ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার দায়িত্বে আ.লীগ নেতা

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং লোহানীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করছেন ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী খান। তিনি একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম (বদরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা) এবং ইউপি সচিব আশিকুর রহমানের যোগসাজশে ইউনিয়নের উন্নয়নমূলুক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের ভি ডাব্লিউ বি প্রকল্পের ২৯৪টি কার্ড লোহানীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ বরাদ্দ পায়। গোটা ইউনিয়ন থেকে অনলাইনে আবেদন করেন ৫৩৪ জন। কিন্তু এই প্রকল্পের কমিটি থাকার পরও ইউনুস আলীকে কার্ড যাচাই-বাছাই ও ভাগ বাটোয়ারার দায়িত্ব দেন ইউপি সচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম।

আবেদন কৃত ৫৩৪টি কার্ড যাচাই-বাছাই শেষে লটারির মাধ্যমে কার্ড পাওয়ার উপযোগী পরিবারকে দেওয়ার শর্ত উল্লেখ‍্য থাকলেও তা না-করে পরিষদ থেকে গেলো ২৫ জুন রাতে সকল আবেদনপত্রসহ ইউপি সচিব আশিকুর রহমান ও ইউনুস আলী সবার অগোচরে বদরগঞ্জ উপজেলায় যান, সেখানে গিয়ে কার্ডগুলো ভাগ বাটোয়ারা করেন।

এসব বিষয়ে ইউপি সদস্য ইউনুস আলীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ভি ডাব্লিউ বি প্রকল্পের কার্ডগুলো বিতরণের দায়িত্ব ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব আমার উপরে দায়িত্ব অর্পণ করেন। আমাকে দ্বায়িত্ব দেওয়ার পর জামায়াত নেতাদের ১০টি, বিএনপির নেতাদের ৩০টি, সমন্বয়কদের ৭৩টি, উদ্যোক্তা, গ্রাম্য পুলিশ, সচিবের স্টাফসহ ইউপি সদস্যের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছি। বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ৬টি কার্ড দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, এই ভাগ বাটোয়ারা আমি একাই করিনি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ইউপি সচিবসহ আলোচনা সাপেক্ষে বাটোয়ারা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সচিব আশিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ইউনুস আলী খান কিভাবে কি করেছে সেটা তিন ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয়ে আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সমাজসেবা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার জানা ছিলো না ইউপি সদস্য ইউনুস আলী খান ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। চেয়ারম্যান হিসেবে ভাগ-বাটোয়ারার দায়িত্ব ইউনুস আলীকে অর্পণ করি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিতো আর নির্বাচিত চেয়ারম্যান না। আমার উপরতো গুরু দায়িত্ব বর্তায় না। এটা ইউনুস সাহেব ভালো বলতে পারবে কেমন অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন।