প্রতিবেশী দেশকে সুবিধা দিতেই অগ্রিম আয়কর কিনা, প্রশ্ন বিটিএমএ নেতাদের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৫: ৪৪
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৫৫

প্রতিবেশী দেশকে সুবিধা করে দিতেই ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর বসানো হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের নেতারা। তারা বলছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিবর্তন করতে হবে।

শনিবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা। এ সময় বক্তব্য রাখেন বিটিএমএর পরিচালক অমল পোদ্দার, হোসেন মেহমুদ, মো. খোরশেদ আলম, ইঞ্জিনিয়ার রাজিব হায়দার, মো. বাদশাহ মিয়া, সালেহউজ্জামান খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, সরকার টেক্সটাইল খাতে অগ্রিম আয়কর ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এটি কোনো আলোচনা ছাড়াই করা হয়েছে। তারা পার্শ্ববর্তী দেশকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত কিনা সেটিও মূল্যায়ন করতে হবে।

তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সব জায়গা ব্যবসা করা উচিত না। এটা সরকারের মডেলও হওয়া উচিত না। আপনি কি শিক্ষা, স্বাস্থ্যে লাভ করতে পারবেন? বিশ্বে কেউ তা করে না।

টেক্সটাইল ও আরএমজিকে সরকার আরও বিপদগ্রস্থ করছে জানিয়ে টেক্সটাইল খাতের এ নেতা আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান করছে টেক্সটাইল ও আরএমজি খাত। সরকার এ খাতকে আরও বেশি বিপদগ্রস্থ করছে। সরকার আমাদের নিয়ে বসুক, আমরা তাদের শত্রু না।

এ সময় আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা মরে যাচ্ছি, অধিকাংশ কারখানা বিক্রি করে দিতে চান। নতুন করে এআইটি মড়ার ওপর খাড়ার ঘা।

মো. খোরশেদ আলম বলেন, একটি দেশ আমাদের ব্যালেন্স শীট নিয়ে গেছে, কি উদ্দেশ্যে নিয়েছে জানি না। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত আআত্মঘাতী। আমরা আপনাদেরকে আমাদের কারখানার চাবি দিয়ে দিব, আপনারা আমাদের মনের কথা বুঝতে পারছেন না

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গ্যাস ও বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, ব্যাংক সুদের হার ১৫-১৬% পর্যন্ত বৃদ্ধি, রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারনে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সংকট দেখা দিয়েছে টেক্সটাইল খাতে।

রাসেল বলেন, বিটিএমএ প্রাইমারী টেক্সটাইল সেক্টরের সর্ববৃহৎ সংগঠন, এর সদস্য সংখ্যা ১৮৫৮ তন্মধ্যে স্পিনিং, উইভিং এবং ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার যা বেসরকারী খাতে একক বিনিয়োগ হিসেবে সর্বাধিক।

উল্লেখ্য যে, দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৫% এর অধিক অর্জিত হচ্ছে টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল খাত হতে যার প্রায় ৭০% এর যোগানদাতা বিটিএমএ'র নেতৃত্বাধীন টেক্সটাইল খাত এবং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিটেনশন প্রায় ৩০%। তাই বিটিএমএ-র সদস্য মিলগুলি বর্তমানে দেশের আমদানি পরিপূরক শিল্প হিসেবে বিবেচিত।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত