সিলেট নগরীর সাগরদীঘিরপাড় এলাকায় সাইবার মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তা খুরশেদ আলম গুরুতর আহত হয়েছেন। ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম রহিম উদ্দিন রাজু (৩৩)। সে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত খুরশেদ আলম সিলেট সিআইডিতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত। পরে তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে, ঘটনার প্রায় সাত ঘণ্টা পর আসামী রাজুকে আটক করে পুলিশ। রাজু সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার পশ্চিম কোনাগ্রাম এলাকার রফিক উদ্দিনের ছেলে, বর্তমানে সিলেট নগরীর শাপলাবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
অভিযানকারীরা জানান, আটককৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশিতে তার কাছে একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়, যেখানে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে পরিচয় উল্লেখ করেছেন।
সিআইডির ডিআইজি ড. মো. আল মামুনুর আনসারী মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে জানান, আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পূর্বে বিভিন্ন থানায় মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। এছাড়া পূর্বের এক মামলার বাদীর ছবি সম্পাদনা করে অসদুপায় অবলম্বন এবং হয়রানির অভিযোগেও তিনি অভিযুক্ত বলে সিআইডি জানায়।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের ওপর এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে , সাগরদীঘিরপাড় এলাকায় সোমবার রাতে একটি সাইবার মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে সাদাপোশাকে অভিযান চালায় সিআইডির একটি দল। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে এসআই খুরশেদ আলম আসামিকে ধরে ফেলেন। তখন আসামি তার বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে এসআই খুরশেদকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাঈনুল জাকির মঙ্গলবার বিকেলে জানান, এস আই খুরশেদ আলমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। সোমবার রাতে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অপারেশনের পর নিবির পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এদিকে, অভিযান চালিয়ে (আজ) মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে আসামী রহিম উদ্দিন রাজু (৩৩) কে নগরীর মজুমদারী এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।

