ঈদের ছুটিতে নীলফামারীর তিস্তা ব্যারাজে উপচেপড়া ভিড়

আব্দুর রাজ্জাক, নীলফামারী
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৫, ২০: ৩৭

নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ এলাকাটি দিনদিন পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য, নদীর পানির কলতান, সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আর স্থানীয় বাজারের প্রাণবন্ত পরিবেশ সব মিলিয়ে পর্যটকদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা দিচ্ছে এই তিস্তা ব্যারাজ।

ঈদ ও অন্যান্য ছুটির দিনে তো বটেই, এখন সাপ্তাহিক ছুটিতেও হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন এই অঞ্চলে।

বিজ্ঞাপন

তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এই ব্যারাজটি শুধু পানি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প হিসেবে নয়, এখন এটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হিসেবেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। পর্যটকদের আগমনে স্থানীয় ব্যবসাও চাঙা হয়ে উঠেছে। তিস্তা ব্যারাজের প্রবেশপথে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ফুডকোর্ট, চটপটি-ফুচকার দোকান, পানিপুরি, ঘুড়ির স্টল, এমনকি মোবাইল কভার ও সানগ্লাস বিক্রির দোকানও।

স্থানীয় ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বলেন, 'কয়েক বছর আগেও এখানে কিছুই ছিল না। এখন প্রতিদিন ভালো বিক্রি হয়। ঈদের সময় তো আরো বেশি হয়। পর্যটকেরা আসেন, খাওয়া-দাওয়া করেন, আমাদেরও উপার্জন হয়। তবে দর্শনার্থীর চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে কিছু সমস্যা। পর্যাপ্ত টয়লেট সুবিধার অভাব, যত্রতত্র ময়লা ফেলা, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গার সংকট এসবই কিছুটা হলেও দর্শনার্থীদের বিরক্ত করছে।'

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, 'কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পার্কিং জোন, শৌচাগার, বিশ্রামাগার ও ট্র্যাশ বিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটন সুবিধা উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে।'

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, 'তিস্তা ব্যারাজ শুধু প্রকৌশল কাঠামো নয়, এটি একটি পর্যটন সম্ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নিচ্ছে। আমরা চাই একে ঘিরে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটন এলাকা গড়ে উঠুক। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে পরিকল্পনা হচ্ছে।'

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত