রোহান রাজিব
ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ টাকা আবারও বেড়েছে। গত মে মাস শেষে ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। এপ্রিলে যার পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৪১২ কোটি টাকা।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেশকিছু কারণে মে মাসে মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ওই মাসটি ছিল ঈদুল আজহার মাস। এ সময় মানুষের টাকার চাহিদা বাড়ে। এ ছাড়া ওই মাসে ছয়টি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে এসব ব্যাংক থেকে মানুষ টাকা তুলে নেয়। ফলে মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।
যদিও এপ্রিলে মানুষের হাতের টাকা আবার ব্যাংকে ফিরেছিল। ওই মাসে ব্যাংকে ফিরেছে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। তবে তার মার্চে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ অর্থ বেড়েছিল প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। মূলত ঈদুল ফিতরের খরচের জন্য ওই মাসে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার প্রবণতা বেড়ে যায়। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যেতে পারে—এমন গুজব ছিল বাজারে।
তার আগে টানা ছয় মাস ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ কমেছিল। তবে ওই কমার পরিমাণ ছিল খুবই কম। ওই ছয় মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ কমেছিল ২০ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত টানা ১১ মাস ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছিল।
তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। নভেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় দুই লাখ ৪৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা ও ডিসেম্বরে ছিল দুই লাখ ৫৪ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। গত বছর যথাক্রমেÑজানুয়ারিতে দুই লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারিতে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা, মার্চে দুই লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা, এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় দুই লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা, মে মাসে দুই লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা, জুনে দুই লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা, জুলাইয়ে দুই লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা এবং আগস্টে বেড়ে দাঁড়ায় দুই লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি চার লাখ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে তা আবার কমতে শুরু করে।
পতিত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ব্যাংক খাতে নানা অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সামনে আসে। এতে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল। ফলে সেসব ব্যাংক থেকে টাকা তোলার চাপ ব্যাপকহারে বেড়ে গিয়েছিল। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সেই প্রবণতা কমতে থাকে এবং হাতে থাকা টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করে। তবে দুই ঈদের আগের মাসগুলোতে বাড়তি খরচে জন্য নগদ টাকা তোলার প্রবণতা বেড়ে যায়।
এদিকে গত মে মাস শেষে দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। এক মাস আগে এপ্রিলে যার পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতের আমানত বাড়লেও কিছু ব্যাংকে এখনো আমানত উত্তোলনের চাপ রয়েছে। ব্যাংকগুলোর ঋণ ফেরত আসছে কম। আবার নতুন করে সেভাবে আমানত পাচ্ছে না। এতে করে সরকারি-বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকের আমানত কমে গেছে।
ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ টাকা আবারও বেড়েছে। গত মে মাস শেষে ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। এপ্রিলে যার পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৪১২ কোটি টাকা।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেশকিছু কারণে মে মাসে মানুষের হাতে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ওই মাসটি ছিল ঈদুল আজহার মাস। এ সময় মানুষের টাকার চাহিদা বাড়ে। এ ছাড়া ওই মাসে ছয়টি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে এসব ব্যাংক থেকে মানুষ টাকা তুলে নেয়। ফলে মানুষের হাতে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।
যদিও এপ্রিলে মানুষের হাতের টাকা আবার ব্যাংকে ফিরেছিল। ওই মাসে ব্যাংকে ফিরেছে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। তবে তার মার্চে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ অর্থ বেড়েছিল প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। মূলত ঈদুল ফিতরের খরচের জন্য ওই মাসে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার প্রবণতা বেড়ে যায়। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যেতে পারে—এমন গুজব ছিল বাজারে।
তার আগে টানা ছয় মাস ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ কমেছিল। তবে ওই কমার পরিমাণ ছিল খুবই কম। ওই ছয় মাসে ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ কমেছিল ২০ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত টানা ১১ মাস ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছিল।
তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা। নভেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় দুই লাখ ৪৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা ও ডিসেম্বরে ছিল দুই লাখ ৫৪ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। গত বছর যথাক্রমেÑজানুয়ারিতে দুই লাখ ৫৭ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারিতে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা, মার্চে দুই লাখ ৬১ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা, এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় দুই লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা, মে মাসে দুই লাখ ৭০ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা, জুনে দুই লাখ ৯০ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা, জুলাইয়ে দুই লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা এবং আগস্টে বেড়ে দাঁড়ায় দুই লাখ ৯২ হাজার ৪৩৪ কোটি চার লাখ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে তা আবার কমতে শুরু করে।
পতিত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ব্যাংক খাতে নানা অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সামনে আসে। এতে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছিল। ফলে সেসব ব্যাংক থেকে টাকা তোলার চাপ ব্যাপকহারে বেড়ে গিয়েছিল। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সেই প্রবণতা কমতে থাকে এবং হাতে থাকা টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করে। তবে দুই ঈদের আগের মাসগুলোতে বাড়তি খরচে জন্য নগদ টাকা তোলার প্রবণতা বেড়ে যায়।
এদিকে গত মে মাস শেষে দেশের ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। এক মাস আগে এপ্রিলে যার পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতের আমানত বাড়লেও কিছু ব্যাংকে এখনো আমানত উত্তোলনের চাপ রয়েছে। ব্যাংকগুলোর ঋণ ফেরত আসছে কম। আবার নতুন করে সেভাবে আমানত পাচ্ছে না। এতে করে সরকারি-বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকের আমানত কমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
৪৪ মিনিট আগেফের বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫৫ কোটি টাকা, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৩ জুন ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেদাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৩ ঘণ্টা আগে