বিএনপির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ১৬: ১২
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

ঢাকা ও খুলনায় নৃশংসভাবে দু’জনকে খুনসহ সারাদেশে বিএনপির খুন, চাঁদাবাজি অরাজকতার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার বেলা ১১টা থেকে নগরীর জিলা স্কুলের সামনে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বেলা সোয়া ১২টায় মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদের নেতৃত্বে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

বিজ্ঞাপন

মিছিলটি নগরীর কাচারী বাজার, পুলিশ লাইন্স মোড়, টাউন হল, নগর ভবন, জেলা পরিষদ সুপারমার্কেট মোড়, পায়রা চত্বর, জাহাজকোম্পানী মোড়, প্রেসক্লাব গ্র্যান্ড, জীবন বীমা মোড়, দাবানল মোড়, গ্র্যান্ড হোটেল মোড়, শাপলা চত্বর, খামার মোড়, লালবাগ হয়ে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘মানুষ মারার অধিকার, কে দিলো রে জানোয়ার’ ‘চাঁদাবাজি রাজনীতি একসাথে চলে না।’ ‘চাঁদাবাজদের আস্তানা এই বাংলায় হবে না‘যুবদল মানুষ মারে, ইন্টেরিম কি করে’-বলে স্লোগান দিতে থাকে।

পরে আবু সাঈদ চত্বরে সমাবেশ করে তারা। সেখানে যোগ দেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।

মিছিলে অংশ নেয়া রংপুর বেগম রোকেয়া কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নওশিন জানান, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার আমরা দেখলাম ফেসবুকে খুবই ভাইরাল হয়েছে আমাদের একজন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে নির্মমভাবে। আমরা তার জন্যই রাস্তায় নেমেছি। আমরা দেখাতে চাই। আমরা স্টুডেন্টরা এখনো রাজপথ ছাড়ি নাই। আমরা চাই এই হত্যার দ্রুত বিচার। ইন্টিরিমকে দেশের অরাজকতা তৈরিতে যারা ব্যস্ত তাদের নিবৃত করতে কঠোর আইনের প্রয়োগ করতে হবে।’

মিছিলে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি নতুন করে দেশে অরাজকতা চলছে। ঢাকায় পাথর মেরে হত্যার পর লাশের উপর উল্লাস এবং খুলনায় খুনের পর রগ কেটে দেয়ার যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই নৃশংস কাজে জড়িত আমাদের একটি রাজনৈতিক দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদলের নেতাকর্মীরা জড়িত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নতুন বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না, কোন নৃশংসতাকারীর ঠাঁই হবে না। সে কারণেই ২৪-এর বিপ্লবের যোদ্ধারা আমরা আবারও রাস্তায় নেমে এসেছি। আমরা রাজপথে থাকবো। এই নৃশংসতার দায় ইন্টেরিম এড়াতে পারে না। তাই জড়িতদের ব্যাপারে পরিপূর্ণ তদন্ত করে জনসম্মুখে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘আমরা বাস্তবে প্রত্যক্ষ করলাম, ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ের বাংলাদেশে এই মধ্যযুগীয় বর্বরতা। আমরা ইন্টেরিমকে বলতে চাই। আপনারা স্পেসিফিক্যালি কোনো দলকে ভয় পান কি না। যদি ভয় পেয়ে থাকেন, সেটা স্বীকার করুণ। ছাত্র-জনতা কোনো দলকে ভয় পায় না। বাংলাদেশের ১৭ বছরের স্বৈরাচারকে তারা হটিয়েছে। তারা নতুন করে আর কোনো স্বৈরাচার হতে দেবে না। এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা নেমেছি। ইন্টেরিমকে আমরা এটাও অভয় দিতে চাই। নির্ভয় দিতে চাই। ছাত্র জনতা যেকোনো সঙ্কটে দেশের পাশে আছে। ইন্টেরিমের পাশে আছে।’

পরে দুপুরে রংপুর পলিটেকনিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাও নগরীতে প্রতিবাদ মিছিল বের করে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত