আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। এর মধ্যে গাইবান্ধা-৩ আসনে নাজমুল হাসান সোহাগ ও গাইবান্ধা-৫ আসনে ডা. আ খ ম আসাদুজ্জামানকে মনোনীত করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকার বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের প্রার্থী নাজমুল হাসান সোহাগ সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুর রহমান ও মোছা. ছোমেলা রহমান দম্পতির ছেলে। বর্তমান ঠিকানা- দক্ষিণ নীলক্ষেত আবাসিক এলাকা, ঢাকা। পেশা- এলএলবি (চূড়ান্ত বর্ষ) শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী তিনি।
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের প্রার্থী ডা. আ খ ম আসাদুজ্জামান সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামের আজিজুর রহমান আকন্দ (মহিমাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক) ও মোছা. কামরুন্নাহার দম্পতির ছেলে। বর্তমান ঠিকানা- বকশি বাজার, ঢাকা। পেশায় তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাজমুল হাসান সোহাগ ছাত্রজীবন থেকেই সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন ন্যায়সংগত আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। গত ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক, প্রতিটি ন্যায়সংগত ঢাকা কেন্দ্রিক আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী, এবং ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। ছাত্র রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে পদার্পণ করার পর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে তিনি একজন তরুণ, উদ্যমী ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
এদিকে, ডা. আ খ ম আসাদুজ্জামান ১৯৯৯-২০০০ শিক্ষা বর্ষে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে পেইন ম্যানেজম্যান্ট বিশেষজ্ঞ হিসেবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, গাইবান্ধা ও বগুড়া থেকে মানুষের জন্য চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন তিনি। এ সেবা এখনও অব্যাহত রয়েছে তার।
ভোটাররা বলছেন, আওয়ামী লীগ দেশে দু:শাসন চালানোর কারণে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। আবার যদি কোনো দল সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন, জুলুম করে দু:শাসন চালানো পরিকল্পনা করে। সেই দলের যত ভালো প্রার্থীই হোক, তাদের ভোট আর সাধারণ মানুষ দিবে না। যে দলের নেতাকর্মীদের দ্বারা সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি হবে না। তাদের ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) ও গাইবান্ধা-৩ আসনের প্রার্থী নাজমুল হাসান সোহাগ বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের সেবা করার জন্য। এ আসনের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণই আমার লক্ষ্য। জনগণের ভালোবাসা ও দোয়া পেলে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের নতুন অধ্যায় সূচনা করব।
এনসিপির গাইবান্ধা-৫ আসনে ডা. আ খ ম আসাদুজ্জামান বলেন, আমার রাজনীতি করার ইচ্ছা কখনো ছিল না। কিন্তু সময়ের দাবি, এলাকার মানুষের চাওয়া–পাওয়া, নদীভাঙন, বন্যার কষ্ট, পিছিয়ে পড়া মানুষের আহ্বান আমাকে রাজনীতিতে আসতে বাধ্য করেছে। আমার বিশ্বাস— সেবাই হবে আমার রাজনীতি, মানুষই হবে আমার শক্তি। এবার আমার রাজনীতি হবে মানুষের কল্যাণে।

