খুলনা ব্যুরো
ফরিদপুরের রূপালী ব্যাংকের জোনাল অফিসের এজিএম বায়েজিদ মোল্লার নাজেহালের শিকার অসংখ্য গ্রাহক। ঋণগ্রহীতাদের মর্টগেজ রাখা চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া আবেদনে প্রায় চার কোটি টাকা লোন তুলে আত্মসাৎ করেছেন তিনি। স্বাক্ষরিত চেক ব্যবহার করে অর্থ দাবি ও মামলা করে তিনি হয়রানি করছেন গ্রাহকদের। দুর্নীতিবাজ ও অর্থ লোপাটকারী অফিসারের বিচার এবং তার হেফাজতে থাকা সব চেক উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সম্প্রতি খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বায়েজিদ মোল্লার জালিয়াতি ও প্রতারণার নজিরবিহীন বিবরণ তুলে ধরেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চাঁদপুর শংকরনগর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেব শংকর বিশ্বাস বলেন, মো. বায়েজিদ মোল্লা ২০০০ সালে রূপালী ব্যাংকে যোগ দিয়ে খুলনার নতুন বাজার, রাজাপুর ও সদর শাখায় ম্যানেজার থাকাকালে বেশ কয়েকজন ঋণগ্রহীতার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ঋণ দেওয়ার কথা বলে অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন ডকুমেন্ট স্বাক্ষর করিয়ে রাখতেন। এরপর কুষ্টিয়ায় বদলি হয়ে যাওয়ার সময় ঋণগ্রহীতাদের ঋণ ফাইল সুকৌশলে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তর করেন। সেখানে এসব গ্রাহকের ডকুমেন্ট ব্যবহার করে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে তাদের নামে পাঁচ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ উত্তোলন করেন।
২০১৬ সালে কুষ্টিয়া করপোরেট শাখার এজিএমের দায়িত্ব পালনের সময় ব্যাংক থেকে অসংখ্য গ্রাহকের নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ প্রদানে অনিয়মের কারণে সাময়িক বরাখাস্ত হন। পরবর্তীতে ফরিদপুর জোনাল অফিসে এজিএম হিসেবে বদলি হন তিনি। এরপরই শুরু হয় তার প্রতারণার খেলা। ঋণগ্রহীতাদের শত শত স্বাক্ষরিক চেক মর্টগেজ হিসেবে ব্যাংকের কাছে জমা ছিল। ওই চেকগুলোকে হাতিয়ার করে তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে চেক ডিজঅনার মামলা দিয়ে হয়রানি করবেন বলে ভয় দেখান।
ভুক্তভোগীরা জানান, যারা বায়েজিদের অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, লালমনিরহাট, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মামলা হতে থাকে। ভূতুড়ে মামলার বাদী ও সাক্ষীরা সবাই বায়েজিদের আত্মীয়-স্বজন বা ঋণগ্রহীতা—যাদের প্রলোভন বা ভয় দেখিয়ে মামলা করতে বাধ্য করা হয়েছে।
জানা যায়, মামলার বাদী রহমত আলী মোল্লা বায়েজিদের আপন ভাই, কামরুল হাসান আপন শ্যালক, রাজিব মোল্লা তার ভাগ্নে, ইয়াছিন মোল্লা ভাইপো, মেহেদী হাসান আত্মীয়। এছাড়া নাজমুল হোসেন, সুইটি ব্যাপারী, অসিম ব্যাপারী, রতন কুমার সাহা, সুব্রত মালাকার, স্বপন বিশ্বাসসহ অনেকে মামলাবাজির তালিকায় রয়েছেন।
বাদীদের অনেকেই আদালতে স্বীকার করেছেন যে, বায়েজিদ মোল্লার চাপে পড়ে তারা মামলা করেছিলেন। যাদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম, সাইফুজ্জামান সুজন, মো. শাহীন মোল্লা, বেলায়েত হোসেন, মোতাহের হোসেনসহ অনেকেই পরবর্তীতে এফিডেভিটের মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহার করেন। কিন্তু এখনো রহমত আলী মোল্লা, এবাদত হোসেন ও শাহরিন ভানু নামে তিনজন ভাড়াটে বাদী মামলাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তার বিরুদ্ধে ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টেও নীতিমালা অমান্য করে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করায় ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। যে কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতারাও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের চেকগুলো উদ্ধার, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার, ভাড়াটে বাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, বায়েজিদ মোল্লার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, আয়কর রিটার্ন ও ব্যাংক লেনদেন যাচাই করা এবং তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে বরখাস্ত ব্যাংক কর্মকর্তা বায়েজিদ মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ২০২৪ সালে তিন সদস্যের একটি টিম কুষ্টিয়া শাখায় আসে। সেই টিমের সদস্য ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রোকনুজ্জামান আমার দেশকে বলেন, তদন্তের ফাইন্ডিংস আমরা লিখিত আকারে হেড অফিসে জমা দিয়েছি। সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে আমার জানা নেই।
ফরিদপুরের রূপালী ব্যাংকের জোনাল অফিসের এজিএম বায়েজিদ মোল্লার নাজেহালের শিকার অসংখ্য গ্রাহক। ঋণগ্রহীতাদের মর্টগেজ রাখা চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া আবেদনে প্রায় চার কোটি টাকা লোন তুলে আত্মসাৎ করেছেন তিনি। স্বাক্ষরিত চেক ব্যবহার করে অর্থ দাবি ও মামলা করে তিনি হয়রানি করছেন গ্রাহকদের। দুর্নীতিবাজ ও অর্থ লোপাটকারী অফিসারের বিচার এবং তার হেফাজতে থাকা সব চেক উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা সম্প্রতি খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বায়েজিদ মোল্লার জালিয়াতি ও প্রতারণার নজিরবিহীন বিবরণ তুলে ধরেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চাঁদপুর শংকরনগর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেব শংকর বিশ্বাস বলেন, মো. বায়েজিদ মোল্লা ২০০০ সালে রূপালী ব্যাংকে যোগ দিয়ে খুলনার নতুন বাজার, রাজাপুর ও সদর শাখায় ম্যানেজার থাকাকালে বেশ কয়েকজন ঋণগ্রহীতার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ঋণ দেওয়ার কথা বলে অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন ডকুমেন্ট স্বাক্ষর করিয়ে রাখতেন। এরপর কুষ্টিয়ায় বদলি হয়ে যাওয়ার সময় ঋণগ্রহীতাদের ঋণ ফাইল সুকৌশলে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তর করেন। সেখানে এসব গ্রাহকের ডকুমেন্ট ব্যবহার করে সঞ্চয়ী হিসাব খুলে তাদের নামে পাঁচ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ উত্তোলন করেন।
২০১৬ সালে কুষ্টিয়া করপোরেট শাখার এজিএমের দায়িত্ব পালনের সময় ব্যাংক থেকে অসংখ্য গ্রাহকের নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ প্রদানে অনিয়মের কারণে সাময়িক বরাখাস্ত হন। পরবর্তীতে ফরিদপুর জোনাল অফিসে এজিএম হিসেবে বদলি হন তিনি। এরপরই শুরু হয় তার প্রতারণার খেলা। ঋণগ্রহীতাদের শত শত স্বাক্ষরিক চেক মর্টগেজ হিসেবে ব্যাংকের কাছে জমা ছিল। ওই চেকগুলোকে হাতিয়ার করে তিনি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে চেক ডিজঅনার মামলা দিয়ে হয়রানি করবেন বলে ভয় দেখান।
ভুক্তভোগীরা জানান, যারা বায়েজিদের অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, লালমনিরহাট, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মামলা হতে থাকে। ভূতুড়ে মামলার বাদী ও সাক্ষীরা সবাই বায়েজিদের আত্মীয়-স্বজন বা ঋণগ্রহীতা—যাদের প্রলোভন বা ভয় দেখিয়ে মামলা করতে বাধ্য করা হয়েছে।
জানা যায়, মামলার বাদী রহমত আলী মোল্লা বায়েজিদের আপন ভাই, কামরুল হাসান আপন শ্যালক, রাজিব মোল্লা তার ভাগ্নে, ইয়াছিন মোল্লা ভাইপো, মেহেদী হাসান আত্মীয়। এছাড়া নাজমুল হোসেন, সুইটি ব্যাপারী, অসিম ব্যাপারী, রতন কুমার সাহা, সুব্রত মালাকার, স্বপন বিশ্বাসসহ অনেকে মামলাবাজির তালিকায় রয়েছেন।
বাদীদের অনেকেই আদালতে স্বীকার করেছেন যে, বায়েজিদ মোল্লার চাপে পড়ে তারা মামলা করেছিলেন। যাদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম, সাইফুজ্জামান সুজন, মো. শাহীন মোল্লা, বেলায়েত হোসেন, মোতাহের হোসেনসহ অনেকেই পরবর্তীতে এফিডেভিটের মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহার করেন। কিন্তু এখনো রহমত আলী মোল্লা, এবাদত হোসেন ও শাহরিন ভানু নামে তিনজন ভাড়াটে বাদী মামলাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন।
তার বিরুদ্ধে ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টেও নীতিমালা অমান্য করে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করায় ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। যে কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতারাও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের চেকগুলো উদ্ধার, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার, ভাড়াটে বাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, বায়েজিদ মোল্লার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, আয়কর রিটার্ন ও ব্যাংক লেনদেন যাচাই করা এবং তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে বরখাস্ত ব্যাংক কর্মকর্তা বায়েজিদ মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ২০২৪ সালে তিন সদস্যের একটি টিম কুষ্টিয়া শাখায় আসে। সেই টিমের সদস্য ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রোকনুজ্জামান আমার দেশকে বলেন, তদন্তের ফাইন্ডিংস আমরা লিখিত আকারে হেড অফিসে জমা দিয়েছি। সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে আমার জানা নেই।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জহিরুল ইসলাম মিঠু হত্যা মামলায় পলাতক দুই ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
৩৬ মিনিট আগেপরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ১১ বছর বয়সে ১৯৩৫ সালে শামসুদ্দিন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ৬৪১৪৬০। ১৯৩৯ থেকে শুরু করে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পুরো ছয় বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দানে ছিলেন এ যোদ্ধা।
৪২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ভেতরে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক সাবেক নেতা। ঘটনার পর তাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক মো. রায়হান হাটহাজারি কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি।
১ ঘণ্টা আগেসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে তা জানার পরই সাথে সাথে কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে