হবিগঞ্জ জেলার চার উপজেলার ওপর দিয়ে ঢাকা-সিলেট রেলপথে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি লেভেলক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, এ পথে ৪৬টি অনুমোদনহীন লেভেলক্রসিং রয়েছে। তন্মধ্যে অনুমোদনহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ ২০টির অধিক লেভেলক্রসিং বন্ধ করে দিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এসব অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, বাড়ছে প্রাণহানির আশঙ্কা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার কঠোর উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার সব অরক্ষিত লেভেলক্রসিং ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি লেভেলক্রসিং বন্ধ করা হয়েছে। পরে পর্যায়ক্রমে বাকি ২৬টিও বন্ধ করা হবে।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অরক্ষিত লেভেলক্রসিংগুলোর বেশিরভাগই স্থানীয়ভাবে তৈরি। যেগুলোর কোনো নিরাপত্তা কাঠামো নেই এবং সিগন্যালম্যানও নেই। ফলে এসব স্থানে ট্রেন চলাচলের সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
এদিকে হঠাৎ করে চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, লেভেলক্রসিং বন্ধের আগে বিকল্প সড়ক বা ওভারপাস-আন্ডারপাস নির্মাণ করা জরুরি। নইলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।
সরেজমিন দেখা যায়, বাহুবল উপজেলার মির্জাটুলা সড়ক এবং শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার হাইস্কুল সড়ক, পশ্চিম বড়চর লেভেলক্রসিং, রেলওয়ে হাসপাতাল লেভেলক্রসিংয়ে রেলের শিক দিয়ে খুঁটি পুঁতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চলাচলের সড়ক।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমীন বলেন, এ সড়ক দিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে আসছি। হঠাৎ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো নোটিস ছাড়াই চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে আমরা চরম বেকায়দায় পড়েছি।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রউফ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দুর্ঘটনা এড়াতে অনুমোদনহীন লেভেলক্রসিং বন্ধ করা হচ্ছে।

