উপজেলা প্রতিনিধি, দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়)
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেয়া দুই ভারতীয় নাগরিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বোদা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রেজওয়ানুল হক মণ্ডল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি থানার পশ্চিম মাগুরমারী গ্রামের মৃত জলধর রায়ের ছেলে ভবেন্দ্রনাথ রায় প্রধান ও বজেন্দ্রনাথ রায় প্রধান, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের কাদেরের মোড় এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে মোস্তফা কামাল, বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম, ইউপি সদস্য মনছুর আলী, ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী নুর ইসলাম ও চৌকিদার দীনবন্ধু, একই উপজেলার মাড়েয়া নতুন বস্তি এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে জালাল হাজী এবং বারপাটিয়া এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মজনু।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের গাজকাটি খারিজা ভাজনী গ্রামের মৃত জলধর রায় প্রধান স্বাধীনতার আগে অবিভক্ত টেপ্রীগঞ্জ ও শালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। সম্পত্তি কেন্দ্রিক বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর তার তিন ছেলে ভারতে চলে যায়। জলধরের মেয়ে নমিতা রানীর একমাত্র ছেলে উত্তম কুমার রায় উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক হলেও পরে তা বিক্রি করে দেন।
পরবর্তীতে আসামি মোস্তফা কামাল ওই জমি লিজ নিলে জানতে পারেন ভবেন্দ্রনাথ ও বজেন্দ্রনাথ রায় প্রধানের নামে সম্পত্তি রয়েছে। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় আসামি মোস্তফা কামাল তার সহযোগীদের নিয়ে বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের ঠিকানা ব্যবহার করে ভুয়া জন্মনিবন্ধনের কাগজপত্র ব্যবহার করে বোদা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে তাদের নামে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেন।
এদিকে আসামি মোস্তফা কামালের সাহায্যে মামলার প্রধান দুই আসামি ভারতের জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থানার পশ্চিম মাগুরমারী গ্রামের ভবেন্দ্রনাথ রায় প্রধান ও বজেন্দ্রনাথ রায় প্রধান জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। এ বিষয়ে মে মাসে দৈনিক 'আমার দেশ'সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেল অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে দুই ভারতীয় নাগরিকের ভুয়া ঠিকানা ও জন্মনিবন্ধন ব্যবহার জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়া এবং তাদের মধ্যে একজনের ছেলে ভারতের আধা-সামরিক বাহিনী আসাম রাইফেলসে কর্মরত থাকায় বিষয়টি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে উঠে আসে।
এ নিয়ে দৈনিক 'আমার দেশ'সহ একাধিক জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর দেবীগঞ্জের নাজমুল ইসলাম বাপ্পি নামে এক ব্যক্তি সংবাদ কাটিংসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে বোদা থানা তদন্ত শুরু করে, যার দায়িত্ব পান থানার তদন্ত পরিদর্শক রেজওয়ানুল হক মণ্ডল। তদন্ত শেষে তিনি বাদী হয়ে ৯ জনের নামে বোদা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলায় নোয়াখালীর মিরাজ মোহাম্মদ তারেকুল হাসান ও নাসিরকে অন্তর্ভুক্ত না করায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, ভারতীয় নাগরিকদের কাছে জমি বিক্রির দলিল সম্পাদন ও আদালতে মামলা করার মূল ভূমিকা ছিল মিরাজের। শুধু তাই নয়, এলাকায় সামান্য ঘটনাতেই তিনি পুলিশ পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতেন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে বোদা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার বাদী মো. রেজওয়ানুল হক মণ্ডল বলেন, তদন্ত শেষে ৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আছেন, সেটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেখবেন।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেয়া দুই ভারতীয় নাগরিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বোদা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রেজওয়ানুল হক মণ্ডল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি থানার পশ্চিম মাগুরমারী গ্রামের মৃত জলধর রায়ের ছেলে ভবেন্দ্রনাথ রায় প্রধান ও বজেন্দ্রনাথ রায় প্রধান, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের কাদেরের মোড় এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে মোস্তফা কামাল, বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম, ইউপি সদস্য মনছুর আলী, ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী নুর ইসলাম ও চৌকিদার দীনবন্ধু, একই উপজেলার মাড়েয়া নতুন বস্তি এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে জালাল হাজী এবং বারপাটিয়া এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মজনু।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের গাজকাটি খারিজা ভাজনী গ্রামের মৃত জলধর রায় প্রধান স্বাধীনতার আগে অবিভক্ত টেপ্রীগঞ্জ ও শালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। সম্পত্তি কেন্দ্রিক বিরোধে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর তার তিন ছেলে ভারতে চলে যায়। জলধরের মেয়ে নমিতা রানীর একমাত্র ছেলে উত্তম কুমার রায় উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক হলেও পরে তা বিক্রি করে দেন।
পরবর্তীতে আসামি মোস্তফা কামাল ওই জমি লিজ নিলে জানতে পারেন ভবেন্দ্রনাথ ও বজেন্দ্রনাথ রায় প্রধানের নামে সম্পত্তি রয়েছে। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় আসামি মোস্তফা কামাল তার সহযোগীদের নিয়ে বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের ঠিকানা ব্যবহার করে ভুয়া জন্মনিবন্ধনের কাগজপত্র ব্যবহার করে বোদা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে তাদের নামে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দেন।
এদিকে আসামি মোস্তফা কামালের সাহায্যে মামলার প্রধান দুই আসামি ভারতের জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থানার পশ্চিম মাগুরমারী গ্রামের ভবেন্দ্রনাথ রায় প্রধান ও বজেন্দ্রনাথ রায় প্রধান জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। এ বিষয়ে মে মাসে দৈনিক 'আমার দেশ'সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেল অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে দুই ভারতীয় নাগরিকের ভুয়া ঠিকানা ও জন্মনিবন্ধন ব্যবহার জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়া এবং তাদের মধ্যে একজনের ছেলে ভারতের আধা-সামরিক বাহিনী আসাম রাইফেলসে কর্মরত থাকায় বিষয়টি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে উঠে আসে।
এ নিয়ে দৈনিক 'আমার দেশ'সহ একাধিক জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর দেবীগঞ্জের নাজমুল ইসলাম বাপ্পি নামে এক ব্যক্তি সংবাদ কাটিংসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে বোদা থানা তদন্ত শুরু করে, যার দায়িত্ব পান থানার তদন্ত পরিদর্শক রেজওয়ানুল হক মণ্ডল। তদন্ত শেষে তিনি বাদী হয়ে ৯ জনের নামে বোদা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলায় নোয়াখালীর মিরাজ মোহাম্মদ তারেকুল হাসান ও নাসিরকে অন্তর্ভুক্ত না করায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, ভারতীয় নাগরিকদের কাছে জমি বিক্রির দলিল সম্পাদন ও আদালতে মামলা করার মূল ভূমিকা ছিল মিরাজের। শুধু তাই নয়, এলাকায় সামান্য ঘটনাতেই তিনি পুলিশ পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতেন বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে বোদা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার বাদী মো. রেজওয়ানুল হক মণ্ডল বলেন, তদন্ত শেষে ৯ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আছেন, সেটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেখবেন।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
৪২ মিনিট আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে