এনবিআর আন্দোলনে ক্ষতির পরিমাণ জানতে চেয়ে এফবিসিসিআইকে চিঠি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২১: ২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্দোলনের ফলে ক্ষতির পরিমাণ জানতে চেয়ে বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আগামী ২১ আগস্টের মধ্যে ক্ষতির ধরণ ও পরিমাণ উল্লেখ করে একটি নির্দিষ্ট ছকে তথ্য পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আন্দোলনের ফলে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে গঠিত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ক্ষতির পরিমাণ জানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে সিদ্ধান্তের আলোকে এফবিসিসিআই দেশের সকল চেম্বার, খাত ভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও সকল স্থল বন্দর ও শুল্ক স্টেশনের সভাপতি/চেয়ারম্যান/ সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়ে ক্ষতির বিষয়ে তথ্য জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত মে ও জুন মাসে ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ এবং আয়কর বিভাগের কর্মচারীবৃন্দ কর্মবিরতি ও শাটডাউনের ফলে শিল্প, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্দর, আমদানি-রপ্তানি, উৎপাদন, সেবা খাত, লজিস্টিক ও সাপ্লাই চেইন কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। বিশেষ করে আমদানিকারকগণ শিল্পের কাঁচামাল ও উপকরণ এবং তৈরি পণ্য বন্দর থেকে খালাস করতে পারেনি এবং রপ্তানিকারকগণ সময়মতো রপ্তানি করতে পারেনি। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ প্রেক্ষাপটে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি ও রাজস্ব ক্ষতি নিরুপণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এরই প্রেক্ষিতে বাণিজ্য সংগঠনের নাম, ব্যবসার ধরণ, ক্ষয়ক্ষতির ধরণ ও আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছক আকারে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য, এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি পৃথক বিভাগ গঠনে সরকার গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে। কিন্তু অধ্যাদেশের বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে এটা বাতিল কিংবা সংশোধনের দাবিতে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে’ আন্দোলন শুরু করেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এক পর্যায়ে তারা এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে লাগাতর শাটডাউন কর্মসূচি পালন করে। আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। অবশেষে সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারি ও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে-এমন ঘোষণার পর গত ২৯ জুন রাতে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় তারা। আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকায় সদস্যসহ বিভিন্নস্তরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর কিংবা সাময়িক বরখাস্ত করে সরকার।

আন্দোলনের কারণে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে গত ১৬ জুলাই ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করে একটি আদেশ জারি করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত