রোহান রাজিব
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের রেকর্ড হওয়ার পর নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) ঘাটতিতেও রেকর্ড হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে প্রথমবার ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
গত তিন মাসে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা। অস্বাভাবিক গতিতে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণে নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে অনেক ব্যাংক। এতে সার্বিকভাবে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ করে তার বেশির ভাগই আমানতকারীদের অর্থ। আমানতকারীদের অর্থ যেন কোনোভাবে ঝুঁকির মুখে না পড়ে সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। এর একটি হলো প্রভিশন সংরক্ষণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী, ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। নিম্নমান বা সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কুঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রভিশন ঘাটতি থাকলে কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে না। আবার ঘাটতি থাকলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ওই ব্যাংকের চার্জ বেশি লাগে। এ ছাড়া যেসব ব্যাংক প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়, তাদের মূলধন ঘাটতিতে পড়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে এই সূচকটি ব্যাংকগুলোর দুর্বল আর্থিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে, যা মূলত উচ্চ খেলাপি ঋণের ফল। গত বছর বিপুল পরিমাণ প্রভিশন ঘাটতি থাকার কারণে ২৬টি ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। এর আগের প্রান্তিকে গত ডিসেম্বর শেষে যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। ফলে তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতের প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ৬৪ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। আর গত এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় এক লাখ ৪৪ হাজার ৭০ কোটি টাকা বা প্রায় সাড়ে ছয়গুণ। ২০২৪ সালের মার্চে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ছিল মাত্র ২৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময় সবচেয়ে বেশি প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো। এ খাতের ব্যাংকগুলোতে গত মার্চ শেষে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। এ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে ৬৩ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা। তবে আলোচ্য প্রান্তিকে বিশেষায়িত ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোতে কোনো প্রভিশন ঘাটতি হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কিছু গ্রুপ ঋণের নামে অর্থ বের করে নিয়েছে। তাদের বড় অঙ্কের ঋণ দিতে নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কাগজে-কলমে কম দেখাতে নেওয়া হয়েছিল একের পর এক নীতি। সরকার পরিবর্তনের পর সেই নীতি থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র বের হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ব্যাংক খাতে গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা বা ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। ফলে জানুয়ারি-মার্চ এই তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ফলে ছয় মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় এক লাখ ৩৫ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। এদিকে গত বছরের মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। ফলে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে দুই লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা।
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের রেকর্ড হওয়ার পর নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) ঘাটতিতেও রেকর্ড হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে প্রথমবার ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
গত তিন মাসে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা। অস্বাভাবিক গতিতে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণে নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে অনেক ব্যাংক। এতে সার্বিকভাবে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যে পরিমাণ ঋণ বিতরণ করে তার বেশির ভাগই আমানতকারীদের অর্থ। আমানতকারীদের অর্থ যেন কোনোভাবে ঝুঁকির মুখে না পড়ে সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। এর একটি হলো প্রভিশন সংরক্ষণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী, ব্যাংকের অশ্রেণিকৃত বা নিয়মিত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ থেকে ৫ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। নিম্নমান বা সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণের বিপরীতে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কুঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রভিশন ঘাটতি থাকলে কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারে না। আবার ঘাটতি থাকলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ওই ব্যাংকের চার্জ বেশি লাগে। এ ছাড়া যেসব ব্যাংক প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়, তাদের মূলধন ঘাটতিতে পড়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে এই সূচকটি ব্যাংকগুলোর দুর্বল আর্থিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে, যা মূলত উচ্চ খেলাপি ঋণের ফল। গত বছর বিপুল পরিমাণ প্রভিশন ঘাটতি থাকার কারণে ২৬টি ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। এর আগের প্রান্তিকে গত ডিসেম্বর শেষে যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। ফলে তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতের প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে প্রায় ৬৪ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। আর গত এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় এক লাখ ৪৪ হাজার ৭০ কোটি টাকা বা প্রায় সাড়ে ছয়গুণ। ২০২৪ সালের মার্চে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ছিল মাত্র ২৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সময় সবচেয়ে বেশি প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো। এ খাতের ব্যাংকগুলোতে গত মার্চ শেষে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। এ সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে ৬৩ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা। তবে আলোচ্য প্রান্তিকে বিশেষায়িত ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোতে কোনো প্রভিশন ঘাটতি হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে কিছু গ্রুপ ঋণের নামে অর্থ বের করে নিয়েছে। তাদের বড় অঙ্কের ঋণ দিতে নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কাগজে-কলমে কম দেখাতে নেওয়া হয়েছিল একের পর এক নীতি। সরকার পরিবর্তনের পর সেই নীতি থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র বের হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ব্যাংক খাতে গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা বা ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। ফলে জানুয়ারি-মার্চ এই তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা। অন্যদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা বা ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ফলে ছয় মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় এক লাখ ৩৫ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। এদিকে গত বছরের মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র এক লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। ফলে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে দুই লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা।
দাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১ ঘণ্টা আগেএই তদন্তের ফলে হোয়াইট হাউস যেকোনো আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে আবারও শুরু হতে পারে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ—যা কয়েকদিন আগেই কিছুটা প্রশমিত হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআজ, বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনায় ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ক্যাম্পেইন’ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য রোডশো, সেমিনার এবং স্টল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে