দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধ নদীগর্ভে

উপজেলা প্রতিনিধি, গঙ্গাচড়া (রংপুর)
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫: ১০
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৪

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু ও রংপুর–লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে অন্তত ৩০–৩৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙনে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন

গত ১১ আগস্ট সরেজমিনে দেখা গিয়েছিল, বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ধসে ৭০ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়। ১৭ আগস্ট ধস থেকে ভাঙনে পরিণত হয়েছে কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ২০ আগস্ট দেখা যাচ্ছে, বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে রংপুর–লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়কসহ লহ্মীটারী ইউনিয়নের তিন গ্রামের প্রায় ১,২০০ পরিবার সরাসরি হুমকির মুখে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক মাস আগে থেকেই বাঁধের ব্লক ধসে পড়ছিল। বিষয়টি বারবার জানালেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

বাঁধসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রিপন ও কাইয়ুম বলেন, প্রতিদিন ভাঙন বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। ব্যবসায়ী শাহনাজ বেগম বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শহরে যাই। সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

শিক্ষার্থী বাদশা মিয়া জানান, আজ স্কুলে যেতে গিয়ে দেখি বাঁধ ভেঙে নদীতে চলে গেছে। কাল হয়তো রাস্তা থাকবে না। স্থানীয় কৃষক খোরশেদ আলী বলেন, আমাদের আবাদি জমি নদীতে চলে যাচ্ছে। অথচ এলজিইডি শুধু আশ্বাস দিয়েছে, কোনো কাজ করেনি।

লহ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমরা বারবার এলজিইডিকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা শুধু বলেছে দেখবে। এখন পুরো সেতু হুমকিতে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসা বলেন, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত