রোহান রাজিব
বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ন্যাশনাল ব্যাংক শিকদার পরিবারের হাতে জিম্মি ছিল প্রায় দেড় দশক। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সময়ে পরিচালনা পর্ষদের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও বেনামি ঋণে ডুবে দুর্বল ব্যাংকের তালিকায় নাম চলে আসে ব্যাংকটির। হাসিনার পলায়নের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় শিকদার পরিবারও। সে সঙ্গে তাদের হাত থেকে মুক্ত হয় ব্যাংকটি। নতুন নেতৃত্বে আসেন ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু। তবে তার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরেও ব্যাংকের আর্থিক সূচকে কোনো উন্নতি হয়নি; উল্টো নানা সূচকে আরো অবনতি হয়েছে। অস্বাভাবিক হারে কমেছে আমানত। বেড়েছে খেলাপি ঋণ। এর বিপরীতে প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতিও বেড়েছে।
আমানতকারীর স্বার্থে প্রতিটি ব্যাংকের মোট দায়ের ১৭ শতাংশ বিধিবদ্ধ তারল্য হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ন্যাশনাল ব্যাংকের অবস্থা এতটাই নাজুক যে, বিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণ করতে পারছে না তারা। ফলে নিয়মিত জরিমানা গুনতে হচ্ছে। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারের টাকা শোধ করতে পারছে না। অন্যদিকে নিট সুদ আয় নেতিবাচক হওয়ায় বড় লোকসানে পড়েছে ব্যাংকটি।
২০২৪ সালের ২০ আগস্ট ন্যাশনাল ব্যাংকের দায়িত্ব নেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। ন্যাশনাল ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষে ব্যাংকের আমানতের স্থিতি ছিল ৩৭ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। ৯ মাসে ব্যাংকটি নিট আমানত হারিয়েছে পাঁচ হাজার ২০ কোটি টাকা। এ সময় ব্যাংকটি সবচেয়ে বেশি ব্যক্তি আমানত হারিয়েছে।
বেড়েছে খেলাপি ঋণ
গত ৯ মাসে ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকের ঋণ স্থিতি ছিল ৪২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ২৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
চলতি বছরের জুন শেষে ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৬৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। এই ৯ মাসে ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে চার হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। ব্যাংকের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ৩৮৮ কোটি টাকা। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ থেকে নগদ আদায়ের অবস্থাও নাজুক। গত ৯ মাসে মাত্র ২৪১ কোটি টাকা নগদ আদায় করতে পেরেছে ব্যাংকটি।
খেলাপির জেরে বড় প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতি
খেলাপি ঋণ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের প্রভিশন ঘাটতিতে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে প্রভিশন ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। এ ৯ মাসে ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে পাঁচ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল পাঁচ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে তা বেড়ে হয়েছে আট হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। গত ৯ মাসে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি বেড়েছে দুই হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।
আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা রাখতে ব্যর্থ
বিদ্যমান নিয়মে একটি ব্যাংকের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের (বেশিরভাগই আমানত) চার শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ নগদ জমা (সিআরআর) রাখতে হয়। আর সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ বা এসএলআর হিসেবে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ রাখতে হয় ১৩ শতাংশ। ব্যাংকগুলো এসএলআরের উদ্বৃত্ত সিকিউরিটিজ বন্ধক রেখে ধার নেয়। তবে ন্যাশনাল ব্যাংকের উদ্বৃত্ত সিকিউরিটিজ বেশ আগেই শেষ হয়ে গেছে। পরে এসএলআর সংরক্ষণের সিকিউরিটিজ বন্ধক রেখেও ধার করা হয়েছে।
ব্যাংকটি গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে এসএলআর ঘাটতিতে রয়েছে। ওই সময় ঘাটতির পরিমাণ ছিল মাত্র ৪৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত এসএলআর ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে সিআরআর ঘাটতি বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২৫২ কোটি টাকা।
সুদ আয় ঋণাত্মক, বড় লোকসান
ন্যাশনাল ব্যাংকের যে পরিমাণ সুদ আয় হচ্ছে, পরিশোধ হচ্ছে এর চেয়ে বেশি। মূলত পুরো আমানতের বিপরীতে নিয়মিত সুদ হিসাব হলেও ঋণের বিপরীতে তেমন কোনো আয় নেই। ঋণের বিপরীতে সুদ আয় দিন দিন কমে আসছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৯ মাসে নিট সুদ আয় ঋণাত্মক দাঁড়ায় চার হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। সুদ আয় ঋণাত্মক হওয়ায় বড় লোকসান দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকের ৯৯১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে, যা গত বছরের এ সময়ে ছিল ৬৫২ কোটি টাকা। আর গত বছরে পুরো সময় ব্যাংকের লোকসান হয়েছিল এক হাজার ৭২২ কোটি টাকা। গত বছরের অর্ধেকটা সময় ব্যাংকটি পরিচালিত হয়েছে পুরোনো পর্ষদের হাতে, আর প্রায় অর্ধেকটা সময় পরিচালিত হয় বর্তমান পর্ষদের মাধ্যমে।
ধারের টাকা শোধেও ব্যর্থ
নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পর ন্যাশনাল ব্যাংকে জামানত ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়। আবার অন্য ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি দিয়ে আরো ৯৮৫ কোটি টাকা ধার নিয়ে দেওয়া হয়। এসব টাকা ধার দেওয়ার মেয়াদ কয়েকবার শেষ হলেও পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। তারপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েক ধাপে সময় বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া চলতি হিসাবে ঘাটতি রেখে লেনদেন করার সুযোগ দেওয়া হয়, যার পরিমাণ দুই হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৯ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা ধার নেয় ব্যাংকটি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুকে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পরে হোয়াটঅ্যাপে বিস্তারিত মেসেজ পাঠালেও কোনো উত্তর মেলেনি।
বেসরকারি খাতের প্রথম প্রজন্মের ন্যাশনাল ব্যাংক শিকদার পরিবারের হাতে জিম্মি ছিল প্রায় দেড় দশক। ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সময়ে পরিচালনা পর্ষদের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও বেনামি ঋণে ডুবে দুর্বল ব্যাংকের তালিকায় নাম চলে আসে ব্যাংকটির। হাসিনার পলায়নের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় শিকদার পরিবারও। সে সঙ্গে তাদের হাত থেকে মুক্ত হয় ব্যাংকটি। নতুন নেতৃত্বে আসেন ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু। তবে তার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরেও ব্যাংকের আর্থিক সূচকে কোনো উন্নতি হয়নি; উল্টো নানা সূচকে আরো অবনতি হয়েছে। অস্বাভাবিক হারে কমেছে আমানত। বেড়েছে খেলাপি ঋণ। এর বিপরীতে প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতিও বেড়েছে।
আমানতকারীর স্বার্থে প্রতিটি ব্যাংকের মোট দায়ের ১৭ শতাংশ বিধিবদ্ধ তারল্য হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ন্যাশনাল ব্যাংকের অবস্থা এতটাই নাজুক যে, বিধিবদ্ধ তারল্য সংরক্ষণ করতে পারছে না তারা। ফলে নিয়মিত জরিমানা গুনতে হচ্ছে। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারের টাকা শোধ করতে পারছে না। অন্যদিকে নিট সুদ আয় নেতিবাচক হওয়ায় বড় লোকসানে পড়েছে ব্যাংকটি।
২০২৪ সালের ২০ আগস্ট ন্যাশনাল ব্যাংকের দায়িত্ব নেন আবদুল আউয়াল মিন্টু। ন্যাশনাল ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষে ব্যাংকের আমানতের স্থিতি ছিল ৩৭ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। ৯ মাসে ব্যাংকটি নিট আমানত হারিয়েছে পাঁচ হাজার ২০ কোটি টাকা। এ সময় ব্যাংকটি সবচেয়ে বেশি ব্যক্তি আমানত হারিয়েছে।
বেড়েছে খেলাপি ঋণ
গত ৯ মাসে ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকের ঋণ স্থিতি ছিল ৪২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ছিল ২৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
চলতি বছরের জুন শেষে ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৬৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। এই ৯ মাসে ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে চার হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। ব্যাংকের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ৩৮৮ কোটি টাকা। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ থেকে নগদ আদায়ের অবস্থাও নাজুক। গত ৯ মাসে মাত্র ২৪১ কোটি টাকা নগদ আদায় করতে পেরেছে ব্যাংকটি।
খেলাপির জেরে বড় প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতি
খেলাপি ঋণ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের প্রভিশন ঘাটতিতে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে প্রভিশন ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। এ ৯ মাসে ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে পাঁচ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল পাঁচ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে তা বেড়ে হয়েছে আট হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। গত ৯ মাসে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি বেড়েছে দুই হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।
আমানতের বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা রাখতে ব্যর্থ
বিদ্যমান নিয়মে একটি ব্যাংকের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের (বেশিরভাগই আমানত) চার শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ নগদ জমা (সিআরআর) রাখতে হয়। আর সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ বা এসএলআর হিসেবে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ রাখতে হয় ১৩ শতাংশ। ব্যাংকগুলো এসএলআরের উদ্বৃত্ত সিকিউরিটিজ বন্ধক রেখে ধার নেয়। তবে ন্যাশনাল ব্যাংকের উদ্বৃত্ত সিকিউরিটিজ বেশ আগেই শেষ হয়ে গেছে। পরে এসএলআর সংরক্ষণের সিকিউরিটিজ বন্ধক রেখেও ধার করা হয়েছে।
ব্যাংকটি গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে এসএলআর ঘাটতিতে রয়েছে। ওই সময় ঘাটতির পরিমাণ ছিল মাত্র ৪৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের ২৫ জুন পর্যন্ত এসএলআর ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে সিআরআর ঘাটতি বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২৫২ কোটি টাকা।
সুদ আয় ঋণাত্মক, বড় লোকসান
ন্যাশনাল ব্যাংকের যে পরিমাণ সুদ আয় হচ্ছে, পরিশোধ হচ্ছে এর চেয়ে বেশি। মূলত পুরো আমানতের বিপরীতে নিয়মিত সুদ হিসাব হলেও ঋণের বিপরীতে তেমন কোনো আয় নেই। ঋণের বিপরীতে সুদ আয় দিন দিন কমে আসছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৯ মাসে নিট সুদ আয় ঋণাত্মক দাঁড়ায় চার হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। সুদ আয় ঋণাত্মক হওয়ায় বড় লোকসান দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকের ৯৯১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে, যা গত বছরের এ সময়ে ছিল ৬৫২ কোটি টাকা। আর গত বছরে পুরো সময় ব্যাংকের লোকসান হয়েছিল এক হাজার ৭২২ কোটি টাকা। গত বছরের অর্ধেকটা সময় ব্যাংকটি পরিচালিত হয়েছে পুরোনো পর্ষদের হাতে, আর প্রায় অর্ধেকটা সময় পরিচালিত হয় বর্তমান পর্ষদের মাধ্যমে।
ধারের টাকা শোধেও ব্যর্থ
নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পর ন্যাশনাল ব্যাংকে জামানত ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়। আবার অন্য ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি দিয়ে আরো ৯৮৫ কোটি টাকা ধার নিয়ে দেওয়া হয়। এসব টাকা ধার দেওয়ার মেয়াদ কয়েকবার শেষ হলেও পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। তারপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েক ধাপে সময় বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া চলতি হিসাবে ঘাটতি রেখে লেনদেন করার সুযোগ দেওয়া হয়, যার পরিমাণ দুই হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৯ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা ধার নেয় ব্যাংকটি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুকে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পরে হোয়াটঅ্যাপে বিস্তারিত মেসেজ পাঠালেও কোনো উত্তর মেলেনি।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ ইসলামকেও অনুরূপ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
১ দিন আগেব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অডিট টিমের তদন্ত শেষে অনিয়মের পূর্ণাঙ্গ চিত্র ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনী শাস্তিমুলক ব্যবস্হার মুখোমুখি করা যায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) সরকারি ক্রয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
২ দিন আগে