১৩ বছর পুজায় একটা সিঁদুরের কৌটাও ভাগ্যে জোটেনি, তবুও ফিরতে চান স্বামীর সংসারে

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৬

দীর্ঘ ১৩ বছরেও স্বামীর সংসারে ফিরতে পারেননি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বামনা-বামনী হরিসভাপাড়া গ্রামের সমিতা রানী। মাত্র কয়েক মাসের সংসার জীবনের পর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে বিতাড়িত হয়ে অসহায়ভাবে বাবার বাড়িতে পড়ে আছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে অতুল চন্দ্র রায়ের ছেলে রতন চন্দ্র রায়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতেই যৌতুকের দাবিতে সমিতাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে বয়স্ক বাবা-মা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করান।

সমিতা রানী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাবা গরীব। বিয়ের সময় যথাসাধ্য উপঢৌকন দিলেও কয়েক মাসের মাথায় স্বামী ও তার পরিবার যৌতুকের জন্য অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। ১৩ বছর ধরে বাবার বাড়িতে পড়ে আছি। স্বামী কোনো খোঁজ নেয়নি। নতুন বিয়ে করে সে সুখে সংসার করছে, অথচ আমি স্বামীর সংসারের আশায় বুক বেঁধে আছি।’

খুটামারা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার রহমান জানান, ‘বিয়ের সময় সমিতার বাবার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে আবারও যৌতুক দাবি করে রতন ও তার পরিবার। টাকা দিতে না পারায় সমিতাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।’

এ বিষয়ে রতন চন্দ্র রায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে সমিতার এই দীর্ঘ প্রতীক্ষা নিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে নানা আলোচনা। স্থানীয়দের প্রশ্ন—১৩ বছর ধরে বাবার বাড়িতে অপেক্ষমাণ এই নারী আদৌ কি কোনোদিন স্বামীর সংসারে ফিরতে পারবেন?

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত