নিরীক্ষায় অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক
রোহান রাজিব
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সংকটে পড়া আরো ১১ ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাইয়ে (অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ– একিউআর) উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে বিদেশি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ধারা একিউআর করা হবে। এই নিরীক্ষায় অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। শিগগিরই নিরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র।
ব্যাংকগুলো হলো- এবি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স, আল আরাফাহ্, আইএফআইসি, ইসলামী ব্যাংক, মেঘনা, ন্যাশনাল, এনআরবি, এনআরবিসি, প্রিমিয়ার ও ইউসিবি ব্যাংক।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে গত সরকারের আমলে ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ছিল বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলমের হাতে। এস আলম ইসলামী ব্যাংক থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা নামে-বেনামে ঋণ নিয়েছেন বলে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক তদন্তে উঠে এসেছে।
আর আইএফআইসি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ছিল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রণে। তিনি এই ব্যাংক থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেন। এ ছাড়া ইউসিবি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ছিল সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হাতে। এই ব্যাংক থেকে দুই হাজার কোটি টাকা সরিয়েছেন সাইফুজ্জামান ও তার ঘনিষ্ঠরা।
এ ছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক ছিল সিকদার গ্রুপের মালিকানায়। তারাও এই ব্যাংক থেকে টাকা বের করে নেন। আর প্রিমিয়ার ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবালের হাতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ আমলে এসব ব্যাংক থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। ফলে বর্তমানে ব্যাংকগুলো চরম সংকটে রয়েছে। তাই গভর্নর উদ্যোগ নিয়েছেন এসব ব্যাংক থেকে কী পরিমাণ ঋণ বেরিয়েছে, এর সুবিধাভোগী কারা, ঋণের গন্তব্য কোথায় এবং ব্যাংকের সম্পদের মানের অবস্থা কোন পর্যায় রয়েছে তা যাচাই হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আমার দেশকে বলেন, আরো কিছু ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই করা হবে। সম্পদ মান যাচাই করা মানে একীভূত নয়। আসলে ব্যাংকগুলোর সম্পদের মান কী অবস্থায় আছে তা দেখার জন্য একিউআর করা।
এর আগে সমস্যাগ্রস্ত ছয়টি ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তার জন্য গত জানুয়ারিতে দুটি আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে এসব ব্যাংকের প্রকৃত খেলাপি ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি, মূলধন ঘাটতি, আমানত, ঋণসহ বিভিন্ন তথ্য বের করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলো একীভূত করতে কী পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন হবে, এর মাধ্যমে তা নিরূপণ করা হবে।
আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং সম্পদ মূল্যায়ন করেছে এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের। আর কেপিএমজি কাজ করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ওপর। এর মধ্যে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের মালিকানা বিদেশিদের হাতে থাকায় আপাতত ব্যাংকটিকে একীভূত করার প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাকি পাঁচটি ব্যাংক মিলে একটি ব্যাংক করার জন্য ঈদের আগে একটি বৈঠক হয়েছে।
গত মে মাসে দুর্বল ব্যাংক নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি হয়। এই অধ্যাদেশের আলোকে আগামী জুলাই থেকে শুরু করে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে একীভূতকরণের প্রথম ধাপের প্রক্রিয়া শেষ হবে। এ সময় ব্যাংকগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঁচটি টিম। যদিও এক্সিম ব্যাংকের অবস্থা ততটা খারাপ নয় এ কারণে ব্যাংকটি একীভূত হতে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
আন্তর্জাতিক দুই অডিট ফার্ম এসব ব্যাংকের গত সেপ্টেম্বর ভিত্তিক সূচকের ভিত্তিতে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অন্যসব ব্যাংকের মতো এসব ব্যাংকের ডিসেম্বর ভিত্তিক ‘কুইক সামারি’ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুই প্রতিবেদনের তথ্য প্রায় কাছাকাছি। তবে ব্যাংকগুলোর জমা দেওয়া প্রতিবেদনের সঙ্গে বিস্তর ফারাক রয়েছে। প্রতিটি ব্যাংকেরই মোট আমানতের তুলনায় ঋণ বেশি। মূলত অনেকেই আমানত তুলে নিলেও আশানুরূপ ঋণ ফেরত আসছে না। যে কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সংকটে পড়া আরো ১১ ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাইয়ে (অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ– একিউআর) উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে বিদেশি নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ধারা একিউআর করা হবে। এই নিরীক্ষায় অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। শিগগিরই নিরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র।
ব্যাংকগুলো হলো- এবি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স, আল আরাফাহ্, আইএফআইসি, ইসলামী ব্যাংক, মেঘনা, ন্যাশনাল, এনআরবি, এনআরবিসি, প্রিমিয়ার ও ইউসিবি ব্যাংক।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে গত সরকারের আমলে ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ছিল বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলমের হাতে। এস আলম ইসলামী ব্যাংক থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা নামে-বেনামে ঋণ নিয়েছেন বলে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক তদন্তে উঠে এসেছে।
আর আইএফআইসি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ছিল ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রণে। তিনি এই ব্যাংক থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেন। এ ছাড়া ইউসিবি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ছিল সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হাতে। এই ব্যাংক থেকে দুই হাজার কোটি টাকা সরিয়েছেন সাইফুজ্জামান ও তার ঘনিষ্ঠরা।
এ ছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক ছিল সিকদার গ্রুপের মালিকানায়। তারাও এই ব্যাংক থেকে টাকা বের করে নেন। আর প্রিমিয়ার ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবালের হাতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ আমলে এসব ব্যাংক থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। ফলে বর্তমানে ব্যাংকগুলো চরম সংকটে রয়েছে। তাই গভর্নর উদ্যোগ নিয়েছেন এসব ব্যাংক থেকে কী পরিমাণ ঋণ বেরিয়েছে, এর সুবিধাভোগী কারা, ঋণের গন্তব্য কোথায় এবং ব্যাংকের সম্পদের মানের অবস্থা কোন পর্যায় রয়েছে তা যাচাই হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আমার দেশকে বলেন, আরো কিছু ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই করা হবে। সম্পদ মান যাচাই করা মানে একীভূত নয়। আসলে ব্যাংকগুলোর সম্পদের মান কী অবস্থায় আছে তা দেখার জন্য একিউআর করা।
এর আগে সমস্যাগ্রস্ত ছয়টি ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তার জন্য গত জানুয়ারিতে দুটি আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে এসব ব্যাংকের প্রকৃত খেলাপি ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি, মূলধন ঘাটতি, আমানত, ঋণসহ বিভিন্ন তথ্য বের করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলো একীভূত করতে কী পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন হবে, এর মাধ্যমে তা নিরূপণ করা হবে।
আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং সম্পদ মূল্যায়ন করেছে এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের। আর কেপিএমজি কাজ করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংকের ওপর। এর মধ্যে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের মালিকানা বিদেশিদের হাতে থাকায় আপাতত ব্যাংকটিকে একীভূত করার প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাকি পাঁচটি ব্যাংক মিলে একটি ব্যাংক করার জন্য ঈদের আগে একটি বৈঠক হয়েছে।
গত মে মাসে দুর্বল ব্যাংক নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি হয়। এই অধ্যাদেশের আলোকে আগামী জুলাই থেকে শুরু করে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে একীভূতকরণের প্রথম ধাপের প্রক্রিয়া শেষ হবে। এ সময় ব্যাংকগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঁচটি টিম। যদিও এক্সিম ব্যাংকের অবস্থা ততটা খারাপ নয় এ কারণে ব্যাংকটি একীভূত হতে আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।
আন্তর্জাতিক দুই অডিট ফার্ম এসব ব্যাংকের গত সেপ্টেম্বর ভিত্তিক সূচকের ভিত্তিতে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে অন্যসব ব্যাংকের মতো এসব ব্যাংকের ডিসেম্বর ভিত্তিক ‘কুইক সামারি’ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। দুই প্রতিবেদনের তথ্য প্রায় কাছাকাছি। তবে ব্যাংকগুলোর জমা দেওয়া প্রতিবেদনের সঙ্গে বিস্তর ফারাক রয়েছে। প্রতিটি ব্যাংকেরই মোট আমানতের তুলনায় ঋণ বেশি। মূলত অনেকেই আমানত তুলে নিলেও আশানুরূপ ঋণ ফেরত আসছে না। যে কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।
দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২ ঘণ্টা আগেএই তদন্তের ফলে হোয়াইট হাউস যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে আবারও শুরু হতে পারে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ—যা কয়েকদিন আগেই কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজ, বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য রোডশো, সেমিনার এবং স্টল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে