
উপজেলা প্রতিনিধি শাল্লা (সুনামগঞ্জ)

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় মার্কুলি নৌ-পুলিশ প্রায় ২০০ লিটার চোলাই মদ এবং তিনটি মোটরসাইকেল আটক করে। অভিযানে পাপন সরকার (২২) নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, জব্দকৃত ২শ' লিটার মদের সাথে শাল্লা উপজেলার বিলপুর গ্রামের মন্টু দাসের ছেলে সুহেল দাসসহ (২০) অন্তত আরো পাঁচজন মাদক বিক্রেতা থাকা সত্ত্বেও অদৃশ্য কোনো কারণে মামলার এজাহারে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
অনুসন্ধানে পাওয়া এসব তথ্যের সপক্ষে সবধরনের প্রমাণ ও কল রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে এবং তা সংরক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদকের বিক্রেতাদের পালাতে সহযোগিতা করেছেন নৌ-পুলিশ নিজেই। এ বিষয়ে সরেজমিনে কথা হয় মামলার ১ নম্বর সাক্ষী বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্র কান্ত বৈষ্ণবের সাথে।
তিনি আমার দেশকে জানান, চারটি বস্তায় প্রায় দু’শো লিটার মদসহ তিনটি মোটরসাইকেল আটক করে মার্কুলি নৌ-পুলিশ।
তিনি আরো জানান, দু’টি মোটরসাইকেল চালিয়ে নৌ-পুলিশ মার্কুলি ফাঁড়ি থানায় নিয়ে যায়। অন্য মোটরসাইকেলটি নৌকায় তুলে নেয়া হয়েছে। মামলার ২য় সাক্ষী হৃদয় বৈষ্ণবও আমাদেরদেশকে একই কথা জানান।
দু’জন সাক্ষীর ভাষ্য নিয়ে মামলার আরেক সাক্ষী নৌ-পুলিশের কনস্টেবল নাছির হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনোকিছু না জেনেই তার স্যারের নির্দেশে মামলায় সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানান। মদের সঠিক পরিমাণ জানতে অনুসন্ধানের রেকর্ড করে বের করে কথা হয় নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় পালিয়ে আসা মাদক বিক্রেতাদের সাথে। তাদের সাথে সরাসরি কথা বলে আমার দেশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন মাদক বিক্রেতা জানান, চারটি বস্তায় তাদের দু’শো লিটার মদ ছিল। ৪৮ লিটার মদ ছাড়া বাকি মদগুলো বিক্রি করে দিয়েছে নৌ-পুলিশ।
তারা বলেন, আমাদের মদ, মোটরসাইকেল ও একজন লোককে ছেড়ে দিবে বলে শুরুতেই তাদের কাছে দু’লাখ টাকা দাবি করে আসছিলেন নৌ-পুলিশের ইন্সপেক্টর কাওসার গাজী ও এস আই রুকুনুজ্জামান। পুলিশকে পয়ষট্টি হাজার টাকা দিবে বললেও তাদের মালামাল ছাড়েনি। পরবর্তীতে তাদের কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। মাদক বিক্রেতারা আশি হাজার টাকায় রাজি হলেও কম হওয়ায় তাদের মালামাল ছাড়া হয়নি।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, জব্দ মদের মধ্যে মাত্র ৪৮ লিটার সরকারি তালিকায় দেখানো হয়েছে, বাকি ১৫২ লিটার মদ এবং মোটরসাইকেলগুলো উধাও হয়েছে।
পুলিশের কিছু সদস্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গ্রেপ্তারদের মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেছেন। মাদক ও মোটরসাইকেল উদ্ধার হলেও জব্দ তালিকায় না দেখানোয় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এতে শাল্লা, আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযানে সরাসরি জড়িত ছিলেন ইন্সপেক্টর কাওসার গাজী, এস আই রুকুনুজ্জামান, এস আই সুরুজ আলী এবং কনস্টেবল নাছির হোসেন।
মার্কুলি নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।
সিলেট রেঞ্জের পুলিশ সুপার ফাল্গুনী পুরকায়স্থ বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা আশা করছেন, তদন্তের মাধ্যমে উধাও হওয়া মদ ও মোটরসাইকেল এবং পুলিশের অনিয়মের তথ্য উন্মোচিত হবে।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় মার্কুলি নৌ-পুলিশ প্রায় ২০০ লিটার চোলাই মদ এবং তিনটি মোটরসাইকেল আটক করে। অভিযানে পাপন সরকার (২২) নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, জব্দকৃত ২শ' লিটার মদের সাথে শাল্লা উপজেলার বিলপুর গ্রামের মন্টু দাসের ছেলে সুহেল দাসসহ (২০) অন্তত আরো পাঁচজন মাদক বিক্রেতা থাকা সত্ত্বেও অদৃশ্য কোনো কারণে মামলার এজাহারে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
অনুসন্ধানে পাওয়া এসব তথ্যের সপক্ষে সবধরনের প্রমাণ ও কল রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে এবং তা সংরক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদকের বিক্রেতাদের পালাতে সহযোগিতা করেছেন নৌ-পুলিশ নিজেই। এ বিষয়ে সরেজমিনে কথা হয় মামলার ১ নম্বর সাক্ষী বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্র কান্ত বৈষ্ণবের সাথে।
তিনি আমার দেশকে জানান, চারটি বস্তায় প্রায় দু’শো লিটার মদসহ তিনটি মোটরসাইকেল আটক করে মার্কুলি নৌ-পুলিশ।
তিনি আরো জানান, দু’টি মোটরসাইকেল চালিয়ে নৌ-পুলিশ মার্কুলি ফাঁড়ি থানায় নিয়ে যায়। অন্য মোটরসাইকেলটি নৌকায় তুলে নেয়া হয়েছে। মামলার ২য় সাক্ষী হৃদয় বৈষ্ণবও আমাদেরদেশকে একই কথা জানান।
দু’জন সাক্ষীর ভাষ্য নিয়ে মামলার আরেক সাক্ষী নৌ-পুলিশের কনস্টেবল নাছির হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনোকিছু না জেনেই তার স্যারের নির্দেশে মামলায় সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানান। মদের সঠিক পরিমাণ জানতে অনুসন্ধানের রেকর্ড করে বের করে কথা হয় নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় পালিয়ে আসা মাদক বিক্রেতাদের সাথে। তাদের সাথে সরাসরি কথা বলে আমার দেশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’জন মাদক বিক্রেতা জানান, চারটি বস্তায় তাদের দু’শো লিটার মদ ছিল। ৪৮ লিটার মদ ছাড়া বাকি মদগুলো বিক্রি করে দিয়েছে নৌ-পুলিশ।
তারা বলেন, আমাদের মদ, মোটরসাইকেল ও একজন লোককে ছেড়ে দিবে বলে শুরুতেই তাদের কাছে দু’লাখ টাকা দাবি করে আসছিলেন নৌ-পুলিশের ইন্সপেক্টর কাওসার গাজী ও এস আই রুকুনুজ্জামান। পুলিশকে পয়ষট্টি হাজার টাকা দিবে বললেও তাদের মালামাল ছাড়েনি। পরবর্তীতে তাদের কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। মাদক বিক্রেতারা আশি হাজার টাকায় রাজি হলেও কম হওয়ায় তাদের মালামাল ছাড়া হয়নি।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, জব্দ মদের মধ্যে মাত্র ৪৮ লিটার সরকারি তালিকায় দেখানো হয়েছে, বাকি ১৫২ লিটার মদ এবং মোটরসাইকেলগুলো উধাও হয়েছে।
পুলিশের কিছু সদস্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গ্রেপ্তারদের মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করেছেন। মাদক ও মোটরসাইকেল উদ্ধার হলেও জব্দ তালিকায় না দেখানোয় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এতে শাল্লা, আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযানে সরাসরি জড়িত ছিলেন ইন্সপেক্টর কাওসার গাজী, এস আই রুকুনুজ্জামান, এস আই সুরুজ আলী এবং কনস্টেবল নাছির হোসেন।
মার্কুলি নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।
সিলেট রেঞ্জের পুলিশ সুপার ফাল্গুনী পুরকায়স্থ বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা আশা করছেন, তদন্তের মাধ্যমে উধাও হওয়া মদ ও মোটরসাইকেল এবং পুলিশের অনিয়মের তথ্য উন্মোচিত হবে।

রাত ১২টার দিকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে হামলা চালায়। এ সময় সিটি ইউনিভার্সিটির ভিসি অফিস, রেজিস্ট্রার অফিস, প্রো-ভিসি অফিস, কনফারেন্স রুম, কম্পিউটার ল্যাব, অ্যাকাউন্টস অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হয়। এছাড়া ক্যাম্পাসে
১০ মিনিট আগে
নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের অধিবাসী গাজী সালাউদ্দীন। পেশায় শিক্ষক। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যখন নির্বিচারে ছাত্রদের হত্যা করা হচ্ছিল, তখন তিনি ঘরে বসে থাকতে পারেননি। ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনে যুক্ত হন।
১৯ মিনিট আগে
এনসিপির ওই সভায় হঠাৎ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক ছাত্রনেতা ওমর ফারুক ওরফে দাড়ি ওমর উপস্থিত হয়ে সারজিস আলমের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।
২৬ মিনিট আগে
ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেও কোনো চাকরি পায়নি অথচ এই বাংলাদেশে অন্তত ১২ লক্ষ বিদেশি নাগরিক চাকরি করে খাচ্ছে যার অধিকাংশই ভারত আর চীনের। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল প্রজেক্টে শতশত ইঞ্জিনিয়ার বাইরে থেকে আনা হয়েছে অথচ আমাদের দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ করার সুযোগ হয়নি।
৩২ মিনিট আগে