সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে ঈদুল আজহায় কোরবানি পশুর চামড়ার প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন সংগ্রহকারীরা। অনেকে দাম না পেয়ে মাটিতে পুঁতে কিংবা পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলার চিকসা গ্রামের খবর নিয়ে জানা যায়, আবার কোনো কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চামড়া বিনা পয়সায় নিতেও আগ্রহী নয়। গ্রামবাসীর ৩০টি চামড়া চিকসা স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসায় দান করেছেন। তাও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করে চামড়া ৩০টি তুলে দিয়েছেন। মাদ্রাসার এ শিক্ষক চামড়া নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। তিনি দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। পরে বাধ্য হয়ে ১৫০ টাকা ধরে পাইকারের কাছে বিক্রি করেছেন। এ উপজেলায় কোথাও কোথাও প্রতি পিস চামড়া ৫০ টাকা করেও বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।
প্রভাষক ফজলুল করিম সাঈদ জানান, চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের কারণে দাম মিলছে না। সরকারের দেওয়া দর শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ, বাস্তবে নেই। সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারার কারণে চামড়া শিল্প আজ ধ্বংসের মুখে। সুনামগঞ্জ পৌরসভার সার্কিট হাউজের সামনে গিয়ে দেখা যায়, উজ্জল নামে এক চামড়া ব্যবসায়ী ৪০০ চামড়া কিনে পিকআপে তুলছেন। দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি প্রতিটি চামড়া ৩০০ টাকা করে কিনেছি। এসব চামড়া লবনযুক্ত ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করবো। ঢাকায় নেয়ার পর লাভ না হলে এ ব্যবসা ছেড়ে দেবো' বলে তিনি জানান।
শাল্লা উপজেলার কাইমা গ্রামের কুদরত পাশা বলেন, 'চামড়ার দাম এবারও নেই। কেউ দাম হাঁকায় না। মাদ্রাসার ছেলেরাও চামড়া নিতে আসেনা। বিক্রি করতে না পেরে এসব চামড়া কেউ মাটিতে পুঁতে, কেউবা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন।'
শহরের পাশে আল হেরা জামেয়া মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০০ চামড়া মাদ্রাসার শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে এনে জড়ো করেছেন। এসব চামড়া মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে চাইলে দাম হাঁকায় না।
মাদ্রাসার শিক্ষক শাহ মোশাহিদ আলম ফয়সাল বলেন, 'গতবছরের মতো এবারও চামড়ার দাম পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক কষ্ট করে চামড়া সংগ্রহ করেছি। উপযুক্ত দাম না পাওয়া এখনও মজুদ আছে। চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করায় এমন দশা এ শিল্পের। চামড়া শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।'
এমএস
সুনামগঞ্জে ঈদুল আজহায় কোরবানি পশুর চামড়ার প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন সংগ্রহকারীরা। অনেকে দাম না পেয়ে মাটিতে পুঁতে কিংবা পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলার চিকসা গ্রামের খবর নিয়ে জানা যায়, আবার কোনো কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চামড়া বিনা পয়সায় নিতেও আগ্রহী নয়। গ্রামবাসীর ৩০টি চামড়া চিকসা স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসায় দান করেছেন। তাও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করে চামড়া ৩০টি তুলে দিয়েছেন। মাদ্রাসার এ শিক্ষক চামড়া নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। তিনি দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। পরে বাধ্য হয়ে ১৫০ টাকা ধরে পাইকারের কাছে বিক্রি করেছেন। এ উপজেলায় কোথাও কোথাও প্রতি পিস চামড়া ৫০ টাকা করেও বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।
প্রভাষক ফজলুল করিম সাঈদ জানান, চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের কারণে দাম মিলছে না। সরকারের দেওয়া দর শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ, বাস্তবে নেই। সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারার কারণে চামড়া শিল্প আজ ধ্বংসের মুখে। সুনামগঞ্জ পৌরসভার সার্কিট হাউজের সামনে গিয়ে দেখা যায়, উজ্জল নামে এক চামড়া ব্যবসায়ী ৪০০ চামড়া কিনে পিকআপে তুলছেন। দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি প্রতিটি চামড়া ৩০০ টাকা করে কিনেছি। এসব চামড়া লবনযুক্ত ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করবো। ঢাকায় নেয়ার পর লাভ না হলে এ ব্যবসা ছেড়ে দেবো' বলে তিনি জানান।
শাল্লা উপজেলার কাইমা গ্রামের কুদরত পাশা বলেন, 'চামড়ার দাম এবারও নেই। কেউ দাম হাঁকায় না। মাদ্রাসার ছেলেরাও চামড়া নিতে আসেনা। বিক্রি করতে না পেরে এসব চামড়া কেউ মাটিতে পুঁতে, কেউবা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন।'
শহরের পাশে আল হেরা জামেয়া মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২০০ চামড়া মাদ্রাসার শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে এনে জড়ো করেছেন। এসব চামড়া মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে চাইলে দাম হাঁকায় না।
মাদ্রাসার শিক্ষক শাহ মোশাহিদ আলম ফয়সাল বলেন, 'গতবছরের মতো এবারও চামড়ার দাম পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক কষ্ট করে চামড়া সংগ্রহ করেছি। উপযুক্ত দাম না পাওয়া এখনও মজুদ আছে। চামড়া ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করায় এমন দশা এ শিল্পের। চামড়া শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।'
এমএস
চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হলে বর্তমান সরকার আর কোনো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবে না। সে কারণে দ্রুত পিডি নিয়োগ করে নভেম্বরেই কাজ শুরু করতে হবে। সেটি করা না হলে সারা দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন টাকা না দিলেও নিজের টাকা দিয়ে কাজ শুরুর দাবি জানান তারা।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
২ ঘণ্টা আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
২ ঘণ্টা আগে