স্টাফ রিপোর্টার
পতিত আওয়ামী লীগের নড়াইল জেলা শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য শাহীন সাজ্জাদ পলাশ ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, হুমকি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহমুদা সুলতানা রিমি এমন অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বাড্ডার থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তিনি। রিমির অভিযোগ, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম ব্যবহার করে পলাশ এক সময় প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। ভুক্তভোগী নারী নেত্রী পলাশের খোঁজ জানিয়ে থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশের অসহযোগিতার কারণে তাকে ধরা তো হয়-ইনি; উল্টো সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন তিনি ও তার সঙ্গীরা।
বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এসব বিষয় নিয়ে একটি লম্বা পোস্ট দিয়েছেন রিমি। সেই সঙ্গে অভিযানের নামে বাড্ডার সংশ্লিষ্ট বাসায় গিয়ে পুলিশের সটকে পড়া এবং রিমিসহ তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ শেয়ার করেছেন তিনি।
মাহমুদা সুলতানা রিমির পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘‘আমি আজকে আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরছি। কারণ এটি শুধু আমার ব্যক্তিগত বিষয় নয়—এটি একটি প্রতারণা, নির্যাতন এবং প্রশাসনিক গাফিলতির বাস্তবচিত্র, যা আপনাদের জানা থাকা জরুরি। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের অসংখ্য ফোন, বার্তা পেয়েছি—সবাই উদ্বিগ্ন, আমি ভালো আছি কি না। তাদের জানাতেই এই বিবরণ দিচ্ছি।
ঘটনার মূল ব্যক্তি শাহীন সাজ্জাদ পলাশ—নড়াইল জেলার বাসিন্দা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নড়াইল জেলা শাখার একজন কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। আমার আপন বড় বোন ২০১৭ সাল থেকে এই ব্যক্তির কাছে ২০ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। শুধু আমার বোন নন, নড়াইল জেলার বহু মানুষের সঙ্গে এই ব্যক্তি কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করেছে।আমার বোন তাকে বারবার টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছে, এমনকি নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়, যার ফলে আমার বোন কখনও সাহস করে মামলা পর্যন্ত করতে পারেননি বিগত সময়ে।
৫ই আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে তার লোকেশন জানার চেষ্টায় থাকি আমি,এটি নিয়ে থানায় একটা জিডিও করা আছে।
চলতি মাসের ২০ জুন তারিখে তার লোকেশন আমার এলাকার একজন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে জানায় (দক্ষিণ বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় এক বাড়িতে সে আছে)।আমি সাথে সাথে মেরুল বাড্ডার ওসিকে ঠিক সন্ধ্যা ৬ টায় জানাই যে আপনারা ফোর্স নিয়ে দক্ষিণ বাড্ডার গুদারাঘাট রয়েল ক্যাস্ট্রোল এই বাসায় আসেন,এখানে আওয়ামী লীগ এর এক দোসর আত্নগোপন এ আছে এবং নড়াইল এর অনেক মানুষের থেকে এই লোক টাকা নিয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে এতোদিন।
দুঃখজনকভাবে, ওসি সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবং গাফিলতির কারণে প্রায় রাত ১২টা নাগাদ পুলিশ আসে। ততক্ষণে পলাশ পালিয়ে যায়, আমরা শুধু তার স্ত্রীকে বাসায় পাই।ওসি যখন ফোর্স নিয়ে এসেছে তখন প্রায় রাত ১২ টা বাজে ততোক্ষণে এই আওয়ামী দোসর পলাশ ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং বাসায় যেয়ে শুধুমাত্র তার স্ত্রী কে পাই।তার স্ত্রী প্রথমে কিছু শিকার করে নাই পরবর্তীতে সব শিকার করে যে, হ্যাঁ তার হাসবেন্ড আমার আপুর টাকা নিছে এবং তার হাসব্যান্ড একজন আওয়ামী দোসর সব ই স্বীকার করে কারন সব কিছুর ডকুমেন্টস আমাদের কাছে ছিলো। দেন (তারপর) ওসি তার স্ত্রী কে বলে আসে যে,আপনার হাসবেন্ড কে বলবেন,কাল (২১জুন)বাড্ডা থানায় টাকাসহ হাজির হতে কিন্তু হাজির না হওয়ায় ওসি আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার বোনকে নড়াইল থেকে নিয়ে আসেন,একটা জিডি করাতে হবে দেন আপুকে এনে বাড্ডা থানায় ২৩জুন তারিখে একটা জিডি করানো হয়। জিডিটা করানো হয় দুপুরে।আমি আপুকে দিয়ে জিডি করিয়েই আমার একটা ইমার্জেন্সি কাজে বনানীতে আসি কিন্তু থানা থেকে আমাকে বার বার ফোন দেই যে রিমি আপা আপনি দ্রুত থানায় আসেন, আপনার জিডির এগেইনেস্ট এ তদন্ত টিম গঠিত হয়েছে এবং এই তদন্ত টিম অফিসারের সাথে এখন আপনাকে ঐ আসামীর বাড়িতে যেতে হবে।
তখন আমি বলি,আমার তো ওখানে যাওয়া টা ঠিক হবে না,আপনারা আপনাদের তদন্ত টিম পাঠিয়ে ইনভেস্টিগেট শুরু করেন কিন্তু তারা কোনো অবস্থাতেও আমাকে ছাড়া যাবে না,তখন আমি বলি আমি তো এখানে কাজে আটকে গেছি, আমার তো সময় লাগবে তখন তদন্ত অফিসার আব্দুল আলিম বলে আপনি শেষ করেই আসেন-আমরা আপনার জন্য ওয়েট করছি।আমি প্রায় তিনঘন্টা পর থানায় আসি এবং আমার সাথে ছিল তখন রিয়াদ,রিসু,তানিম আর আমার আপু।
তারপর ঐ পুলিশ ফোর্স আমাদেরকে নিয়ে আসামী এর বাসায় আসে(শুরুর ভিডিও টিতে লিফট দিয়ে পুলিশ আমাদের নিয়ে বাসায় ঢুকে যেটি সিসিটিভি ফুটেজ এ দেখা যাচ্ছে),এসে দেখি তার স্ত্রী,ছেলে,মেয়ে বাসায় কিন্তু তার জামাই এখনো পলাতক। এই অবস্থায় তদন্ত অফিসার ভিক্টিম এর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কিন্তু তার স্ত্রী সবকিছু অস্বীকার করে তখন তদন্ত অফিসার বলে,ওসি আপনাদের বিষয়ে অবগত তাই আপনি মিথ্যা ছলচাতুরী না করে যেটা হয়েছে সেইটা ই বলুন কিন্তু তার স্ত্রী সম্পূর্ণ অসহযোগিতা করছে তখন তদন্ত অফিসার বলে আপনার হাসবেন্ড এর সাথে কথা বলুন ফোনে,আমাদেরকে জানান। আপনাকে আমরা ৮ টা পর্যন্ত সময় দিলাম এবং আমরা আপনার বাসাতেই আছি।তখন ৭ টা ৩০ বাজে।
এরমধ্যে তদন্ত অফিসার এর ফোনে একটা কল আসে,তদন্ত অফিসার বিল্ডিং এর নিচে যেতে চাই তখন আমি বলি,না আপনি আমাদের রেখে কেন নিচে যাবেন?তখন তদন্ত অফিসার বলে আপা আমার ৯৯৯ থেকে ইমার্জেন্সি একটা কল আসসে আমি ঠিক ১০ মিনিটের মধ্যে ই চলে আসবো। তখন আমি বলি এটা আপনি অন্য অফিসার এর কাছে ফরোয়ার্ড করে দিন কারণ আপনি এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন এ আসসেন কিন্তু সে তর্ক করে হলে ও নিচে যেতেই হবে এমন একটা অবস্থা তখন আমি বলি আপনি তাহলে এখানে ফোর্স রেখে যান, সে বলে নিচে রেখে যাচ্ছে এবং ওই বাসার ম্যানেজার কে আমাদের সাথে রেখে যাচ্ছে। এটা বলে সে বিল্ডিং এর নিচে নামে তখন সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ বাজে।অফিসার নিচে নামার ঠিক ৫ মিনিটের মধ্যে লিফট দিয়ে সন্ত্রাসী স্ট্যাইলে ৬ জন ওই বাসায় প্রবেশ করে যেটি সিসিটিভির ফুটেজ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে।
তখন আমরা রুমে ছিলাম ৪ জন।আমি,রিসু,মারুফ,রিয়াদ।
আর বাড়ির ম্যানেজার,ভিক্টিম এর স্ত্রী,সন্তান,কাজের বুয়া।
এই সন্ত্রাসী ৬ জন এর মধ্যে ২ জন ছিল পলাশের ভাই সোহাগ আর শিমুল।তারা বাসায় ঢুকেই দরজা আটকায় দিয়ে আমাদের চার জনের ফোন ই জিম্মি করে এবং আমাকে মারধর শুরু করে আর বলে নড়াইল এ এনসিপি করবি,নির্বাচন করবি,জুলাই যোদ্ধা হয়ে গেছিস।এটি বলে পলাশের স্ত্রীকে বলা শুরু করে পিস্তল বের করেন,আজকে এই.... (বিশ্রী গালি)* কে মেরে ফেলবো। তখন আমি বলি,আমাকে মারলে জুলাই আবার নেমে আসবে,মার আমাকে। আমি আরো বলি,আমি তো তোকে চিনে ফেলেছি,তুই নড়াইল এ যুবলীগ এর কমিটি তে আছিস তোর নাম শিমুল। তখন ও বলে সেনাবাহিনী আসতেছে এটা বলে সাথে সাথে দরজা খুলে ৬ জন ই বের হয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন আমরা আটকানোর অনেক চেষ্টা করি বাইরে এসে যেটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আর তখন ই দেয়ালের সাথে আমার মাথায় প্রচন্ড জোরে আঘাত করে।
এখানে একটু বলে রাখি, ভিডিওতে যে কয়জনকে দেখছেন এখানে,এর সবই এই সন্ত্রাসবাহিনী।শুধুমাত্র আমি,রিয়াদ,রিশু আর তানিম বাদে।এখানে আমাকে যখন
মারছিলো তখন ওরা ঠেকাতে গেলে আরো বেশি মাইর খেতো যার কারনে ঠেকানোর পরিস্থিতি ছিলো না,কারণ পরিস্থিতি ছিলো ভয়াবহ।
(এদিকে তানিম চিল্লায়ে বলতে থাকে এখানে কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ আছে,রিমি আপুর গায়ে তোরা আর হাত দিস না।)
পরিশেষে,একটা কথা ই বলি,গতকাল যা ঘটেছে, তা কেবল একটি সন্ত্রাসী হামলা নয়—এটি ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের নীরব সম্মতি নিয়ে সংঘটিত একটি পরিকল্পিত বর্বরতা। প্রশাসনের চোখের সামনে, তাদের অদ্ভুত নিষ্ক্রিয়তা আর অজুহাতের আড়ালে, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমার মতো একজন নারীকে মারধর করে গেলো—দিনের আলোয়, পুলিশের উপস্থিতিতেই।
কে করবে এই ইনভেস্টিগেশন,কার কাছে দিবো বিচার?আর কতো রক্ত দিলে এই রাষ্ট্রযন্ত্রের কব্জা ঠিক হতে পারে।
একদিন পার হয়ে গেলো -আমি প্রশাসন থেকে এখন অব্দি কোনো মেসেজ পাই নাই।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’’
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, ওই আওয়ামী নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রিমির বোন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, আশা করা যায় খুব দ্রুতই গ্রেফতার করা যাবে।
পতিত আওয়ামী লীগের নড়াইল জেলা শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য শাহীন সাজ্জাদ পলাশ ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, হুমকি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহমুদা সুলতানা রিমি এমন অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বাড্ডার থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তিনি। রিমির অভিযোগ, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম ব্যবহার করে পলাশ এক সময় প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। ভুক্তভোগী নারী নেত্রী পলাশের খোঁজ জানিয়ে থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশের অসহযোগিতার কারণে তাকে ধরা তো হয়-ইনি; উল্টো সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন তিনি ও তার সঙ্গীরা।
বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এসব বিষয় নিয়ে একটি লম্বা পোস্ট দিয়েছেন রিমি। সেই সঙ্গে অভিযানের নামে বাড্ডার সংশ্লিষ্ট বাসায় গিয়ে পুলিশের সটকে পড়া এবং রিমিসহ তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ শেয়ার করেছেন তিনি।
মাহমুদা সুলতানা রিমির পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘‘আমি আজকে আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরছি। কারণ এটি শুধু আমার ব্যক্তিগত বিষয় নয়—এটি একটি প্রতারণা, নির্যাতন এবং প্রশাসনিক গাফিলতির বাস্তবচিত্র, যা আপনাদের জানা থাকা জরুরি। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের অসংখ্য ফোন, বার্তা পেয়েছি—সবাই উদ্বিগ্ন, আমি ভালো আছি কি না। তাদের জানাতেই এই বিবরণ দিচ্ছি।
ঘটনার মূল ব্যক্তি শাহীন সাজ্জাদ পলাশ—নড়াইল জেলার বাসিন্দা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নড়াইল জেলা শাখার একজন কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। আমার আপন বড় বোন ২০১৭ সাল থেকে এই ব্যক্তির কাছে ২০ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। শুধু আমার বোন নন, নড়াইল জেলার বহু মানুষের সঙ্গে এই ব্যক্তি কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করেছে।আমার বোন তাকে বারবার টাকা ফেরত চাইলে সে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছে, এমনকি নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়, যার ফলে আমার বোন কখনও সাহস করে মামলা পর্যন্ত করতে পারেননি বিগত সময়ে।
৫ই আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে তার লোকেশন জানার চেষ্টায় থাকি আমি,এটি নিয়ে থানায় একটা জিডিও করা আছে।
চলতি মাসের ২০ জুন তারিখে তার লোকেশন আমার এলাকার একজন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে জানায় (দক্ষিণ বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় এক বাড়িতে সে আছে)।আমি সাথে সাথে মেরুল বাড্ডার ওসিকে ঠিক সন্ধ্যা ৬ টায় জানাই যে আপনারা ফোর্স নিয়ে দক্ষিণ বাড্ডার গুদারাঘাট রয়েল ক্যাস্ট্রোল এই বাসায় আসেন,এখানে আওয়ামী লীগ এর এক দোসর আত্নগোপন এ আছে এবং নড়াইল এর অনেক মানুষের থেকে এই লোক টাকা নিয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে এতোদিন।
দুঃখজনকভাবে, ওসি সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবং গাফিলতির কারণে প্রায় রাত ১২টা নাগাদ পুলিশ আসে। ততক্ষণে পলাশ পালিয়ে যায়, আমরা শুধু তার স্ত্রীকে বাসায় পাই।ওসি যখন ফোর্স নিয়ে এসেছে তখন প্রায় রাত ১২ টা বাজে ততোক্ষণে এই আওয়ামী দোসর পলাশ ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং বাসায় যেয়ে শুধুমাত্র তার স্ত্রী কে পাই।তার স্ত্রী প্রথমে কিছু শিকার করে নাই পরবর্তীতে সব শিকার করে যে, হ্যাঁ তার হাসবেন্ড আমার আপুর টাকা নিছে এবং তার হাসব্যান্ড একজন আওয়ামী দোসর সব ই স্বীকার করে কারন সব কিছুর ডকুমেন্টস আমাদের কাছে ছিলো। দেন (তারপর) ওসি তার স্ত্রী কে বলে আসে যে,আপনার হাসবেন্ড কে বলবেন,কাল (২১জুন)বাড্ডা থানায় টাকাসহ হাজির হতে কিন্তু হাজির না হওয়ায় ওসি আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার বোনকে নড়াইল থেকে নিয়ে আসেন,একটা জিডি করাতে হবে দেন আপুকে এনে বাড্ডা থানায় ২৩জুন তারিখে একটা জিডি করানো হয়। জিডিটা করানো হয় দুপুরে।আমি আপুকে দিয়ে জিডি করিয়েই আমার একটা ইমার্জেন্সি কাজে বনানীতে আসি কিন্তু থানা থেকে আমাকে বার বার ফোন দেই যে রিমি আপা আপনি দ্রুত থানায় আসেন, আপনার জিডির এগেইনেস্ট এ তদন্ত টিম গঠিত হয়েছে এবং এই তদন্ত টিম অফিসারের সাথে এখন আপনাকে ঐ আসামীর বাড়িতে যেতে হবে।
তখন আমি বলি,আমার তো ওখানে যাওয়া টা ঠিক হবে না,আপনারা আপনাদের তদন্ত টিম পাঠিয়ে ইনভেস্টিগেট শুরু করেন কিন্তু তারা কোনো অবস্থাতেও আমাকে ছাড়া যাবে না,তখন আমি বলি আমি তো এখানে কাজে আটকে গেছি, আমার তো সময় লাগবে তখন তদন্ত অফিসার আব্দুল আলিম বলে আপনি শেষ করেই আসেন-আমরা আপনার জন্য ওয়েট করছি।আমি প্রায় তিনঘন্টা পর থানায় আসি এবং আমার সাথে ছিল তখন রিয়াদ,রিসু,তানিম আর আমার আপু।
তারপর ঐ পুলিশ ফোর্স আমাদেরকে নিয়ে আসামী এর বাসায় আসে(শুরুর ভিডিও টিতে লিফট দিয়ে পুলিশ আমাদের নিয়ে বাসায় ঢুকে যেটি সিসিটিভি ফুটেজ এ দেখা যাচ্ছে),এসে দেখি তার স্ত্রী,ছেলে,মেয়ে বাসায় কিন্তু তার জামাই এখনো পলাতক। এই অবস্থায় তদন্ত অফিসার ভিক্টিম এর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কিন্তু তার স্ত্রী সবকিছু অস্বীকার করে তখন তদন্ত অফিসার বলে,ওসি আপনাদের বিষয়ে অবগত তাই আপনি মিথ্যা ছলচাতুরী না করে যেটা হয়েছে সেইটা ই বলুন কিন্তু তার স্ত্রী সম্পূর্ণ অসহযোগিতা করছে তখন তদন্ত অফিসার বলে আপনার হাসবেন্ড এর সাথে কথা বলুন ফোনে,আমাদেরকে জানান। আপনাকে আমরা ৮ টা পর্যন্ত সময় দিলাম এবং আমরা আপনার বাসাতেই আছি।তখন ৭ টা ৩০ বাজে।
এরমধ্যে তদন্ত অফিসার এর ফোনে একটা কল আসে,তদন্ত অফিসার বিল্ডিং এর নিচে যেতে চাই তখন আমি বলি,না আপনি আমাদের রেখে কেন নিচে যাবেন?তখন তদন্ত অফিসার বলে আপা আমার ৯৯৯ থেকে ইমার্জেন্সি একটা কল আসসে আমি ঠিক ১০ মিনিটের মধ্যে ই চলে আসবো। তখন আমি বলি এটা আপনি অন্য অফিসার এর কাছে ফরোয়ার্ড করে দিন কারণ আপনি এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন এ আসসেন কিন্তু সে তর্ক করে হলে ও নিচে যেতেই হবে এমন একটা অবস্থা তখন আমি বলি আপনি তাহলে এখানে ফোর্স রেখে যান, সে বলে নিচে রেখে যাচ্ছে এবং ওই বাসার ম্যানেজার কে আমাদের সাথে রেখে যাচ্ছে। এটা বলে সে বিল্ডিং এর নিচে নামে তখন সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ বাজে।অফিসার নিচে নামার ঠিক ৫ মিনিটের মধ্যে লিফট দিয়ে সন্ত্রাসী স্ট্যাইলে ৬ জন ওই বাসায় প্রবেশ করে যেটি সিসিটিভির ফুটেজ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে।
তখন আমরা রুমে ছিলাম ৪ জন।আমি,রিসু,মারুফ,রিয়াদ।
আর বাড়ির ম্যানেজার,ভিক্টিম এর স্ত্রী,সন্তান,কাজের বুয়া।
এই সন্ত্রাসী ৬ জন এর মধ্যে ২ জন ছিল পলাশের ভাই সোহাগ আর শিমুল।তারা বাসায় ঢুকেই দরজা আটকায় দিয়ে আমাদের চার জনের ফোন ই জিম্মি করে এবং আমাকে মারধর শুরু করে আর বলে নড়াইল এ এনসিপি করবি,নির্বাচন করবি,জুলাই যোদ্ধা হয়ে গেছিস।এটি বলে পলাশের স্ত্রীকে বলা শুরু করে পিস্তল বের করেন,আজকে এই.... (বিশ্রী গালি)* কে মেরে ফেলবো। তখন আমি বলি,আমাকে মারলে জুলাই আবার নেমে আসবে,মার আমাকে। আমি আরো বলি,আমি তো তোকে চিনে ফেলেছি,তুই নড়াইল এ যুবলীগ এর কমিটি তে আছিস তোর নাম শিমুল। তখন ও বলে সেনাবাহিনী আসতেছে এটা বলে সাথে সাথে দরজা খুলে ৬ জন ই বের হয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন আমরা আটকানোর অনেক চেষ্টা করি বাইরে এসে যেটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আর তখন ই দেয়ালের সাথে আমার মাথায় প্রচন্ড জোরে আঘাত করে।
এখানে একটু বলে রাখি, ভিডিওতে যে কয়জনকে দেখছেন এখানে,এর সবই এই সন্ত্রাসবাহিনী।শুধুমাত্র আমি,রিয়াদ,রিশু আর তানিম বাদে।এখানে আমাকে যখন
মারছিলো তখন ওরা ঠেকাতে গেলে আরো বেশি মাইর খেতো যার কারনে ঠেকানোর পরিস্থিতি ছিলো না,কারণ পরিস্থিতি ছিলো ভয়াবহ।
(এদিকে তানিম চিল্লায়ে বলতে থাকে এখানে কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ আছে,রিমি আপুর গায়ে তোরা আর হাত দিস না।)
পরিশেষে,একটা কথা ই বলি,গতকাল যা ঘটেছে, তা কেবল একটি সন্ত্রাসী হামলা নয়—এটি ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের নীরব সম্মতি নিয়ে সংঘটিত একটি পরিকল্পিত বর্বরতা। প্রশাসনের চোখের সামনে, তাদের অদ্ভুত নিষ্ক্রিয়তা আর অজুহাতের আড়ালে, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমার মতো একজন নারীকে মারধর করে গেলো—দিনের আলোয়, পুলিশের উপস্থিতিতেই।
কে করবে এই ইনভেস্টিগেশন,কার কাছে দিবো বিচার?আর কতো রক্ত দিলে এই রাষ্ট্রযন্ত্রের কব্জা ঠিক হতে পারে।
একদিন পার হয়ে গেলো -আমি প্রশাসন থেকে এখন অব্দি কোনো মেসেজ পাই নাই।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’’
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, ওই আওয়ামী নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রিমির বোন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, আশা করা যায় খুব দ্রুতই গ্রেফতার করা যাবে।
রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দুই ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী ঢামেক হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আহতরা হলেন, নরসিংদীর মাদবদী এলাকার ক্ষুদ্র কাপড় ব্যাবসায়ী মো: সজল (৩০), ও আলামিন(২৭)।
৭ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে অজ্ঞাতনামা পুরুষের বয়স আনুমানিক ৬০ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগেনাগরিকদের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে রাজধানীতে নতুন তিনটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেলের কোনো স্টেশনে গিয়ে কার্ড স্ক্যান করে ভেতরে ঢোকার পর যাত্রা না করে বেরিয়ে গেলে ১০০ টাকা ভাড়া কাটবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে কেউ কার্ড স্ক্যান করে স্টেশনের ভেতরে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে গেলে তাকে কোনো ভাড়া দিতে হতো না। নতুন নিয়মে সেই সুযোগ থাকছে না।
১১ ঘণ্টা আগে