১২০ টাকায় লালমনিরহাটে পুলিশে ১৭ জনের চাকরি

জেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৭

উৎকোচ কিংবা তদবির ছাড়াই মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন ১৭ জন। অনন্য এই দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ প্রশাসন। যাদের লাগেনি কোনো বাড়তি উৎকোচ কিংবা হাইপ্রোফাইল সুপারিশ। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন এই হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানরা। নিয়োগপ্রাপ্তরা দিনমজুর, ভ্যানচালক ও কৃষক পরিবারের সন্তানরা তারা নিয়োগ পেয়েছেন নিজ নিজ যোগ্যতায়।

বিজ্ঞাপন

জেলা পুলিশ প্রশাসনের স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি নিয়ে জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে ইতিবাচক আলোচনা। শুক্রবার ১২ সেপ্টেম্বর রাতে লালমনিরহাটের পুলিশ লাইনের কার্যালয় থেকে কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম। তালিকায় আরও ৩ প্রার্থীকে অপেক্ষমান হিসেবে রাখা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নিয়োগ বোর্ডের সদস্য রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ) জয়নাল আবেদিন এবং রংপুর বিভাগের ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইলিয়াছ হোসেনসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তালিকা প্রকাশের পরপরেই উত্তীর্ণ প্রার্থী ও তাদের স্বজনরা আনন্দ অশ্রুতে খুশির বহিঃপ্রকাশ ঘটান।নিয়োগ পাওয়া তরুণ-তরুনীরা আবেগাপ্লুত কণ্ঠে ব্যক্ত করেন তাদের অনুভূতি। উত্তীর্ণ প্রার্থীরা জানান, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করে মা বাবার মুখ উজ্জল করবেন তারা। এছাড়া কোনো প্রকার ঘুষ ছাড়া চাকরি পাওয়ায় তরুণদের স্বজনরাও সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে পুলিশের কনেস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য ৮ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হতো। ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এর প্রেক্ষাপট অনেকটাই বদলে গেছে। এখন আর সহায় সম্বল হারিয়ে পুলিশের চাকরিতে ঘুষ দিতে হয় না।

পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে মেধাবী ও যোগ্যদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। যা চাকরি পেয়েছেন তাদের বেশিরভাগ গরীব ও হতদরিদ্র। অনেকের মাঝে ধারণা আছে পুলিশে চাকরি মানেই ঘুষ ও তদবিরের জোর লাগে। কিন্তু আমরা সেই ধারণা পাল্টে দিতে চাই।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত