সরকারি গাছ কেটে ইউপি সদস্যের বাড়ির কাজে ব্যবহার

উপজেলা প্রতিনিধি, পীরগাছা (রংপুর)
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৭: ৫৭

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্য, প্যানেল চেয়ারম্যান ১ ও ২ এর যোগসাজশে, পরিষদের প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের পুরোনো একটি সরকারি গাছ প্রকাশ্যে কেটে নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

৫ জুলাই (শনিবার) সকালে ইউনিয়নের দুই প্যানেল চেয়ারম্যান গাছটি কাটেন। দুইজন হলেন, প্যানেল-১ নেছার আহমেদ, ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। প্যানেল-২ হুমায়ুন কবির, ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য।

নেছার মেম্বার অকপটে গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে আমার দেশকে বলেন, হুমায়ুন কবির মেম্বারসহ একটি গাছ কেটেছি বাড়ির কাজের জন্য।

গত মঙ্গলবার এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছেন বলে আমার দেশকে নিশ্চিত করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কল্যানী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের দক্ষিণে ও প্রাচীরের সাথে লাগোয়া উত্তরে অনেক বড় একটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নেন ওই দুই ইউপি সদস্য।

ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, তিনদিন অফিস বন্ধের পর গত সোমবার অফিসে এসে দেখি বড় একটি ইউক্যালিপটাসকে বা কারা কেটে নিয়েছে।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির গাছ কাটার কথা স্বীকার করে আমার দেশকে বলেন, গাছ কাটা হয়েছে তবে এখানে আমি জড়িত নই। নেছার মেম্বার অন্যায়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের গাছ চুরি করে কেটেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। তবে নেছার মেম্বার গাছ কেটে নেয়ার বিষয়ে বলেন, আমি আমার বাড়ির কাজের জন্য হুমায়ুন মেম্বারসহ একটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নিয়েছি।

ইউনিয়নের বাসিন্দা জিকরুল আমিন বলেন, নেছার আহমেদ ও হুমায়ুন কবিররা আওয়ামী লীগের দোসর ছিল, বর্তমান বিএনপির চাদর গায়ে দিয়ে এ ধরনের অপকর্ম করে সরকারকে বিতর্কিত করে যাচ্ছে। এদেরকে বিচারের মুখোমুখি দরকার।

শাহাজাহান আলী বলেন, নেছার আহমেদ মেম্বার আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ায় নৌকা মার্কার নুর আলম চেয়ারম্যান তাকে প্যানেল করেছেন। তিনি পরিষদের সম্পদকে পৈত্রিক সম্পদ মনে করে নিজের জন্য ব্যবহার করেন। তিনি অতিতেও এ ধরণের অগনিত অপকর্ম করেছেন। এদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার সুনিশ্চিত করা জরুরি।

স্থানীয় কল্যাণী ইউপি প্রশাসক সঞ্জয় কুমার সরকার আমার দেশকে জানান, আমি আমার অফিসের কাজে ব্যস্ত রয়েছি। আমি এখনো ওই ইউপি পরিষদে যোগদান করি নাই। তবে গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছে। এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল আমার দেশকে বলেন, অনুমতি ছাড়া পরিষদের গাছ কেটে নেয়ার কোন সুযোগ নেই, বিস্তারিত তথ্য আমাকে পাঠান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত