মেট্রোরেলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার, কার্যক্রম স্বাভাবিক

বিনা টিকিটে ভ্রমণ!

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৫, ১০: ৩৫
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৫, ১০: ৪৯
ছবি: সংগৃহীত

কর্মবিরতিতে যাওয়া মেট্রোরেলের স্টাফরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলাচল করেছে। এ সময়ে যাত্রীদের বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ করে দিতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার সকালে ট্রেন চললেও কেউ যাত্রীদের কোনো সহায়তা করছিলেন না। এর ফলে যাত্রীদের অধিকাংশই বিনা টিকিটে মেট্রোরেল চড়ার সুযোগ পান বলে জানান স্টেশনে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীরা। পরে সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনে এসে স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের দাবি আদায়ে আশ্বস্ত করেন তিনি। এরপর তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেন।

জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ বিকালে সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনে সিভিল পোশাকে দুই নারী বিনা টিকিটে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করে সুইং গেট দিয়ে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। কর্তব্যরত সিআরএ কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা তর্কে জড়ান এবং পরে কন্ট্রোল রুমে চলে যান।

এরপর দুই এপিবিএন সদস্য একইভাবে সুইং গেট ব্যবহার করলে সিআরএ তাদের কাছেও কারণ জানতে চাইলে তারা আগের ঘটনার জের ধরে তর্কে লিপ্ত হন। কিছুক্ষণ পর পুলিশের আরও কয়েকজন সদস্য এসে মেট্রোরেলকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্য রাইফেল দিয়ে এক কর্মীর কাঁধে আঘাত করেন এবং অপর এক কর্মীকে টেনে নিয়ে মারধর ও বন্দুক তাক করে গুলি করার হুমকি দেন।

ওই ঘটনার জেরে ৪ কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে দাবি আদায়ে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

মেট্রোরেলের কর্মীদের দাবিগুলো হলো-

১। আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূলহোতা এসআই মাসুদকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের (কনস্টেবল রেজনুল, ইন্সপেক্টর রঞ্জিত) শাস্তি প্রদান ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

২। মেট্রোরেল স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে।

৩। এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

৪। স্টেশনে কর্মরত সিআরএ, টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ সব কর্মীর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫। অফিসিয়াল পরিচয়পত্র ও অনুমতি ছাড়া কেউ যেন পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

৬। আহত কর্মীদের সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত