খরায় পুড়ছে নীলফামারী

আব্দুর রাজ্জাক, নীলফামারী
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ২১: ০৬

নীলফামারীতে আষাঢ় মাসেও বৃষ্টির দেখা নেই । এতে তীব্র খরায় পুড়ছে নীলফামারীসহ উত্তর জনপদ। বৃষ্টির অভাবে আমন ধান রোপণে সমস্যা হচ্ছে এবং ক্ষেত-খামার ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। কৃষকরা সেচ দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

বৃষ্টির অভাবে নীলফামারীতে কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আষাঢ় মাস যা কি না বর্ষাকাল হিসেবে পরিচিত, তাতেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষক হতাশার মধ্যে পড়েছেন। বিশেষ করে আমন ধান রোপণের জন্য বৃষ্টি অপরিহার্য হলেও, কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা হতাশ।

বিজ্ঞাপন

গত দুই সপ্তাহের দাবদাহের কারণে মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। এর ফলে বেকায়দায় পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

সংসার চালাতে বাইরে কাজ করতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় জনদুর্ভোগ যখন চরমে, তখন বৃষ্টির জন্যই পরম প্রার্থনা উত্তরবঙ্গের নীলফামারীর কৃষকদের। এই ভরা বর্ষায় কোনো বৃষ্টি নেই নীলফামারীতে।

প্রচণ্ড দাবদাহে এ ‍অঞ্চলের কৃষি জমির আমন রোপণ শুরু হয়নি এখনো। স্বল্প পরিসরে সেচ পাম্প দিয়ে রোপিত আমন ক্ষেত শুকিয়ে চৌচির। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বিবর্ণ হচ্ছে ক্ষেত-খামারের ফসল। চলমান দাবদাহে জমিতে দেখা দিয়েছে পানিশূন্যতা ও বিভিন্ন রোগবালাই।

বাড়তি সেচ দিয়েও ফসল রক্ষায় বেগ পেতে হচ্ছে চাষিদের। এতে জমির ধান, বাদাম, মরিচ, ভুট্টা, কলাসহ সবজিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। কৃত্রিম সেচে আমনের চারা রোপণ করতে পারলেও দাবদাহের কারণে ক্ষেত পুড়ে যাচ্ছে। ডিজেলচালিত শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করেও রক্ষা করতে পারছেন না কৃষক।

পানির অভাবে পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। জমির পাশে পড়ে থেকে শুকিয়ে খড়ি হয়ে যাচ্ছে পাটগাছ। এ ছাড়া আমন চারা রোপণের ভরা মৌসুমে পানির অভাবে চারা রোপণ কাজ করতে পারছেন না চাষিরা। রোপিত ধানের চারা জমিতে শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই সেচ পাম্প ব্যবহার করে ক্ষেত বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।

জেলার একাধিক পাটচাষি জানায়, তারা ১৫ দিন আগে পাট কেটেছে কিন্তু পানির অভাবে পচাতে পারছে না। নীলফামারী জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার নীলফামারীতে ১ লাখ ১৩ হাজার হেক্টর, অর্জিত হয়েছে প্রায় দুই হাজার হেক্টর।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এটা। আমন চাষে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ আমনের এখনো প্রচুর সময় আছে। পান্নি উন্নয়ন বোর্ড পানি ছেড়ে দিয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত