দোকান দখল করে বিক্রি করেন বিএনপি নেতারা, সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ

রংপুর অফিস
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৫, ২০: ২১

রংপুরের কাউনিয়ায় বিএনপির কয়েক নেতার বিরুদ্ধে দোকান দখল করে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে ঘরটি উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে নালিশ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। এছাড়া পানির দামে বেচতে না চাওয়ায় অভিযুক্তরা প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন উপজেলার নিজপাড়া এলাকার ইউসুফ আলী।

জানা গেছে, দোকান ঘরটি কাউনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ‘পজিশন’ কিনে নিয়েছিলেন ফাতেমা খাতুন। তার কাছ থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় কেনেন গাড়িচালক ইউসুফ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দোকানটি কিনে নেওয়ার পর জায়গার মালিক হিসেবে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২০১৫ সালে অসমাপ্ত ঘরটি বুঝে নেই। পরে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে দোকানটি হস্তান্তর করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটি দোকান ঘর ভাড়ার চুক্তিনামাও সম্পাদন করে দেয়। সেই সুবাদে অসমাপ্ত ঘরের নির্মাণ কাজ করতে গেলে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জামিনুর রহমানের নেতৃত্বে বাধা দেন যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহিম ও স্থানীয় কাজল মিয়া। নানাভাবে হুমকি-ধমকিও দেন তারা। তখন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজসে দোকানটি ব্যবহার করতে দেয়নি।

ইউসুফ আলী বলেন, ‍জুলাই বিপ্লবের পর আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত বিএনপি নেতারা। তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘরটি আবদুল নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। স্থাপনাটি দখল করলেও কাগজ আমার নামেই রয়েছে। তাই তারা আড়াই লক্ষাধিক টাকায় কেন ঘরটি মাত্র ২০ হাজার টাকায় লিখে দিতে চাপ দিচ্ছেন। লিখে না দিলে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে তারা। পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমনকি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছেন তারা।

দোকান দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা জামিনুর বলেন, ‘আমাকে কেন এসবের মধ্যে জড়ানো হচ্ছে তা তিনি ভালো বলতে পারবেন। আমি সেদিন সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম, সেজন্য আমার নাম উঠে এসেছে। আমরা রাজনীতি করি, তাই আমাদের দোষ বেশি।’

বিএনপি নেতা আবদুর রহিম বলেন, ‘কাজল আমার আত্নীয় হওয়ায় আমার নাম জড়িয়েছে এখানে। আমি এসবের মধ্যে নেই। দোকানটা ডিড করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বুঝবে।’

কাজল মিয়া বলেন, ‘২০১৫ সালে স্কুলের কাছ থেকে আমার মা দোকান ডিড করে নেয়। ২০১৮ সালে আমি ইউসুফের কাছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করি। এর এক বছর পরে ইউসুফের স্ত্রী সন্তানসহ আমাকে রাস্তায় আটকিয়ে তারা তাদের টাকা ফেরত নেয়। আমার দোকান ঘর সংস্কার করতে গেলে ইউসুফ ঘরের মালিকানা দাবি করেন। আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনা ক্যাম্পসহ বেশ কয়েক জায়গায় অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল বলেন, ‘আমরা ফাতেমাকে দোকানটি দিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে কাগজ করে দেওয়া হয়নি। পরে তার কাছ থেকে ইউসুফ কিনে নেন। সেসময় ফাতেমার অনুরোধে ইউসুফকে চূড়ান্ত কাগজ করে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়নি। আর পরে কী হয়েছে তা আমাদের জানা নেই।’

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বহন করা সেই প্রিজন ভ্যানে কী আছে

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত