আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ, জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
রেললাইনের কোথাও একফোঁটা পাথর নেই, কাঠের স্লিপারগুলো মাটির গভীরে ডেবে গেছে, আর দুই লাইনের সংযোগস্থলে চারটি নাট-বোল্টের বদলে আছে মাত্র দুটি। এই জরাজীর্ণ পথ ধরেই দেশের সবচেয়ে ধীরগতির ট্রেনটি চলে। পথচারীরা চাইলেই ট্রেন থামার আগেই ট্রেনে উঠে যেতে পারে।
অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। কুড়িগ্রামের উলিপুরের পাঁচপীর রেলস্টেশন থেকে চিলমারীর রমনা রেলস্টেশন পর্যন্ত ‘রমনা লোকাল’ ট্রেনটি ঘণ্টায় মাত্র ১৫ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করে। মাত্র ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এর সময় লাগে এক ঘণ্টারও বেশি। এমনকি খোদ ট্রেনের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন যে এটি দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ধীরগতির রেলপথ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘ এই রেলপথের কোথাও কোনো পাথর নেই। বেশিরভাগ স্লিপার অর্ধপচা এবং সেগুলো মাটির নিচে দেবে আছে। কিছু কিছু জায়গায় স্লিপারের নিচের মাটিও সরে গেছে। দুই লাইনের মধ্যবর্তী স্থান মাটি আর ঘাসে ঢাকা। পাথরের বদলে পুরো রেলপথটি মাটির ওপর বিছানো। এমন ঝুঁকির মধ্যেই প্রতিদিন নিয়মিত ট্রেন চলাচল করছে।
রেল সংশ্লিষ্টরা জানান, পাঁচপীর স্টেশন থেকে রমনা স্টেশন পর্যন্ত পুরো রেলপথটিই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকি বিবেচনা করেই ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই গতিতেও ট্রেন চলতে গিয়ে দুই দিকে দুলতে থাকে এবং প্রায়ই লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
লালমনিরহাট রেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই রেলপথ সংস্কারের জন্য এক বছরেরও বেশি সময় আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। বিশ্বাস কনস্ট্রাকশন নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু কিছু মাটি ভরাট আর কয়েকটি রেলসেতু মেরামতের কাজ হলেও রেললাইন, স্লিপার পরিবর্তন এবং পাথর ফেলার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে রেলপথটি এখনও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
রমনা লোকাল ট্রেনের একাধিক পরিচালক (গার্ড) নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই পথে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চালাতে হয়। লাইনের এতটাই বেহাল দশা যে নির্ধারিত ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতেও ট্রেন চালানো কঠিন হয়ে যায়।
তিস্তা থেকে চিলমারী পর্যন্ত রেলপথের দায়িত্বে থাকা লালমনিরহাট রেল বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী বজলুর রহমান বলেন, “এক বছর আগে প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু স্লিপার সংকটের কারণে বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। রেলপথটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা আলম বলেন, “রেলপথটি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ। স্লিপার সংকট এবং রেললাইন পরিবহনে সমস্যার কারণে সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। আশা করছি, আগামী অক্টোবর কিংবা নভেম্বরের মধ্যে আবার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।”
রেললাইনের কোথাও একফোঁটা পাথর নেই, কাঠের স্লিপারগুলো মাটির গভীরে ডেবে গেছে, আর দুই লাইনের সংযোগস্থলে চারটি নাট-বোল্টের বদলে আছে মাত্র দুটি। এই জরাজীর্ণ পথ ধরেই দেশের সবচেয়ে ধীরগতির ট্রেনটি চলে। পথচারীরা চাইলেই ট্রেন থামার আগেই ট্রেনে উঠে যেতে পারে।
অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। কুড়িগ্রামের উলিপুরের পাঁচপীর রেলস্টেশন থেকে চিলমারীর রমনা রেলস্টেশন পর্যন্ত ‘রমনা লোকাল’ ট্রেনটি ঘণ্টায় মাত্র ১৫ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করে। মাত্র ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এর সময় লাগে এক ঘণ্টারও বেশি। এমনকি খোদ ট্রেনের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন যে এটি দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং ধীরগতির রেলপথ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘ এই রেলপথের কোথাও কোনো পাথর নেই। বেশিরভাগ স্লিপার অর্ধপচা এবং সেগুলো মাটির নিচে দেবে আছে। কিছু কিছু জায়গায় স্লিপারের নিচের মাটিও সরে গেছে। দুই লাইনের মধ্যবর্তী স্থান মাটি আর ঘাসে ঢাকা। পাথরের বদলে পুরো রেলপথটি মাটির ওপর বিছানো। এমন ঝুঁকির মধ্যেই প্রতিদিন নিয়মিত ট্রেন চলাচল করছে।
রেল সংশ্লিষ্টরা জানান, পাঁচপীর স্টেশন থেকে রমনা স্টেশন পর্যন্ত পুরো রেলপথটিই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকি বিবেচনা করেই ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই গতিতেও ট্রেন চলতে গিয়ে দুই দিকে দুলতে থাকে এবং প্রায়ই লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
লালমনিরহাট রেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই রেলপথ সংস্কারের জন্য এক বছরেরও বেশি সময় আগে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। বিশ্বাস কনস্ট্রাকশন নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু কিছু মাটি ভরাট আর কয়েকটি রেলসেতু মেরামতের কাজ হলেও রেললাইন, স্লিপার পরিবর্তন এবং পাথর ফেলার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে রেলপথটি এখনও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।
রমনা লোকাল ট্রেনের একাধিক পরিচালক (গার্ড) নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই পথে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চালাতে হয়। লাইনের এতটাই বেহাল দশা যে নির্ধারিত ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতেও ট্রেন চালানো কঠিন হয়ে যায়।
তিস্তা থেকে চিলমারী পর্যন্ত রেলপথের দায়িত্বে থাকা লালমনিরহাট রেল বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী বজলুর রহমান বলেন, “এক বছর আগে প্রায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু স্লিপার সংকটের কারণে বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। রেলপথটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবু হেনা মোস্তফা আলম বলেন, “রেলপথটি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ। স্লিপার সংকট এবং রেললাইন পরিবহনে সমস্যার কারণে সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে। আশা করছি, আগামী অক্টোবর কিংবা নভেম্বরের মধ্যে আবার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।”
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
২ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৩ ঘণ্টা আগে