ইমদাদ হোসাইন
২০২৪ সালের আগস্টে দেশের ১১ জেলায় অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যায় উদ্ধার কাজে হিমশিম খেতে হয়েছে সরকারকে। এজন্য দুর্যোগপ্রবণ, দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী কার্যকরী উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিশ্বব্যাংকের ঋণে রেসকিউ বোট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২৪৪ কোটির প্রকল্পে ৩৭ জেলার জন্য ৩৭০টি নৌকায় খরচ হবে ৯২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এটি মোট প্রকল্প ব্যয়ের প্রায় ৩৮ শতাংশ। তবে প্রকল্প এলাকায় কর্মসংস্থানের জন্য ব্যয় হবে ১২৮ কোটি টাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নেওয়া বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভারি, ইমার্জেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রজেক্ট (বি-স্ট্রং) শীর্ষক প্রকল্পটি আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) অনুমোদনের কথা রয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও উচ্চ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী পরিবারের তাৎক্ষণিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের জীবিকা পুনরুদ্ধার ও শক্তিশালীকরণ করা হবে। তা ছাড়া কম গভীরতার পানিতে ও একস্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহনযোগ্য রেসকিউ বোট সংগ্রহ এবং বোটগুলো পরিচালনার জন্য এক হাজার ৪৮০ জন ভলান্টিয়ারকে ড্রাইভিং ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে জরুরি সাড়াদান কার্যক্রম শক্তিশালী করাসহ এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন সম্ভব হবে।
যদিও কর্মকর্তারা বলছেন, এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ২০২৪ সালের আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইজিপিপি কর্মসূচির মাধ্য আট হাজার ৮২১ জনকে অনিয়মিত মজুরির আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এতে প্রকল্পের ৫২ দশমিক ৪৫ শতাংশ তথা ১২৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এসব মানুষকে বছরে ১০০ দিন কাজ দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন আমার দেশকে বলেন, এ প্রকল্পের মূল ব্যয়ের খাত ই-জিপিপি কর্মসূচি। যেহেতু স্বাভাবিক ই-জিপিপি কর্মসূচি এখন চালু নেই, তাই ২০২৪ সালের ১১টি জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি উপজেলায় আট হাজার ৮৬১ জনকে বছরে ১০০ দিন কাজ করার জন্য সুযোগ দেওয়া হবে।
কোস্টগার্ডসহ অন্য সংস্থাগুলোর এত রেসকিউ বোট থাকার পরও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কেন আবার এগুলো কিনতে চাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের বন্যায় উদ্ধার কার্যক্রমে গিয়ে প্রবল অভাব অনুভূত হয়েছে। এজন্য উপদেষ্টার নির্দেশে দুর্যোগ প্রবণ জেলায় রেসকিউ বোট কিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩৭ জেলার প্রতিটিতে ১০টি করে রেসকিউ বোট থাকবে। ২০-২৪ জনকে উদ্ধার করা যাবে প্রতিটি রেসকিউ বোটে।
গত বছরের আগস্টে বেশ কিছু এলাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিছু জেলা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বলছে, এ প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হবে সাম্প্রতিক বন্যায় অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রাম জেলার ১০টি উপজেলার দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ ৮ হাজার ৮৬১টি পরিবারের ৩১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬০ কর্মদিবস কর্মসংস্থান তৈরিতে। প্রকল্পের আওতায় দেশের বন্যাপ্রবণ ৩৭টি জেলার জন্য ৩৭০টি রেসকিউ বোট ক্রয়। প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩৭টি জেলায় ১ হাজার ৪৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলা ও রেসকিউ বোট পরিচালনা এবং জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ১ হাজার ২৯৫ জন সদস্যকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শক (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান) নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রকল্পের মূল ব্যয়ের অনিয়মিত মজুরিতেই যাবে ৫২ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যয়। এ খাতে শুধু শ্রম মজুরির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৮ কোটি টাকা। তা ছাড়া প্রকল্প ব্যয়ের ৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খরচ হবে কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে। এটি মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৩ শতাংশের কিছু বেশি।
২০২৪ সালের বন্যায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রাম বিভাগের তিনটি জেলার ১০টি উপজেলায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও উচ্চ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী পরিবারের তাৎক্ষণিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের জীবিকা পুনরুদ্ধার ও শক্তিশালীকরণের জন্য এসব এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পটি মোট ২৪৪.১৪ কোটি (জিওবি-৫.৮০ কোটি টাকা, প্রকল্প ঋণ-২৩৮.৩৪ কোটি টাকা) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই ২০২৫ থেকে জুন ২০২৯ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০২৪ সালের আগস্টে দেশের ১১ জেলায় অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যায় উদ্ধার কাজে হিমশিম খেতে হয়েছে সরকারকে। এজন্য দুর্যোগপ্রবণ, দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী কার্যকরী উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিশ্বব্যাংকের ঋণে রেসকিউ বোট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২৪৪ কোটির প্রকল্পে ৩৭ জেলার জন্য ৩৭০টি নৌকায় খরচ হবে ৯২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এটি মোট প্রকল্প ব্যয়ের প্রায় ৩৮ শতাংশ। তবে প্রকল্প এলাকায় কর্মসংস্থানের জন্য ব্যয় হবে ১২৮ কোটি টাকা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নেওয়া বাংলাদেশ সাসটেইনেবল রিকভারি, ইমার্জেন্সি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রজেক্ট (বি-স্ট্রং) শীর্ষক প্রকল্পটি আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) অনুমোদনের কথা রয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও উচ্চ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী পরিবারের তাৎক্ষণিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের জীবিকা পুনরুদ্ধার ও শক্তিশালীকরণ করা হবে। তা ছাড়া কম গভীরতার পানিতে ও একস্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহনযোগ্য রেসকিউ বোট সংগ্রহ এবং বোটগুলো পরিচালনার জন্য এক হাজার ৪৮০ জন ভলান্টিয়ারকে ড্রাইভিং ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে জরুরি সাড়াদান কার্যক্রম শক্তিশালী করাসহ এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন সম্ভব হবে।
যদিও কর্মকর্তারা বলছেন, এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ২০২৪ সালের আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইজিপিপি কর্মসূচির মাধ্য আট হাজার ৮২১ জনকে অনিয়মিত মজুরির আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এতে প্রকল্পের ৫২ দশমিক ৪৫ শতাংশ তথা ১২৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এসব মানুষকে বছরে ১০০ দিন কাজ দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন আমার দেশকে বলেন, এ প্রকল্পের মূল ব্যয়ের খাত ই-জিপিপি কর্মসূচি। যেহেতু স্বাভাবিক ই-জিপিপি কর্মসূচি এখন চালু নেই, তাই ২০২৪ সালের ১১টি জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি উপজেলায় আট হাজার ৮৬১ জনকে বছরে ১০০ দিন কাজ করার জন্য সুযোগ দেওয়া হবে।
কোস্টগার্ডসহ অন্য সংস্থাগুলোর এত রেসকিউ বোট থাকার পরও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কেন আবার এগুলো কিনতে চাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের বন্যায় উদ্ধার কার্যক্রমে গিয়ে প্রবল অভাব অনুভূত হয়েছে। এজন্য উপদেষ্টার নির্দেশে দুর্যোগ প্রবণ জেলায় রেসকিউ বোট কিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩৭ জেলার প্রতিটিতে ১০টি করে রেসকিউ বোট থাকবে। ২০-২৪ জনকে উদ্ধার করা যাবে প্রতিটি রেসকিউ বোটে।
গত বছরের আগস্টে বেশ কিছু এলাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিছু জেলা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর বলছে, এ প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হবে সাম্প্রতিক বন্যায় অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রাম জেলার ১০টি উপজেলার দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ ৮ হাজার ৮৬১টি পরিবারের ৩১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬০ কর্মদিবস কর্মসংস্থান তৈরিতে। প্রকল্পের আওতায় দেশের বন্যাপ্রবণ ৩৭টি জেলার জন্য ৩৭০টি রেসকিউ বোট ক্রয়। প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩৭টি জেলায় ১ হাজার ৪৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলা ও রেসকিউ বোট পরিচালনা এবং জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ১ হাজার ২৯৫ জন সদস্যকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শক (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান) নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রকল্পের মূল ব্যয়ের অনিয়মিত মজুরিতেই যাবে ৫২ দশমিক ৪৫ শতাংশ ব্যয়। এ খাতে শুধু শ্রম মজুরির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৮ কোটি টাকা। তা ছাড়া প্রকল্প ব্যয়ের ৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খরচ হবে কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণে। এটি মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৩ শতাংশের কিছু বেশি।
২০২৪ সালের বন্যায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রাম বিভাগের তিনটি জেলার ১০টি উপজেলায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও উচ্চ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী পরিবারের তাৎক্ষণিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের জীবিকা পুনরুদ্ধার ও শক্তিশালীকরণের জন্য এসব এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পটি মোট ২৪৪.১৪ কোটি (জিওবি-৫.৮০ কোটি টাকা, প্রকল্প ঋণ-২৩৮.৩৪ কোটি টাকা) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই ২০২৫ থেকে জুন ২০২৯ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রস্তাব করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন সম্পর্কের মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি কোম্পানির সঙ্গে ২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের এক চুক্তি বাতিল করেছে বাংলাদেশ।
৮ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটি থেকে প্রবাসী আয় প্রেরণের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ করারোপের প্রস্তাব করেছেন। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বৈধ পথে প্রবাসী আয় কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খাত–সংশ্লিষ্টরা।
৯ ঘণ্টা আগেগভর্নর বলেন, ডলারের দাম এখন থেকে বাংলাদেশে নির্ধারিত হবে। দুবাই বা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নয়। আমরা বলব আপনারা অস্থির হবেন না। বাজার অস্থিতিশীলতার দিকে যাবে না।
১ দিন আগেএনবিআর বিলুপ্ত করে পৃথক দুই বিভাগ গঠনে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’।
১ দিন আগে