রংপুরের তারাগঞ্জে শ্বশুর রূপলাল দাস ও জামাই প্রদীপ দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অনেক গরমিল পাওয়া গেছে।
ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও মামলার কাগজে এসবের উল্লেখ নেই। নিহতদের পরিবার বলছে, পুলিশ ইচ্ছা করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করেছে, যাতে আসল অপরাধীরা রেহাই পায়।
রূপলালের ছেলে জয়দাস অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে মারার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল, কিন্তু মামলায় সেটি লেখা হয়নি। পুলিশ উল্টো লিখছে, হাসপাতালে গিয়ে বাবাকে দেখেছে। মামলার কাগজপত্র পুলিশ নিজেরা বানিয়েছে, আমার মায়ের সই নিয়ে গেছে, কিন্তু তাকে কিছু জানায়নি।
রূপলালের স্ত্রী ভারতী রানী মালতি দাস বলেন, আমি কিছুই জানি না। কাগজে কী লেখা আছে তাও জানি না। শুধু সই নিয়ে গেছে। পরে শুনি আমি নাকি বাদী!
নিহতের মেয়ে নুপুর দাস বলেন, আমার বাবা আর দাদাকে বুড়িরহাট স্কুলমাঠে ফেলে রাখছিল। আমি গিয়ে পুলিশকে বলি এটা আমার বাবা ও দাদা। কিন্তু মামলায় লেখা হয়েছে, পুলিশ নাকি হাসপাতাল থেকে লাশ পেয়েছে। এটা পুরোপুরি মিথ্যা কথা।
পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে বটতলা বাজারে দুইজনকে আটক করে মারধর করা হয়। এরপর টেনেহিঁচড়ে বুড়িরহাট স্কুল মাঠে নিয়ে আবার পেটানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি।
ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে কারা মারধর করেছে। কিন্তু মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পরিবার বলছে, এর মাধ্যমে চিহ্নিত অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, মামলা তো বাদী করে, পুলিশ না। তবে যত আসামিই থাকুক, প্রকৃত অপরাধী রেহাই পাবে না।
নিহতদের পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং আসল দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অনেকে বলছেন, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হওয়া দরকার।

