‘এবারও বঞ্চিত, সামনের দিনগুলো কীভাবে চলবে বুঝতে পারছি না’

উপজেলা প্রতিনিধি, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম)
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ১২

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থী নিয়োগ পেলেও কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার বদরপুর দাখিল মাদরাসা এবারও কোনো শিক্ষক পায়নি। ফলে প্রতিষ্ঠানটি আবারও নিয়োগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলো।

এলাকার সুধীজনরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় বদরপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রমের মেরুদণ্ড ভেঙে পড়বে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯৬ জন। শিক্ষক প্যাটার্ন অনুযায়ী ২০ জনের মধ্যে রয়েছে ১১ জন। মাদরাসাটি ১-১-১৯৭৪ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে, ১-৬-১৯৮৫ সালে এমপিওভুক্তি হয়। গত তিন বছরে পাসের হার ৮০ শতাংশ।

তবে শিক্ষক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি একাডেমিক ভবনের মান উন্নয়ন হয়নি। পুরাতন টিনশেড ঘরে চলে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম।

এ ব্যাপারে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার গোলাম কিবরিয়াকে শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, নিয়োগের সম্পূর্ণ ইখতিয়ার এনটিআরসির।

Amardesh_Chordhakhil.

এখানে অফিসিয়ালি আমাদের কোনো হাত নেই। তবে বারবার আবেদন করেও বদরপুর মাদরাসা শিক্ষক নিয়োগ থেকে বঞ্চিত বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে অবহিত করব এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করব, যাতে করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ঘাটতি পূরণ হয়।

মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আনিছুর রহমান গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এবারও আমরা শিক্ষক নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হলাম। সামনের দিনগুলোতে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করব, তা বুঝতে পারছি না। একে তো শিক্ষক সংকট, তার ওপর বারবার আমাদের প্রতিষ্ঠানকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এটি যেন আমাদের ওপর এক ধরনের জুলুম।’

অভিভাবক ওমর ব্যাপারী ও ইয়াছীন জানান, বদরপুর দাখিল মাদরাসা দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের আলোকিত করছে অথচ শিক্ষক নিয়োগ থেকে বারবার বঞ্চিত হওয়ায় মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পাঠ গ্রহণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।

প্রতিষ্ঠানের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হতো, তবে বদরপুর দাখিল মাদ্রাসার মতো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সংকট দূর হতো। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতি দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত বদরপুর দাখিল মাদরাসাকে শিক্ষক নিয়োগের আওতায় আনার জন্য।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত