নাচে-গানে রাজধানীতে বসন্ত বরণ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭: ০৫

নাচে-গানে, কবিতায় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় পালন হচ্ছে বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস। প্রতিবছরের মতো এবারো বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী পহেলা ফাল্গুনে বসন্ত উৎসব পালন করে বিভিন্ন সাংস্কৃতি সংগঠনগুলো। এরই ধারা বাহিকতায় এ বছরও ঢাবি’র চারুকলা অনুষদের বকুলতলা, কলাভবনের সামনে এবং পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে সকাল থেকেই চলে বসন্ত উৎসবের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে তরুণ-তরুণীদের ভিড়ে প্রানোচ্ছ্বল পরিবেশে শুরু হয় বসন্ত বরণ উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারো বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী পহেলা ফাল্গুনে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদ। এটি তাদের ৩১তম বসন্ত উৎসব।

এদিকে ‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উৎসবে মেতেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদের বকুলতলা। দলীয় নাচ, কবিতার পাশাপাশি রাগ বসন্ত পরিবেশন করা হয়। মাথায় ফুল, গলায় ফুরের মালা ছাড়াও নানান সাজে বসন্ত উৎসবে এসেছেন তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। তাছাড়া বিভিন্ন নৃত্য, সংগীতের দল, একক শিল্পীর পরিবেশন, শিশু-কিশোর ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিবেশনাসহ বসন্তকথন পর্ব, প্রীতিবন্ধনী বিনিময়, আবির বিনিময়ের আয়োজনও রয়েছে এই অনুষ্ঠানে।

এছাড়াও জুলাই অভ্যুত্থান আমার দ্রোহ-ভালোবাসার গানের ব্যানারে ঢাবির কলাভবনে সমগীত আয়োজিত ‘সমগীত বসন্ত উৎসব ১৪৩১’ গান ও নৃত্য পরিবেশন দিয়ে শুরু হয় বসন্ত বরণের উৎসব। পাহাড়ি ও চা বাগানের থিমের সুর থেকে নেওয়া গানে অংশ নেন সমগীতের শিল্পীরা।

এ সময় বসন্ত বরণ দেখতে আসা উপস্থিত দর্শনার্থীরা বলেন, বসন্ত উৎসব বাঙালির আবেগের জায়গা। ভোর থেকেই আমরা বসন্ত উৎসব দেখতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছুটাছুটি করছি। এখানে এসেও আমাদের বেশ ভালো লাগছে। বসন্ত উৎসব উপভোগ করার আনন্দ বলে বুঝানো সম্ভব না। তারা আরও বলেন, আজ ভালোবাসা দিবস। আবার বই মেলাও চলছে। আজকে সারা দিন শুধু ঘুরাঘুরি করবো।

অন্যদিকে, ঋতুরাজ বসন্তের আগমনীতে বর্ণিল সাজে শিশু, নারী, পুরুষ সকলেই আসছেন পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে। দেখে মনে হবে রাজধানীবাসির মনে যেন বসন্তে বইছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাচে গানে মুখরিত হয়ে আছে অনুষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে আগত দর্শনার্থীরা বলেন, বসন্ত উৎসব আমাদের ঐতিহ্য বহন করে। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। বাঙালিয়ানায় হারিয়ে গেছি। আজকের এই দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিকালে যাবো বই মেলা দেখতে। পরিবার-পরিজন নিযে বাযালিয়ানা পরিবেশে উৎসব দেকতে বেশ ভালো লাগছে বলে জানান তারা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত