দিনের পর দিন অলস পড়ে ৬০ লাখের নৌ অ্যাম্বুলেন্স এখন অকেজো

উপজেলা প্রতিনিধি শাল্লা (সুনামগঞ্জ)
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৫৯
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ১৭

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ২০১৯ সালের এসিসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স ৬০ লাখ টাকারও বেশি ব্যয়ে সরকার দিলেও স্থানীয়রা এর সুফল ভোগ করতে পারেনি। হাওর কবলিত এ উপজেলায় জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার জন্য এ অ্যাম্বুলেন্স একদিনের জন্যও ব্যবহার করা হয়নি। আর ব্যবহার করতে পারবে তো দূরের কথা চোখেও দেখেনি।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, নৌ অ্যাম্বুলেন্স দেয়ার পর থেকে চালক ও তেল খরচ দেয়া হয়নি। যার জন্য সরকারের দেয়া হাওরাঞ্চলে মানুষের জন্য এই বাহনটির সুফল পায়নি কেউ। আর হাওরাঞ্চলের গরীব পরিবারের লোকজন এত ব্যয়বহুল যানবাহন চলাচলের সামার্থ্যও নেই। তবে সরকারি খরচে চলাচলের সুযোগ হলে এর সুফল পেত জনগণ।

শাল্লা উপজেলা বাসিন্দা আনিসুল হক মুন জানান, বর্ষায় আমাদের এলাকায় নৌকা ছাড়া চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। হাসপাতালে বা যেখানেই যেতে হয় নৌকায় করে যেতে হয়। একটা সরকারি নৌ অ্যাম্বুলেন্স আছে এটা দিয়ে কখনোও রোগী নিয়ে চলাচল করতে দেখিনি। আমাদের এলাকার কারো উপকারে আসেনি। যদি চালু থাকতো তাহলে আমাদের উপকার হতো।

শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচএফপিও ডা. দেবব্রত আইচ মজুমদার জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি একবারেই অকেজো হয়ে গেছে। আর শুরু থেকে এটি কোনো কাজেই আসেনি। মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি বোড থেকে খোলে আনার সুযোগ ছিলো না তাই সেভাবেই আছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত আছে।

সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, নৌ অ্যাম্বুলেন্স ভালোর জন্য দেয়া হলেও তা কোনো কাজে আসেনি মানুষের। শুরু থেকে চালক দেয়া হয়নি ছিলো না তেলের বরাদ্দও। এছাড়াও এই নৌ এ্যাম্বুলেন্স পরিবহন ব্যয় বহুল যা হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের খচর বহন করা সামর্থ্যের বাইরে। এখানে ইঞ্জিনচালিত নৌকা হলে প্রত্যান্ত এলাকার গরীব মানুষের উপকার হত।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত