উপজেলা প্রতিনিধি, পীরগাছা (রংপুর)
“একটা ঈদ আইল অ্যাকনা চাউলো দেইল না, গোশতের জন্যে সকাল থাকি বসি আচং তাও দেইল না। অ্যাকটা বিদুয়া (বিধবা) বেটিক নিয়া কতো কষ্টে থাকং মুই, কিন্তুক নিম্বর চেয়ারম্যান মোরপাকে একনাও দ্যাকে না। এবার কি ভোট বুলি জাবান্নায়”?
পীরগাছায় ইসলামিক রিলিফের গরুর মাংস বিতরণের অনিয়ম সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহে গেলে উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে মাংস বিতরণকালে ইউনিয়নের হাসনা গ্রামের বাসিন্দা বিধবা বৃদ্ধা আসমা বেগম (৬৫) আমার দেশকে এসব কথা বলেন।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ পীরগাছা উপজেলায় ১২২৫ জন হতদরিদ্রের মাঝে ২ কেজি করে মোট ২৪৫০ কেজি গরুর মাংস বিতরণের জন্য ৩৫টি গরু কোরবানি করেছে। তবে অধিকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সংস্থাটির পীরগাছা উপজেলা ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, আমাদের তালিকা করতে কোনো অনিয়ম হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে আমরা কাজ করি, তাদেরও কিছু তালিকা নিয়ে মাংস বিতরণ করা হয়। যেমন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ডিমান্ড ১০০ জন, দুই ইউনিয়নের ২ চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে ১২০ জন, এছাড়াও ইউএনও অফিসের কিছু সরকারি কর্মচারী ও সাংবাদিকদের জন্যও বাজেট আছে।
সুবিধাভোগীর তালিকা করণে দায়িত্বশীলরা স্বজনপ্রীতির মধ্য দিয়ে লোক দেখানোর নামে স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই না, ওই সংস্থায় কর্মরত ২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তাদের পছন্দমতো তিনজন করে ভিআইপি ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম।
আমার দেশ-এর হাতে থাকা লিস্টে দেখা গেছে, পীরগাছার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হক সুমনকে দিতে হয়েছে ২০০ কেজি গোশত। ইটাকুমারী ও অন্নদানগর ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যানের জন্য ২৪০ কেজি, সাংবাদিকদের জন্য দিয়েছে ৪০ কেজি গোশত। সব মিলিয়ে মাস্টার রোলের বাইরে প্রায় ৫০০ কেজি মাংস কয়েকজন ব্যক্তির হাতে দিয়েছে সংস্থাটি।
এতে হতদরিদ্রদের স্থলে সরকারি, বেসরকারি চাকরিজীবী, সম্পদশালী, ব্যবসায়ী, ছাত্র, ইউপি সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও তাদের আত্মীয়স্বজনরা সুবিধা ভোগ করেছেন।
ইটাকুমারি ইউনিয়নের হাসনা গ্রামের মো. বাচ্চা মিয়া (৭০), জোলেখা বেগম (৫০) ও নুর নাহার (৪০) আমার দেশকে বলেন, “আমরা গরিব মানুষ, ঈদে কোনো মাংস কিনতে পারিনি। খুব সকাল থেকে একটু মাংসের জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের সামনে অনেক বড়লোকদের মাংস দিয়েছে, অথচ আমাদেরকে দেয়নি।”
তারা আরও বলেন, তাদের এলাকার কোনো মানুষকে রিলিফ সংস্থার কোরবানির মাংস দেয়া হয়নি।
অন্নদানগর ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক আক্তার ফারুক জানান, “আমার নামে একটিও কোটা নেই। আমি কেন হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ করা মাংস নেবো? গরু জবাই করার কারণে পরিষদে যাইনি।”
ইটাকুমারি ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এনামুল হককে ফোনে পাওয়া না গেলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “আমি নিজে ওদের উপকারভোগীর মধ্যে যারা সনাতন পরিবারের আছে তাদের পরিবর্তে বঞ্চিত ওয়ার্ডগুলোয় আমি উদ্যোগ নিয়ে তাদের দেয়ার জন্য বলেছি।”
ইসলামিক রিলিফ সংস্থার পীরগাছা ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম বলেন, “গরুর মাংস মূলত আমাদের সুবিধাভোগী সদস্যদের মাঝে বিতরণের নিয়ম। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অন্যদের সম্মানি দিতে হয়।”
সাংবাদিকরা মাংস বিতরণের লিস্ট চাইলে তারিকুল ইসলাম তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
“একটা ঈদ আইল অ্যাকনা চাউলো দেইল না, গোশতের জন্যে সকাল থাকি বসি আচং তাও দেইল না। অ্যাকটা বিদুয়া (বিধবা) বেটিক নিয়া কতো কষ্টে থাকং মুই, কিন্তুক নিম্বর চেয়ারম্যান মোরপাকে একনাও দ্যাকে না। এবার কি ভোট বুলি জাবান্নায়”?
পীরগাছায় ইসলামিক রিলিফের গরুর মাংস বিতরণের অনিয়ম সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহে গেলে উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে মাংস বিতরণকালে ইউনিয়নের হাসনা গ্রামের বাসিন্দা বিধবা বৃদ্ধা আসমা বেগম (৬৫) আমার দেশকে এসব কথা বলেন।
ঈদের দ্বিতীয় দিনে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ পীরগাছা উপজেলায় ১২২৫ জন হতদরিদ্রের মাঝে ২ কেজি করে মোট ২৪৫০ কেজি গরুর মাংস বিতরণের জন্য ৩৫টি গরু কোরবানি করেছে। তবে অধিকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সংস্থাটির পীরগাছা উপজেলা ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, আমাদের তালিকা করতে কোনো অনিয়ম হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে আমরা কাজ করি, তাদেরও কিছু তালিকা নিয়ে মাংস বিতরণ করা হয়। যেমন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ডিমান্ড ১০০ জন, দুই ইউনিয়নের ২ চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে ১২০ জন, এছাড়াও ইউএনও অফিসের কিছু সরকারি কর্মচারী ও সাংবাদিকদের জন্যও বাজেট আছে।
সুবিধাভোগীর তালিকা করণে দায়িত্বশীলরা স্বজনপ্রীতির মধ্য দিয়ে লোক দেখানোর নামে স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই না, ওই সংস্থায় কর্মরত ২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তাদের পছন্দমতো তিনজন করে ভিআইপি ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম।
আমার দেশ-এর হাতে থাকা লিস্টে দেখা গেছে, পীরগাছার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হক সুমনকে দিতে হয়েছে ২০০ কেজি গোশত। ইটাকুমারী ও অন্নদানগর ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যানের জন্য ২৪০ কেজি, সাংবাদিকদের জন্য দিয়েছে ৪০ কেজি গোশত। সব মিলিয়ে মাস্টার রোলের বাইরে প্রায় ৫০০ কেজি মাংস কয়েকজন ব্যক্তির হাতে দিয়েছে সংস্থাটি।
এতে হতদরিদ্রদের স্থলে সরকারি, বেসরকারি চাকরিজীবী, সম্পদশালী, ব্যবসায়ী, ছাত্র, ইউপি সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও তাদের আত্মীয়স্বজনরা সুবিধা ভোগ করেছেন।
ইটাকুমারি ইউনিয়নের হাসনা গ্রামের মো. বাচ্চা মিয়া (৭০), জোলেখা বেগম (৫০) ও নুর নাহার (৪০) আমার দেশকে বলেন, “আমরা গরিব মানুষ, ঈদে কোনো মাংস কিনতে পারিনি। খুব সকাল থেকে একটু মাংসের জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের সামনে অনেক বড়লোকদের মাংস দিয়েছে, অথচ আমাদেরকে দেয়নি।”
তারা আরও বলেন, তাদের এলাকার কোনো মানুষকে রিলিফ সংস্থার কোরবানির মাংস দেয়া হয়নি।
অন্নদানগর ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক আক্তার ফারুক জানান, “আমার নামে একটিও কোটা নেই। আমি কেন হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ করা মাংস নেবো? গরু জবাই করার কারণে পরিষদে যাইনি।”
ইটাকুমারি ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এনামুল হককে ফোনে পাওয়া না গেলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “আমি নিজে ওদের উপকারভোগীর মধ্যে যারা সনাতন পরিবারের আছে তাদের পরিবর্তে বঞ্চিত ওয়ার্ডগুলোয় আমি উদ্যোগ নিয়ে তাদের দেয়ার জন্য বলেছি।”
ইসলামিক রিলিফ সংস্থার পীরগাছা ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম বলেন, “গরুর মাংস মূলত আমাদের সুবিধাভোগী সদস্যদের মাঝে বিতরণের নিয়ম। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অন্যদের সম্মানি দিতে হয়।”
সাংবাদিকরা মাংস বিতরণের লিস্ট চাইলে তারিকুল ইসলাম তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
২৭ মিনিট আগেনিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
১ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
২ ঘণ্টা আগে