অর্থনৈতিক রিপোর্টার
টানা দুই মাস ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে। গত জুন মাসে মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ২ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। আগের মাসে বেড়েছিল ১৬ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে দুই মাস মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ১৯ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেশ কিছু কারণে টানা দুই মাস মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। তার মধ্যে অন্যতম দুটি মাসই ছিল ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক। কারণ এ সময় গরু-ছাগল কেনাসহ কেনাকাটার জন্য নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া ওই মাসে ছয়টি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে এসব ব্যাংক থেকে মানুষ টাকা তুলে নেয়। ফলে মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকা কমে ২ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ কোটি টাকায় নেমে আসে। ফেব্রুয়ারিতে তা আরও কমে হয় ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। এরপর মার্চে অবশ্য মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। এপ্রিলে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকা কমে। সেবার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকায় নামে। মে মাসে আবার মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। আর সবশেষ জুনে তা আরো বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫১ কোটি টাকায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত টানা ১১ মাস ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছিল। তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। পরের মাস নভেম্বরে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা ও ডিসেম্বরে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা ছিল। গত বছরের জানুয়ারিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৪ কোটি, মার্চে ২ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি, এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, মে মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, জুনে ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি, জুলাইয়ে ২ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ কোটি এবং আগস্টে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে সেটি কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে কমে হয় ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫৩ কোটি ৪ লাখ। অক্টোবরে তা আরো কমে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকায় এবং নভেম্বরে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকায় নামে। ডিসেম্বরে আরো কমে তা হয় ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ব্যাংক খাতে নানা অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সামনে আসে। এতে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল। ফলে সেসব ব্যাংক থেকে টাকা তোলার চাপ ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সেই প্রবণতা কমতে থাকে এবং হাতে রাখা টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করে। তবে দুই ঈদের আগের মাসগুলোতে বাড়তি খরচে জন্য নগদ টাকা তোলার প্রবণতা বেড়ে যায়।
এদিকে গত জুন মাসে শেষে দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময় ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
টানা দুই মাস ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে। গত জুন মাসে মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ২ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। আগের মাসে বেড়েছিল ১৬ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে দুই মাস মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ১৯ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেশ কিছু কারণে টানা দুই মাস মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। তার মধ্যে অন্যতম দুটি মাসই ছিল ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক। কারণ এ সময় গরু-ছাগল কেনাসহ কেনাকাটার জন্য নগদ টাকার চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া ওই মাসে ছয়টি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে এসব ব্যাংক থেকে মানুষ টাকা তুলে নেয়। ফলে মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকা কমে ২ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ কোটি টাকায় নেমে আসে। ফেব্রুয়ারিতে তা আরও কমে হয় ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। এরপর মার্চে অবশ্য মানুষের হাতে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। এপ্রিলে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকা কমে। সেবার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকায় নামে। মে মাসে আবার মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। আর সবশেষ জুনে তা আরো বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫১ কোটি টাকায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত টানা ১১ মাস ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছিল। তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। পরের মাস নভেম্বরে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা ও ডিসেম্বরে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা ছিল। গত বছরের জানুয়ারিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৪ কোটি, মার্চে ২ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি, এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, মে মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি, জুনে ২ লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি, জুলাইয়ে ২ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ কোটি এবং আগস্টে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে সেটি কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে কমে হয় ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫৩ কোটি ৪ লাখ। অক্টোবরে তা আরো কমে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকায় এবং নভেম্বরে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকায় নামে। ডিসেম্বরে আরো কমে তা হয় ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা।
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ব্যাংক খাতে নানা অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সামনে আসে। এতে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল। ফলে সেসব ব্যাংক থেকে টাকা তোলার চাপ ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছিল। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সেই প্রবণতা কমতে থাকে এবং হাতে রাখা টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করে। তবে দুই ঈদের আগের মাসগুলোতে বাড়তি খরচে জন্য নগদ টাকা তোলার প্রবণতা বেড়ে যায়।
এদিকে গত জুন মাসে শেষে দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময় ছিল ১৭ লাখ ৪২ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
৪ ঘণ্টা আগেফের বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫৫ কোটি টাকা, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৩ জুন ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
৪ ঘণ্টা আগেদাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৬ ঘণ্টা আগে