হাসান উল আজিজ, লালমনিরহাট
চিকিৎসক সংকট ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে ছিটমহল দহগ্রাম- আঙ্গরপোতার মানুষ এখনো চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । এখানে নামে মাত্র হাসপাতাল আছে কিন্তু চিকিৎসাসেবা নেই। দহগ্রামের মানুষের জন্য নির্মিত ২০ শয্যার হাসপাতালটি এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। ২০১১ সালে চালুর পরপরই বন্ধ হয়ে গেছে আন্তঃবিভাগ। বহির্বিভাগ চালু থাকলেও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। হাসপাতালে দেখা মেলে না চিকিৎসকের। মাঝে-মধ্যে ‘ওয়ার্ডবয়’ এসে বহির্বিভাগের রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন।
স্থানীয়রা জানান, আন্তঃবিভাগ-বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো কারণ বা ঘোষণা ছাড়াই কয়েক বছর ধরে আন্তঃবিভাগ বন্ধ রয়েছে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিতে মাঝে-মধ্যে কিছু প্যারাসিটামল ট্যাবলেট নিয়ে দুই ঘণ্টার জন্য হাসপাতাল খুলে বসেন দু-একজন ওয়ার্ডবয় ও নার্স। মাঝে-মধ্যে চিকিৎসকও আসেন, তবে নিয়মিত নন। আর এলেও একটার মধ্যে হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে চলে যান তারা। দুপুরের পর থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত কারও কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসা নিতেও ছুটতে হয় পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ। বর্তমানে ইনডোর চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। আউটডোর ও জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু থাকলেও সেটা নামেমাত্র। ইউনিয়নের কেউ অসুস্থ হলে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা ১০০ কিলোমিটার দূরে রংপুরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। হাসপাতালটির মূল ফটকে প্রায় সময়ই তালা ঝুলানো থাকে। হঠাৎ কখনো খোলা থাকলেও ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, এর মাঠে গরু-ছাগল চড়ানো হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ইনডোর চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকার কারণে আধুনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে চলেছে।
দহগ্রামের বাসিন্দা বিলকিছ আখতার বলেন, ‘প্রথমে দশ বেডের হাসপাতাল ছিল। পরে বিশ বেডে উন্নীত করা হলেও হাসপাতালটি কোনো কাজেই আসছে না। ডাক্তার না এসেই বেতন নেন। কিন্তু আমরা চিকিৎসা পাই না। তাই বাধ্য হয়ে পাটগ্রাম বা অন্য কোনো হাসপাতালে যেতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও ভবনগুলো। চামচিকা-বাদুরসহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে এ হাসপাতাল। চিকিৎসক ও নার্সদের বসবাসের জন্য করা আটটি কোয়ার্টার, রোগী পরিবহনের একটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার না করায় রুগ্ন হয়ে পড়েছে।
দহগ্রামের গৃহবধূ হাসিনা বেগম জানান, হাতের কাছে হাসপাতাল থাকলেও মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ যেকোনো সমস্যা হলে পাটগ্রাম হাসপাতালে যেতে হয়। এটা নামের হাসপাতাল, কাজের কাজ কিছুই হয় না এখানে। এরপর কেউ মরতে বসলেও প্রাথমিক চিকিৎসা জোটে না অসহায় দহগ্রামবাসীর ভাগ্যে।
দহগ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, দহগ্রামের হাসপাতালে দেখা মেলে না চিকিৎসকের। মাঝে-মধ্যে ‘ওয়ার্ডবয়’ এসে বহির্বিভাগের রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন। কিন্তু আমরা চিকিৎসা পাই না। তাই বাধ্য হয়ে পাটগ্রাম বা অন্য কোনো হাসপাতালে যেতে হয়।
দহগ্রাম আঙ্গরপোতা সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক রেজানুর রহমান রেজা বলেন, দহগ্রাম হাসপাতাল আছে চিকিৎসা নেই। এখানকার অসুস্থ মানুষ নিরুপায় হয়ে ১৮ কিলোমিটার দূরে পাটগ্রাম কিংবা ১০০ কিলোমিটার দূরে রংপুর বিভাগে গিয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে হয় ।
তবে দহগ্রাম হাসপাতালে ডাক্তার থাকেন না এমন অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন লালমনিরহাটের সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম। তিনি বলেন, চারজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও মাত্র একজন চিকিৎসক ওখানে (দহগ্রাম হাসপাতালে) চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। তবে জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালটির আন্তঃবিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসক সংকট ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে ছিটমহল দহগ্রাম- আঙ্গরপোতার মানুষ এখনো চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । এখানে নামে মাত্র হাসপাতাল আছে কিন্তু চিকিৎসাসেবা নেই। দহগ্রামের মানুষের জন্য নির্মিত ২০ শয্যার হাসপাতালটি এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। ২০১১ সালে চালুর পরপরই বন্ধ হয়ে গেছে আন্তঃবিভাগ। বহির্বিভাগ চালু থাকলেও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। হাসপাতালে দেখা মেলে না চিকিৎসকের। মাঝে-মধ্যে ‘ওয়ার্ডবয়’ এসে বহির্বিভাগের রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন।
স্থানীয়রা জানান, আন্তঃবিভাগ-বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো কারণ বা ঘোষণা ছাড়াই কয়েক বছর ধরে আন্তঃবিভাগ বন্ধ রয়েছে। বহির্বিভাগে চিকিৎসা দিতে মাঝে-মধ্যে কিছু প্যারাসিটামল ট্যাবলেট নিয়ে দুই ঘণ্টার জন্য হাসপাতাল খুলে বসেন দু-একজন ওয়ার্ডবয় ও নার্স। মাঝে-মধ্যে চিকিৎসকও আসেন, তবে নিয়মিত নন। আর এলেও একটার মধ্যে হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে চলে যান তারা। দুপুরের পর থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত কারও কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসা নিতেও ছুটতে হয় পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ। বর্তমানে ইনডোর চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। আউটডোর ও জরুরি চিকিৎসাসেবা চালু থাকলেও সেটা নামেমাত্র। ইউনিয়নের কেউ অসুস্থ হলে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা ১০০ কিলোমিটার দূরে রংপুরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। হাসপাতালটির মূল ফটকে প্রায় সময়ই তালা ঝুলানো থাকে। হঠাৎ কখনো খোলা থাকলেও ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, এর মাঠে গরু-ছাগল চড়ানো হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ইনডোর চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকার কারণে আধুনিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে চলেছে।
দহগ্রামের বাসিন্দা বিলকিছ আখতার বলেন, ‘প্রথমে দশ বেডের হাসপাতাল ছিল। পরে বিশ বেডে উন্নীত করা হলেও হাসপাতালটি কোনো কাজেই আসছে না। ডাক্তার না এসেই বেতন নেন। কিন্তু আমরা চিকিৎসা পাই না। তাই বাধ্য হয়ে পাটগ্রাম বা অন্য কোনো হাসপাতালে যেতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও ভবনগুলো। চামচিকা-বাদুরসহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে এ হাসপাতাল। চিকিৎসক ও নার্সদের বসবাসের জন্য করা আটটি কোয়ার্টার, রোগী পরিবহনের একটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার না করায় রুগ্ন হয়ে পড়েছে।
দহগ্রামের গৃহবধূ হাসিনা বেগম জানান, হাতের কাছে হাসপাতাল থাকলেও মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ যেকোনো সমস্যা হলে পাটগ্রাম হাসপাতালে যেতে হয়। এটা নামের হাসপাতাল, কাজের কাজ কিছুই হয় না এখানে। এরপর কেউ মরতে বসলেও প্রাথমিক চিকিৎসা জোটে না অসহায় দহগ্রামবাসীর ভাগ্যে।
দহগ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, দহগ্রামের হাসপাতালে দেখা মেলে না চিকিৎসকের। মাঝে-মধ্যে ‘ওয়ার্ডবয়’ এসে বহির্বিভাগের রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেন। কিন্তু আমরা চিকিৎসা পাই না। তাই বাধ্য হয়ে পাটগ্রাম বা অন্য কোনো হাসপাতালে যেতে হয়।
দহগ্রাম আঙ্গরপোতা সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক রেজানুর রহমান রেজা বলেন, দহগ্রাম হাসপাতাল আছে চিকিৎসা নেই। এখানকার অসুস্থ মানুষ নিরুপায় হয়ে ১৮ কিলোমিটার দূরে পাটগ্রাম কিংবা ১০০ কিলোমিটার দূরে রংপুর বিভাগে গিয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে হয় ।
তবে দহগ্রাম হাসপাতালে ডাক্তার থাকেন না এমন অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন লালমনিরহাটের সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম। তিনি বলেন, চারজন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও মাত্র একজন চিকিৎসক ওখানে (দহগ্রাম হাসপাতালে) চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। তবে জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালটির আন্তঃবিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১৩ মিনিট আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৩২ মিনিট আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
২ ঘণ্টা আগে