মৌলভীবাজারের রাজনগর

সরকারি রাস্তার মাটি কেটে জলমহালে বাঁধ বিএনপি নেতার

রাজনগর (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৫, ০৩: ২২

মৌলভীবাজারের রাজনগরে সরকারি রাস্তার মাটি দিয়ে জলমহালে বাঁধ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। চার গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তা কেটে বিলের বাঁধ দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ছাড়া জলমহালের সঙ্গে কয়েকশ একর জমির পানি আটকে মাছ চাষ করছেন বিএনপির স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ঘটনাটি রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাড়িকোন্দা জলমহালের পাশে।

সরকার পতনের আগে আওয়ামী লীগের নেতারা জলমহাল ভোগ করলেও এখন এতে ভাগ বসিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ ওঠা বিএনপি নেতা হলেন- একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. বশর মিয়া। তার সহযোগীরা হলেন- মিজান ঝুনু, আকল, জিলাল, সুহেল মসাইদ ফাতির।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, কাউয়াদিগী হাওর পাড়ের কাশিমপুর, ইসলামপুর, সোনাপুর ও আব্দুল্লাহপুরের হাজারো কৃষক হাওরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি হাড়িকোন্দা বিলের পাশ দিয়ে গেছে। হাড়িকোন্দা ও বাডিডিগা নামে দুটি বিল মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে লিজ নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতারা মাছ চাষ করছেন। ওই জলমহালে বাঁধ দিতে পার্শ্ববর্তী সড়কের মাটি রাতের আঁধারে কেটে নিচ্ছেন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. বশর মিয়ার লোকজন।

এদিকে ইসলামপুর ও সোনাপুর গ্রামের সরকারি রাস্তার মধ্যখানে অবস্থিত হাড়িকোন্দা বিলের মোট ১৭ একর জমি লিজ নিয়ে বিশাল এলাকায় বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের করে দখলে রেখেছেন কয়েকশ একর জমি। কৃষকরা নিজেদের জমি থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালীদের দখলে থাকার কারণে নৌকা দিয়ে যাতায়াত, গরুর জন্য ঘাস ও মাছ ধরতে পারছেন না। বাঁধের কারণে পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন হাজারো মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইতোমধ্যে একটি প্রভাবশালী মহল রাস্তার বেশ কিছু অংশ কেটে মাটি নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা বাধা দিলেও নেতাদের হুমকি-ধমকির ভয়ে কেউ এগিয়ে আসছে না। এ বিষয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সায়েদ আলী বলেন, ঘটনা সঠিক তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারো।

ফতেপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. বশর মিয়া মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এলাকার মানুষ কিছু মাটি কেটে নিয়ে ব্রিজের দুই পাশে ফেলেছে যাতায়াতের সুবিধার জন্য। কারণ রাস্তা থেকে তিন ফুট উঁচু ব্রিজ। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাতেমাতুজ জুহরা বলেন, গত শুক্রবার তদন্তের জন্য তহসিলদারকে ওই জায়গায় পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এখনো পাইনি।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত