সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (''এসএলএনজি'') গর্বের সঙ্গে জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে তার ২৫০তম শিপ-টু-শিপ (এসটিএস) অপারেশন সম্পন্ন করেছে। বিশ্বমানের নিরাপত্তা এবং অপারেশনাল উৎকর্ষের প্রতি অবিচল প্রতিশ্রুতির ফলেই এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন সম্ভব হয়েছে।
২০২৪–২০২৫ অর্থবছরেই টার্মিনালটি দেশের মোট গ্যাস চাহিদার প্রায় ১৩% সরবরাহ করেছে যা বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০১৯ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এসএলএনজি ৩৫,০৫৪,৬৩৭ ঘনমিটার (m³) এলএনজি গ্রহণ করেছে এবং জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৭৮৫,৫৪৯,২৯৫ এমএমবিটিইউ (MMBTU) রিগ্যাসিফাইড লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (আরএলএনজি) সরবরাহ করেছে।
দক্ষতার সাথে, নিরাপদে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে শিপ-টু-শিপ (STS) ও টার্মিনাল কার্যক্রম পরিচালনায় অসামান্য সহায়তার জন্য এক্সিলারেট এনার্জি এলপি এবং পিএসএ মেরিন সিঙ্গাপুর' এর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এসএলএনজি।
এসএলএনজি'র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমাদের সম্মানিত গ্রাহক—বাংলাদেশ সরকার, পেট্রোবাংলা, এবং আরপিজিসিএলকে—সামিটের প্রতি তাদের আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞ। এছাড়াও, এসএলএনজি তার বিদেশী ঋণদাতাদের, যেমন এসএমবিসি, সিঙ্গাপুর এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে পাওয়া সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করছে। তাদের এই অংশীদারিত্ব টার্মিনালের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এসএলএনজি তাদের এই সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ইঞ্জিনিয়ারিং ও শ্রেণিবিভাগ অংশীদার বিশেষ করে ম্যাকগ্রেগর, জি-ওশান, DNV, ব্যুরো ভেরিটাস (BV), শেল্ফ সাবসি এবং জিওসিন এর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। এসএলএনজি অত্যন্ত সম্মানিত যে, বিশ্বব্যাপী শীর্ষ তেল ও গ্যাস কোম্পানি—পেট্রোনাস, শেভরন শিপিং, চেনিয়ের এনার্জি, শেল, টোটাল, NLNG, কাতারগ্যাস এবং BP—টার্মিনালটিকে নিরাপদ ও আন্তর্জাতিক মানসম্মত হিসেবে যাচাই করেছে।
টার্মিনালের বিশাল পরিসরের কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা অপরিহার্য। এজন্য এসএলএনজি তাদের সম্মানিত ক্লায়েন্ট—বাংলাদেশ সরকার, পেট্রোবাংলা এবং আরপিজিসিএল—এর প্রতি টার্মিনালের পুরো অপারেশনাল যাত্রায় অবিচল সমর্থন এবং দিকনির্দেশনার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানায়।
পাশাপাশি নৌপরিবহন বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ বিভাগ, বিআইডিএ, বিইআরসি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, কাস্টমস, এনবিআর, আরজেএসসি, বিস্ফোরক বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জিটিসিএল, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, মৎস্য বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, নদী পুলিশ এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অসামান্য সহযোগিতার জন্য এসএলএনজি গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।
এসএলএনজি তাদের এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান—যেমন কাতার এনার্জি, বিপি শিপিং, নাকিলাত শিপিং, মারান গ্যাস মেরিটাইম, এমওএল এলএনজি শিপম্যানেজমেন্ট, এনওয়াইকে, কে-লাইন, হোয়েগ এলএনজি, টিকি শিপিং, গোলার এলএনজি, এবং শেল ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং অ্যান্ড শিপিং কোং লি. (STASCO)—এর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। যাদের সহযোগিতা অফশোর এসটিএস অপারেশনের ধারাবাহিক সফলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
সবশেষে, এসএলএনজি গর্বের সঙ্গে তাদের কর্মীদের নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও অদম্য প্রচেষ্টাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকৃতি জানাচ্ছে। যাদের অবিচল প্রতিশ্রুতির কারণে টার্মিনাল প্রতিদিন নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোং (প্রা.) লিমিটেড (SLNG) সম্পর্কে:
বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত জ্বালানি অবকাঠামো সম্পদ হিসেবে SLNG ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে মহেশখালীতে অফশোর এলএনজি গ্রহণকারী টার্মিনালটি নির্মাণ, মালিকানা এবং পরিচালনা করে আসছে।
এই যৌথ উদ্যোগে মিতসুবিশির ২৫% ও সামিট কর্পোরেশনের ৭৫% অংশীদারিত্ব রয়েছে। টার্মিনালের মূল পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিপ-টু-শিপ (STS) এলএনজি স্থানান্তর ও সংরক্ষণ, রিগ্যাসিফিকেশন, এবং একটি ৫.৩২ কিমি সমুদ্রতলীয় (সাব-সি) পাইপলাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্যাস সঞ্চালন নেটওয়ার্কে নিরবচ্ছিন্ন রিগ্যাসিফাইড লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (RLNG) সরবরাহ করা।

