢুকে স্বপ্নাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। রিয়াজুল ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
ঘটনার পরপরই উত্তেজিত এলাকাবাসী রিয়াজুলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে এবং লাশ থানায় নিয়ে যায়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বসির জানান, “এটি হত্যা নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু— তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সব দিক তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার অভিযোগে স্বামীকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

